
কুমিদিনী খেয়াঘাটে লৌহজং নদী পারাপারে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে
মির্জাপুরে যুগের দুর্ভোগের এক নাম কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাট। যে দুর্ভোগ কয়েক যুগেও সমাধান হয়নি। দীর্ঘদিন যাবত এলাকাবাসী খেয়াঘাটটিতে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও অদ্যাবধি ব্রিজ নির্মাণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এ খেয়াঘাট পারাপারের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানী ঘটেছে। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না হওয়ায় ক্ষুব্দ হয়ে উঠছে এলাকাবাসী। তবে সম্প্রতি লৌহজং নদীর এ ঘাটটিতে পায়েহাঁটা একটি ফুটব্রীজ নির্মাণের দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। মির্জাপুর উপজেলা সদর এবং পৌরসভার কেন্দ্রস্থলে লৌহজং নদীর কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাটটির অবস্থান। বছরের প্রায় চার মাস খেয়ানৌকা যুগে লৌহজং নদী পার হতে হয়। বাকি আট মাস নড়বরে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয় সাধারণ মানুষের। শনিবার হাসপাতাল খেয়াঘাট সংলগ্ন বাবু বাজারে ঘাটটিতে একটি ফুটব্রীজ নির্মাণের দাবিতে সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। সমাবেশে সরিষাদাইড় আন্ধরা দুর্গাপুর ভাওড়া মন্দিরাপাড়া মুসলিমপাড়া ও পাহাড়পুরসহ আশেপাশের তিন শতাধিক মানুষ এ সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশে ব্রীজের দাবি তুলে বক্তৃতা করেন, প্রাণ গোপাল সাহা মুক্তি সাহা মো. সাত্তার হোসেন বাবলু কর্মকার পিন্টু সাহা শ্রীদীপ সাহা দীপক সাহা ইউপি সদস্য ময়নাল হক মন্তোষ কর্মকার ও সালাউদ্দিন ডন বক্তৃতা করেন।
কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় বলেন, খেয়াঘাটটিতে একটি হাঁটা ব্রীজ হলে সাধারণ মানুষের জন্য ভাল হয়।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল সাজ রিজন বলেন, কুমুদিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার আপত্তি না জানালে সরকার থেকে এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে।
প্যানেল