
নাজির মাহমুদ
জনপ্রিয় সুরকার নাজির মাহমুদ। নব্বই দশকের শুরু থেকে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। তবে সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ১৯৯২ সালের দিকে সাউন্ডটেক থেকে প্রকাশিত মিক্সড অ্যালবাম ‘বিরহের চোরাবালি’ দিয়ে। সে সময়ের অনেক তারকা সুরকারদের পাশাপাশি নিজের প্রমাণ দেন তিনি। প্রায় তিন যুগের ক্যারিয়ার এ সুরের কারিগরের। সাবিনা ইয়াসমিন, তপন চৌধুরী, এন্ড্রু কিশোর, আইয়ুব বাচ্চু, হাসান, খালিদ হাসান মিলু, রবি চৌধুরী, মনির খান, আগুন, আসিফ আকবর, ডলি সায়ন্তনী থেকে এ প্রজন্মের তাহসান, ইমরান, কনা, ন্যানসি, মিনার, আকাশ সেন ও মাহতিম সাকিবসহ আরও অনেকেই তার সুরে গেয়েছেন।
মেলোডি সুরের জন্য সংগীতাঙ্গনে তিনি দারুণ খ্যাতি লাভ করেন। তার সুরের অনেক গানই শ্রোতাদের মুখে মুখে শোনা যায়। তার সুরে উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলো-সাবিনা ইয়াসমিনের কন্ঠে ‘আমার প্রানের চেয়ে, এন্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে ‘ভালোবাসার চেয়ে, মনির খানের কণ্ঠে, ‘তুমি কার লাগিয়া, ও ‘ আমার বুকে মুখ লুকাইয়া, বাপ্পা মজুমদার ও কোনালের কণ্ঠে ‘ঘুম জড়ানো, তাহসানের কণ্ঠে ‘অপ্রাপ্তি’, ন্যানসির কণ্ঠে ‘ভালোবাসো বলেই, মাহতিম সাকিবের কণ্ঠে ‘যদি, ইমরান ও কনার কণ্ঠে ‘সখি তোমারে বাঁধিবো, আকাশ সেন ও কনার কণ্ঠে ‘তোমার ইচ্ছেগুলো, খায়রুল ওয়াসীর কণ্ঠে ‘উড়াল পাখি, আসিফ ও সাবার কণ্ঠে ‘পৃথিবী অনেক বড়, আসিফ ও কর্নিয়ার কণ্ঠে ‘কী করে তোকে বোঝাই, ইমরানের কণ্ঠে ‘এমন একটা তুমি চাই’ ও ‘মন খারাপের দেশে এবং মিনারের কণ্ঠে ‘চোখ’।
সুর নিয়ে খেলা করাই কাজ বলে জানান নাজির মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘সুর নিয়ে চ্যালেঞ্জ নিতেই আমি পছন্দ করি। যখন কোনো একটি গানের কথা পাই তখন সেটিকে কিভাবে ভালো করা যায় সে সুর না আসা পর্যন্ত খেলতে থাকি। অনেক ধরনের সুর নিয়েই গান করেছি। নিজের ভালো লাগার পাশাপাশি সব সময় শ্রোতাদের বিষয়টিও সুর করার সময় খেয়াল রাখি। তবে কখনো সস্থা কোনো কিছুতে নিজেকে ভাসিয়ে দিইনি। এখনো প্রতিদিন সুরের সঙ্গে বাস করছি’।
১৯৯০ সালে বলাকা ব্লেডের একটি জিঙ্গেল দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন নাজির মাহমুদ। রিজিয়া পারভীনকে নিয়ে সেটিতে কণ্ঠ দেন নিজেই। এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি জিঙ্গেল করেছেন বলে জানান তিনি। জিঙ্গেলের পাশাপাশি পরবর্তীতে গানের সুরে মনোযোগী হয়ে ওঠেন। এর বাহিরে মাঝে মধ্যে তাকে গাইতেও দেখা যায়। সর্বশেষ তার কণ্ঠে ‘তোমার ব্যথায় আমি’ গানটি শোনা যায়। এছাড়া তার কণ্ঠে ‘চোখের আকাশ মনের আকাশ, ‘মন যাবে আজ তোমার বাড়ি’ ‘পরান কান্দে’সহ আরও কিছু গান প্রশংসা কুড়ায়।
একটা সময় স্টেজে নিয়মিত গাইতেন বলে জানান নাজির মাহমুদ। নবম-দশম শ্রেণিতে উঠে বন্ধুদের নিয়ে গড়েন ব্যান্ড ‘গোল্ড সিঙ্গার’। এর ভোকাল হিসেবে ছিলেন তিনি। বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাজির মাহমুদ বলেন, ‘এ সময়ে নাটকের গানেই বেশি ব্যস্ত আছি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সি এম ভি, সুলতান এন্টারটেইনমেন্টের কাজই বেশি করছি। সিএমভির শাহেদ আলী পাপ্পু ভাই ও সুলতান এন্টারটেইনমেন্টের সুলতান মাহমুদ বাবুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই, নাটকের হলেও তারা নিয়মিত গানে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। ’
প্যানেল