ফাইয়াজ আহমেদ ববি
মূলত তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা। তবে এখন নিয়মিত নাটকে অভিনয়েও দেখা যায় তাকে। দর্শক তাকে সাধারণত ববি নামেই চেনেন-জানেন। তার পুরো নাম ফাইয়াজ আহমেদ ববি। ছয় শতাধিক সিনেমার এই অভিনেতার অভিনয় জীবন শুরু আশির দশকে। মূলত একজন কমেডি অভিনেতা হিসেবেই দর্শক তাকে চেনেন।
রুবেল হাসানের পরিচালনায় ‘এক্সচেঞ্জ’ নাটকে অপূর্বর বাবার চরিত্রে সর্বশেষ দর্শক তার অভিনয় বেশ উপভোগ করেছিলেন। আবার একই পরিচালকের পরিচালনায় এরই মধ্যে আবারও অপূর্বর বাবার চরিত্রেই অভিনয় করেছেন আরও একটি নাটকে। ঢাকার গে-ারিয়ার সন্তান ববিকে যদি বিশেষত সিনেমার কথা মনে করিয়ে দিতে হয় তা হলে গাজী মাজহারুল আনোয়ার পরিচালিত সালমান শাহ ও মৌসুমী অভিনীত ‘¯েœহ’ সিনেমার কথা বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
এই সিনেমায় তার মুখে ‘টাকা দেন জাপান যাব’ সংলাপটি সেই সময় বেশ সাড়া ফেলেছিল। ববি বলেন, দেখতে দেখতে অভিনয় জীবনে চলার পথে কয়েক দশক পেরিয়ে গেছে। মানুষের কাছ থেকে যে সম্মান, যে ভালোবাসা পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি-এটাই তো এক জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি। এই সম্মান-এই ভালোবাসা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই।
এ ছাড়াও ফিলিপস বাল্বের বিজ্ঞাপনে তার মুখে ‘মাছের রাজা ইলিশ বাত্তির রাজা ফিলিপস’ সংলাপটিও দারুণ সাড়া ফেলেছিল। স্কুলে পড়াশোনাকালীন সময়েই ববি অভিনয়ের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। ১৯৮২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ববি ‘অবসর নাট্যগোষ্ঠী’র সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার অভিনীত মঞ্চনাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘ফাঁস’, ‘অদল-বদল’, ‘বালা’, ‘কেনা বেচা’ ইত্যাদি। এসব নাটক নির্দেশনা দিতেন প্রয়াত অভিনেতা, নির্দেশক সিরাজুল ইসলাম।
দেশ স্বাধীনের পর ববি প্রথম অভিনয় করেন মুস্তাফিজের নির্দেশনায় ‘বিজলী’ সিনেমায়। পরিচালক এহতেশামের সহযোগিতায় তিনি এই সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পান। ফজলে লোহানীর ‘যদি কিছু মনে না করেন’ অনুষ্ঠানে কৌতুকাভিনয়ের পর বেশ আলোচনায় চলে আসেন ববি।
এই অনুষ্ঠানের পর তিনি ফখরুল হাসান বৈরাগী, দিলীপ বিশ্বাস, শামসুদ্দিন টগর, শিবলী সাদিক, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নায়করাজ রাজ্জাক, আজহারুল ইসলামসহ আরও অনেক গুণী পরিচালক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। ধীরে ধীরে হয়ে দর্শকের কাছে তিনি প্রিয় হয়ে ওঠেন। ববির নিজের অভিনীত প্রিয় সিনেমা হলো ‘চাপা ডাঙ্গার বউ’, ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’, ‘বসন্ত বিকেল’, ‘অ্যাক্সিডেন্ট’। ‘বাংলার চব্বিশ বছর’ সিনেমাতে অভিনয় করে তিনি প্রথম পাঁচ হাজার টাকা সম্মানী পেয়েছিলেন।