
সজল
জনপ্রিয় অভিনেতা সজল। ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। টিভি নাটক, ওটিটি প্ল্যাটফরম ও সিনেমা তিন মাধ্যমেই এ অভিনেতা প্রশংসা কুড়ান। গত বছর এ অভিনেতার দুটি সিনেমা দর্শকের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে। সিনেমা দুটি হলো জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘জ্বীন’ ও হৃদি হকের পরিচালনায় ‘১৯৭১ : সেই সব দিন’। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- এন আই বুলবুল
গত কয়েকদিন সব ধরনের শূটিং বন্ধ। শিল্পী হিসেবে এটিকে কিভাবে দেখছেন?
দেশের এমন পরিস্থিতিতে শূটিং করার তো কোনো পরিবেশ নেই। এছাড়া কোনো শিল্পীই শূটিংয়ে গিয়ে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারবে না। এমন একটি পরিবেশে শিল্পীদের পাশাপাশি শূটিং হাউজের অন্যদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। একটা শূটিংয়ের সঙ্গে পোডাকশন বয়, ক্যামেরাম্যান, লাইট্যারসহ আরও অনেকে জড়িত। এরা প্রতিদিন শূটিংয়ে কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু গেল কয়েকদিন তাদের এটি সম্ভব হচ্ছে না।
আপনার দীর্ঘ দিনের ক্যারিয়ার। এ টিকে থাকার পেছনে রহস্য কী?
আমি ¯্রােতে গা ভাসিয়ে কিছু করতে চাই না। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ভালোর সঙ্গে থেকেছি। নির্মাতারাও আমাকে নিয়ে সেভাবে ভালো কাজের সঙ্গে থাকার সুযোগ দিয়েছেন। দর্শকের কাছে যে ভালোবাসা পাই সেটিকে আরও সুন্দরভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। এ কারণেই হয়তো এখনো টিকে আছি। অভিনেতা হিসেবে এটা আমাকে বেশ আনন্দ দেয়।
সব প্ল্যাটফরমেই কাজ করছেন। এতে কি সমস্যায় পড়তে হয়?
ছোটপর্দা দিয়েই আমার যাত্রা শুরু। এটির প্রতি অন্যরকম ভালোবাসা আছে এবং থাকবে। তবে এখন সময়ের সঙ্গে আমাদের নতুন নতুন অনেক মাধ্যম এসেছে। সিনেমাতেও নির্মাতারা আমাকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। তাই টিভি নাটকের পাশাপাশি এ মাধ্যমগুলোতেও কাজ করছি। অভিনেতা হিসেবে আমি মনে করি, শিল্পীর নিজস্ব কোনো প্লাটফরম থাকতে নেই। যেখানে কাজের সুযোগ থাকবে সেখানেই কাজ করা উচিত। আর আমি অনেক কাজ এক সঙ্গে করি না। একটি কাজ শেষ করেই অন্য কাজ শুরু করি। এ কারণে আমাকে কাজের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয় না।
কাজের আগে চ্যালেঞ্জিং চরিত্র নিয়ে কতটুকু ভাবেন?
গল্পটা যখন হাতে পাই তখন আমার চরিত্রটা নিয়ে স্টাডি করি। দর্শক আমাকে এ চরিত্রে কতটা গ্রহণ করবে বা কতটা পছন্দ করবে সেটি দেখি। তবে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের জন্য একজন শিল্পীকে মানসিকভাবেও প্রস্তুত থাকতে হয়। চরিত্রের গভীরে যদি না যাওযা যায় তাহলে দর্শকের কাছে এ ধরনের চরিত্র গুরুত্ব পায় না।
এ সময়ে কোন্ চরিত্রগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন?
নিজেকে ভেঙেচুরে নতুন করে উপস্থাপন করতে চাই। গতানুগতিক কাজ থেকে বের হয়ে নতুন কিছু করতে পারলেই আনন্দ লাগে। ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে আমি রিস্ক নিতে চাই সব সময়। ভিন্ন রকম কিছু, ভিন্ন রকম কোনো চরিত্র ও নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে চাই।