
ছবি: সংগৃহীত।
পশ্চিমবঙ্গের ইভেন্ট অর্গানাইজার শক্তিশঙ্কর বাগচী বলেছেন, বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও তার স্বামী রমজান আলীর জেলে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
এর আগে মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্ৰেফতারি পরওয়ানা জারি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত। চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগের মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বহরমপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মমতাজ। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। কিন্তু তার জামিনের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শক্তিশঙ্কর বাগচী।
২০০৮ সালে মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। শক্তিশঙ্কর বাগচীর অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মমতাজের সঙ্গে তার লিখিত চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল তার। ওই অনুষ্ঠানে আসার জন্য তাকে দেওয়া হয়েছিল ১৪ লাখ রুপি।
অর্থ নিয়েও অনুষ্ঠানে না আসায় বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত।
এই মামলায় শুধুমাত্র মমতাজ বেগম ও তার স্বামী নয়, বহরমপুর আদালতের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলকেশ দাসের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন করছেন বলে জানিয়েছেন শক্তিশঙ্কর বাগচী।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শক্তিশঙ্কর বাগচী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি নিম্ন আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছি। নিম্ন আদালতের বিচারপতিকে এই মামলায় পার্টি করে মামলা করা হয়েছে। এই মামলার রায় আমার পক্ষে। আমি বলছি না যে আমি সব জানি, তবে মমতাজ বেগম ও তার স্বামীর জেল যাত্রা সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
চুক্তি অনুসারে, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান শিল্পী হিসেবে মমতাজকে ১৪ লাখ রুপির বিনিময়ে বায়না করা হয়। কিন্তু মমতাজ বেগম অর্থ নিয়েও ওই অনুষ্ঠানে গান গাইতে যাননি। পরবর্তী সময়ে বারবার অর্থ ফেরত চাইলেও তা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন মমতাজ বেগম।
টিএস