ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সেই ইয়াসমিন চরিত্রে মিম

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সেই ইয়াসমিন চরিত্রে মিম

বিদ্যা সিনহা মিম। ফাইল ছবি।

ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিমকে এবার তাকে দেখা যাবে সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘আমি ইয়াসমিন বলছি’চলচ্চিত্রে। এতে ইয়াসমিন চরিত্রে অভিনয় করবেন মিম। সম্প্রতি ছবিটিতে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি।

এ প্রসঙ্গে  মিম বলেন, এখন সব ধরনের চিত্রনাট্যে কাজ করছি না। একটু চিন্তাভাবনা করে ছবির কাজ হাতে নিচ্ছি। এই ছবি নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে ছয় মাস ধরে কথা হচ্ছিল। সত্য ঘটনা অবলম্বনে গল্পটি যখন পড়ি, কেঁদে ফেলেছিলাম আমি।

ছবিটি পরিচালনা করবেন সুমন ধর। এর আগে চরকির জন্য ‘চিঠি’ নামের একটি ওয়েব ফিল্ম বানিয়েছেন তিনি। 

১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট। দীর্ঘদিন পর ঢাকা থেকে দিনাজপুরে বাড়ি ফিরছিল ইয়াসমিন। দিনাজপুরের কোচে না উঠতে পেরে পঞ্চগড়গামী কোচে ওঠেন তিনি।

কোচের লোকজন তাকে দিনাজপুরের দশমাইলে নামিয়ে দিয়ে সেখানকার এক চায়ের দোকানে বসতে বলেন। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ইয়াসমিনকে দিনাজপুর শহরে মায়ের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য খুব ভোরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসী।

পথে কয়েকজন পুলিশ সদস্য কিশোরী ইয়াসমিনকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এরপর তারা ইয়াসমিনের মরদেহ দিনাজপুর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে দিনাজপুর সদর উপজেলার ব্র্যাক অফিসের পাশে রাস্তায় ফেলে চলে যান।

পরদিন ঘটনা জানাজানি হলে কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা দিনাজপুর শহরের রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল বের করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

তৎকালীন পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে উল্টো ইয়াসমিনকে ‘যৌনকর্মী’ হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এতে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দিনাজপুরের প্রতিবাদী জনতা। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দিনাজপুরের সর্বস্তরের মানুষ। সেসময় শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। ফলে সামু, কাদের ও সিরাজসহ নাম না জানা ৭ জন নিহত হন। আহত হয় ৩০০’র বেশি মানুষ।

এমএম

×