ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের মানুষ ইমোশনে ভরা ॥ অজয় চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

বাংলাদেশের মানুষ ইমোশনে ভরা ॥ অজয় চক্রবর্তী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘শুধুমাত্র সম্মেলন করে উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শোনালে হবে না। এর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসা জন্মানোর চেষ্টা করতে হবে। স্বর দিয়ে রাগ হয় না, রাগ হয় সুর দিয়ে। একটি স্বর কীভাবে সুর হয়ে ওঠে এটাই শ্রোতাদের বোঝাবার চেষ্টা করে যাচ্ছি। একজন শিল্পী যখন রাগ করেন, তখন তারও রাগ হয়ে যেতে হয়। আমি রাগের মধ্যে না ডুবলে তা এ্যাকসেপ্ট হবে না। বেঙ্গল যা করছে পৃথিবীর আর কোথাও এমনটি আমি দেখি না। বাংলাদেশের মানুষ ইমোশনে ভরা। কঠোর পরিশ্রম করে সঙ্গীতকে এগিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে এখনও অনেক অভাব আছে’- একথা বলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শিল্পী পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী। বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সেতার শিল্পী শহীদ পারভেজ খান, সরদবাদক তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, ঘটমবাদক বিদ্বান ভিক্ষু বিনায়ক রাম, কাঞ্জিরাবাদক সেলভাগনেশ বিনায়করাম, সেতারবাদক বুদ্ধাদিত্য মুখার্জী, বেহালাবাদক ড.মাইসুর মঞ্জুনাথ ও ওড়িশী নৃত্যশিল্পী বিদুষী সুজাতা মহাপাত্র। বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবের শেষ রজনী আজ শনিবার পারফর্ম করবেন ওড়িশী নৃত্যশিল্পী বিদুষী সুজাতা মহাপাত্র। তিনি বলেন, যে অনুভূতি হয়েছে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে আমার পরিবেশনায়। পারফরমেন্স সম্পর্কে আগে কিছু বলা যায় না, ভাল হবে কী মন্দ হবে। ইচপিরিচুয়াল বলতে একটা জিনিস আছে, সেটা গান-বাজনায় থাকে আর দিনে দিনে বেড়ে যায়। অন্যরা বলেন, উচ্চাঙ্গসঙ্গীত গুরুমুখী বিদ্যার পাশাপাশি চর্চার বিষয়। মিউজিকের কোন দেশভাগ নেই। এত সুন্দর অর্গানাইজ আর কোন উৎসবে দেখা যায় না। এখানের আতিথেয়তাসহ সব কিছুই খুবই সুন্দর। প্রতি বছর আমিসহ অনেকেই এই উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকি। প্রথম দিকে যখন শুনলাম বেঙ্গল উৎসব এবার হচ্ছে না। সত্যিই মনটা খুব খারাপ হয়েছিল। অনেক দুঃখ পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে যখন শুনলাম হচ্ছে- কিন্তু অন্য জায়গায়, মনটা আনন্দে ভরে গেল।
×