অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি
ঢাকাই সিনেমায় অগ্নিকন্যাখ্যাত অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। নিজের অভিনয় দক্ষতায় হয়ে ওঠেন এদেশের নির্ভরযোগ্য নায়িকা। একের পর এক সিনেমায় নিজের অভিনয় দিয়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন দুই বাংলাতেই। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘আশীর্বাদ’ চলচ্চিত্রের নায়িকা হয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। সরকারী অনুদানের এ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাচ্ছে
২৬ আগস্ট। এ ছবিতে অভিনয়ের নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে
আলাপচারিতায়- গৌতম পাণ্ডে
মুক্তি পাচ্ছে ‘আশীর্বাদ’, অনুভূতি কি?
প্রথমত মুক্তিযুদ্ধের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি, দ্বিতীয় সরকারী অনুদানের ছবি। নিজের মধ্যে একটা ভালোলাগাতো কাজ করছেই।
চলচ্চিত্রটি নিয়ে বলুন
মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ছবিটি প্রযোজনা করেছেন জেনিফার ফেরদৌস। এতে আমার নায়ক জিয়াউল রোশান। আশা করছি দর্শকের ভাল লাগবে।
ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শূটিং করছিলাম। বৃষ্টির কারণে মাঠ অনেকটাই ভেজা ছিল। সেই অবস্থায় শূটিং করতে গিয়ে আমি শারীরিক সমস্যায় পড়ি। এমন অবস্থায় আমার সহকারী শূটিং সেটের প্রোডাকশন বয়কে সাহায্যের কথা বলে। তখন সে রেগে গিয়ে তার ওপর ব্যাড বিহ্যাবিয়ার করে। মানবতা বলেও তো একটা কথা থাকে। শুধু আমি নই, আমাদের অনেক আর্টিস্টদের কোন সম্মান করা হয়নি শুটিং সেটে।
‘আশীর্বাদ’ প্রচারণায় আপনার অনুপস্থিতি কেন?
সম্প্রতি একটি প্রেস মিট হয়েছে শুনেছি। আমার মনে হয়েছে এটি ছিল ছবিটির হিরো-হিরোইনের বিরুদ্ধে কপ্লেইনের জন্য প্রেস মিট। বিগত দিনে অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, একটা সিনেমা শূটিং করার পরে তার ডাবিং, পোস্টার প্রকাশ, সেন্সর এবং সর্বোপরি কবে রিলিজ হবে এ বিষয়ের কিছুই আমাকে ও রোশানকে জানানো হয়নি। প্রথম পোস্টার আপলোড করেছে তা-ও জানি না। সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক আমাকে ও হিরোকে যাচ্ছে তাই গালমন্দ করেছেন যেটা আমি ভিডিওতে দেখেছি। কোন সিনেমার প্রযোজকের কাছে এমনটি প্রত্যাশিত নয়। তিনি বলেছেন, আমি কেন নায়ক নায়িকাকে ডাকব। ওদের প্রচারণার জন্যতো প্রেস মিট করিনি। আপনার প্রচারে কোন হিরো-হিরোইন লাগবে না, ফাইন কিন্তু তাদের অপমান করা দরকার কি? ছবিটা কিন্তু সরকারী অনুদানের। তাঁর ইনভেস্টমেন্ট এতে নেই। আমরা যার যার জায়গা থেকে অনেক কম্প্রোমাইজ করে এ সিনেমায় কাজ করেছি। শখ করে কাজটা করেছি, সেই কাজটাকে চোখের সামনে এভাবে মরে যেতে দেখব?
কেন এমন হলো জানেন কি?
এটাতো জানি না, এটা প্রযোজকই ভাল বলতে পারবেন। এখন সিনেমার একটা ভাল সময় চলছে। সম্প্রতি ‘পরান’, ‘দিন দ্য ডে’ ও ‘হাওয়া’ সিনেমাগুলো ভাল চলছে। সেখানে আলাপ-আলোচনা ছাড়া কোন রকমের একটা নি¤œ মানের পোস্টার প্রকাশ করে সিনেমা প্রচারণার দিনতো এখন আর নেই। যেদিন পোস্টার রিলিজ হলো, দেখে আমি হতবাক। কারণ এর আগে পরিচালক আমাকে বলেছিলেন, ‘যাও পাখী বলো তারে’ রিলিজ হবে কিন্তু কার্যক্ষেত্রে হলো এর উল্টোটা।
আপনার কি মনে হয়, কেন এমন করল?
প্রযোজকের সঙ্গে আমাদের কখনও কোন রাগারাগি হয়নি। ছবি করার সময় আমরা কখনও দেখি না যে কে প্রডিউসার। এখানে দেখলাম উনি-ই সর্বেসর্বা। প্রথম দিন থেকেই কেমন যেন ভাল ব্যবহার করেননি। আমি আর রোশান যখন এ ছবিতে সাইন করি, তখনই তিনি এটা ফেসবুকে আপলোড করতে মানা করেছেন। এই ছবিতে আমি যে ভূমিকায় অভিনয় করেছি, এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথমে সাইন করে অপু বিশ্বাস। সে কিন্তু সাইন করেই ফেসবুকে তার ছবি আপলোড করে। সে কারণে অপু হয়ত সরে গেছে। প্রডিউসার আমাদের বলেছেন আমি মাঝখানে দাঁড়াব তোমরা (নায়ক-নায়িকা) দুই পাশে থাকবে। এই ছবিটা আপলোড করতে হবে। কারণ প্রডিউসারকে হাইলাইট করতে হবে। এটা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।