ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্যিক ছবি ইন্ডাস্ট্রি বাঁচিয়ে রাখে

এনআই বুলবুল

প্রকাশিত: ২১:২৭, ১ মার্চ ২০২৩

বাণিজ্যিক ছবি ইন্ডাস্ট্রি বাঁচিয়ে রাখে

ঋত্বিক চক্রবর্তী

কলকাতার অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। ভারত ও বাংলাদেশে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমাটি। ছবি মুক্তি উপলক্ষে ঢাকায় আসেন তিনি। ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী পরিচালিত এ সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন ‘চাঁদু’ নামের একটি চরিত্রে। তার সঙ্গে আরও আছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম। সিনেমা ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে আনন্দকণ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এনআই বুলবুল
সিনেমার প্রচারে ঢাকায় এলেন। কেমন লেগেছে?
সময়টা এখন এমন, প্রচার না করলে দর্শকের কাছে সব  ঠিকমতো পৌঁছে না। তাই আমাদের ‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার প্রেস কনফারেন্স ও বিশেষ শোতে অংশ গ্রহণ করার জন্যই মূলত আসা হয়েছে।  সিনেমার জন্য প্রথমবার ঢাকায় এসেছি। তবে আমার ঢাকায় এটিই প্রথম নয়। এর আগে ৯৬/৯৭ সালের দিকে থিয়েটারের সঙ্গে প্রথম ঢাকায় আসি। সেদিক থেকে এবারের আসাটা অন্যরকমই বলতে হয়। 
‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমাটি নিয়ে জানতে চাই-
এটা আমাদের চারপাশের মানুষদের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে। মধ্যবিত্ত সব মানুষের ইচ্ছে থাকে তার সন্তানকে ভালো একটি স্কুলে পড়াবে। কিন্তু সেটা কি সবার সম্ভব হয়? এমন অনেক  আমাদের ইচ্ছে থাকলেও করা হয়ে ওঠে না। এ সিনেমায় দর্শক এমন বাস্তাবতার অনেক বিষয় দেখতে পাবে। 
যৌথ প্রযোজনায় এ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। যৌথ প্রযোজনার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু মনে করেন?
যৌথ প্রযোজনার সিনেমা অবশ্যই প্রয়োজন আছে। আমাদের সংস্কৃতি ও ভাষাগত দিক থেকে অনেকটাই একই রকম। দুই দেশেই আমাদের অনেক গুণী মানুষ আছেন। সংস্কৃতির আদান প্রদানে ক্ষতি নেই বলেই আমি মনে করি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আজকাল সহজেই জানা যায়, দুই দেশের সিনেমা দর্শক কেমন পছন্দ করেন। ওটিটির কারণে কলকাতার দর্শক বাংলাদেশের অনেক কাজই এখন নিয়মিত দেখছেন।
অপি করিম এদেশে অসম্ভব জনপ্রিয় একজন শিল্পী। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
নিঃসন্দেহে বলতে হয় তিনি মেধাবি একজন শিল্পীও। শূটিং স্পটে মনে হয়েছে তিনি আমাকে প্রতিটি দৃশ্যে সহযোগিতা করছেন। কো-আর্টিস্ট যখন এমন হয়ে থাকেন তখন কাজের সময় অনেকটা  সহজ হয়ে যায়। শূটিংয়ের আগে আমরা স্ক্রিপ্ট নিয়ে দুজন বসেছি। সবটা  কত ভালো করা যায় সেটা শেয়ার করেছি।
কমার্শিয়াল সিনেমা থেকে দর্শক এখন গল্পনির্ভর সিনেমাগুলো বেশি দেখছে। বাণিজ্যিক সিনেমার অনেক শিল্পী বেকার সময় পার করছেন। আপনার মন্তব্য কি?
সত্যি বলতে, বাণিজ্যিক ছবি ইন্ডাস্ট্রি বাঁচিয়ে রাখে। বাণিজ্যিক সিনেমা ছাড়া একটা ইন্ড্রাস্ট্রি চলতে পারে না। আর বাণিজ্যিক সিনেমার শিল্পীরা বেকার আছেন এটিও পুরো ঠিক না। কলকাতায় কিছুদিন আগে দেবের সিনেমাটি বেশ ব্যবসা করে। তবে এটি সত্যি, দর্শকের রুচির পরিবর্তনের কারনে সময়ে গল্পনির্ভর সিনেমাগুলো তারা বেশি দেখছে। কিন্তু আমি চাই কমার্শিয়াল সিনেমাও বেশি বেশি নির্মাণ হোক।
কলকাতায় পাঠান মুক্তি পেয়েছে। এদেশেও বলিউডের সিনেমা মুক্তি পাবে। বাংলা সিনেমার ওপর বলিউডের সিনেমা কতটা প্রভাব ফেলছে মনে করেন?
বলিউড অনেক বড় একটা ইন্ডাস্ট্রি ও শক্তিধর  জায়গা। ফলে, আমাদের মতো ছোট ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের নিজেদের সংরক্ষণের কথা ভাবতে হবে এটা নিয়ে সন্দেহ নেই। কারণ, জায়গা ছেড়ে দিলে দখলও হয়ে যেতে পারে। তাই নিজেদের জায়গা ঠিক রেখেই সব করতে হবে। ‘পাঠান’ যখন মুক্তি পায় তখন কলকাতায় বাংলা ছবি কোণঠাসা হয়ে পড়ে। পাঠান মুক্তির শর্ত ছিল, যে হলে ‘পাঠান’ চলবে সে সময়ে কোনো বাংলা সিনেমা চলবে না।  এটা বাংলা সিনেমার জন্য খারাপ একটা বিষয়। নিজেদের ঘর ঠিক রেখেই অন্য সিনেমা প্রদর্শনে কোনো প্রবলেম দেখি না। 
কলকাতার সিনেমায় ঢাকার অনেক অভিনেত্রী এখন নিয়মিত কাজ করছেন। এতে কি সেখানের নায়িকাদের কোনো নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে পান?
জেলাসিটা ঘরের মধ্যে কাজ করছে কিনা আমি জানি না। বাইরে দেখা যায় না। এছাড়া দর্শকও চাচ্ছেন বলেই তারা কাজ করছেন। তবে প্রফেশনাল জেলাসি একে অপরের মধ্যে থাকতেই পারে। কিন্তু এটা সত্যি জেলাসি ফাইনালি কোনো উপকার 
করে না।

×