আয়েশা সালমা
আজ থেকে দুই দশকেরও বেশি সময় আগে একুশে টিভিতে মিনহাজুর রহমান পরিচালিত ‘অগ্নিগিরি’ নাটকে তৌকির আহমেসদের বিপরীতে অভিনয় করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন আয়েশা সালমা মুক্তি। এরপর থেকে আজ অবধি অনেক দর্শকপ্রিয় নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। সিনেমাতেও অভিনয় করে দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। তবে এবারই প্রথম তিনি উপস্থাপনা করেছেন।
বিটিভিতে এরইমধ্যে প্রচারিত ‘নবাবী ভোজ’ অনুষ্ঠানের দুটি পর্বের উপস্থাপনা করেছেন তিনি। একটি পর্বের অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ ও আরেকটি পর্বের অতিথি ছিলেন নৃত্যশিল্পী, অভিনেত্রী নিসা। দুটি পর্বই বিটিভিতে প্রচারের পর বেশ ভালো সাড়া পেয়েছেন মুক্তি। এদিকে আজ মুক্তির জন্মদিন। রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা মুক্তি জানান, জন্মদিন নিয়ে তেমন কোনোই পরিকল্পনা নেই।
তার বন্ধু বান্ধব বেশিরভাগই এখন বিদেশ থাকেন। তাই আগে থেকেই যে কিছু একটা পরিকল্পনা করবেন, তেমনটাও হচ্ছেনা। তবে তার বেস্ট ফ্রে- (ওয়াই ডাব্লিউ সিএ গার্লস হাইস্কুলের বান্ধবী) মুনের সঙ্গে হয়তো আজকের জন্মদিনটা উদযাপন করাও হতে পারে।
উপস্থাপনা এবং জন্মদিন প্রসঙ্গে মুক্তি বলেন, অনেকটা হঠাৎ করেই উপস্থাপনা করা। বিটিভি থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। ভেবে দেখলাম দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে উপস্থাপনাটা শুরু করে দেখি কেমন হয়। দুটি পর্বের উপস্থাপনা বেশ ভালোভাবেই করেছি। আমার কাছে বেশ উপভোগ্য মনে হয়েছে। প্রচারের পর টুকটাক ভালোই সাড়া পেয়েছি।
আগামীতে ভালো অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করার প্রস্তাব পেলে ভেবে দেখা যেতে পারে। আর জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। যেহেতু আম্মা বােিড়ত আছেন এবং আমার বন্ধু বান্ধব বেশিরভাগই দেশের বাইরে। তাই বিশেষ পরিকল্পনা করছিনা। আম্মা থাকলে হয়ত আমার প্রিয় প্রিয় কিছু খাবার রান্না করতেন। তবে আপাতত শুধু সবার কাছে দোয়া চাই যেন আল্লাহ ভালো রাখেন সুস্থ রাখেন। আর আগামীতে যেন ভালো ভালো গল্পের কিছু নাটকে অভিনয় করতে পারি।
মুক্তির প্রথম বিজ্ঞাপন ছিলো তারিক আনাম খানের নির্দেশনায় ‘সার্ফ এক্সেল’র। এরপর আরো বেশকিছু বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। প্রয়াত হাছিবুল ইসলাম মিজান পরিচালিত ‘তুমি আছে হৃদয়ে’ তার অভিনীত প্রথম সিনেমা। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন কায়েস আরজু। এরপর শাকিব খানের সঙ্গে ‘জোর করে ভালোবাসা হয়না’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন। মুক্তির বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদার রহমান (প্রয়াত) ও মা রোকেয়া রহমান।
