
রুয়েট ও আইইডি-এর সমঝোতা স্বাক্ষর
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং ইনোভেটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি) এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর মাধ্যমে রুয়েটের স্থাপত্য এবং ভবন নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেশের ভবন নির্মাণ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইইডি-এর মাধ্যমে বাস্তবমূখী কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন।
বৃহস্পতিবার রাতে রুয়েট অডিটরিয়ামে প্রথম ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কলাবোরেশন মিট-২০২৩ (আইএসিএম) অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
রুয়েট-এর পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং আইইডি এর পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জি. রানা মাসুদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কোলাবোরেশন মিটে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান রিপন, গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন, আইকিউএসি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন প্রমূখ।
গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তর এবং আইকিউএসি যৌথভাবে আয়োজিত এই মিটে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ও সেক্টরের ৭৬ টি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, রেজিস্ট্রার, পরিচালক ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট ও একাডেমিয়াদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং যৌথভাবে কাজ করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে রুয়েটে আরো বৃহৎ পরিসরে ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট আয়োজন করা হবে বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি-ইউএসএ) এর অধ্যাপক মিজানুল এই চৌধুরী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চতুর্থ শিল্প বিল্পব মোকাবিলায় দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়াদের কাজ করার গুরুত্ব ও যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
ইঞ্জি. রানা মাসুদ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বীয় জ্ঞান এবং ইন্ডাস্ট্রির বাস্তবমুখী জ্ঞানের গ্যাপ দূর করার চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া চলাকালীন বা শেষ করে আমাদের মাধ্যমে হাতেকলেম ইন্ডাস্ট্রির বাস্তব জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন, যা তাদেরকে পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য আরো উপযোগী করে তুলবে।
উল্লখ্যে যে, এই সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক যোগ্য করে তোলা, ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করা, শিক্ষার্থীদের ইন্টার্ন বা এটাচমেন্টে থেকে কাজের সুযোগ প্রদান করবে ইনোভেটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট। আইএসিএম অনুষ্ঠানে আরও কয়েকটি কোম্পানি অংশগ্রহণ করে।
কাজল/এস