ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬ চৈত্র ১৪৩০

জবিতে চতুর্থ আবৃত্তি উৎসব

প্রকাশিত: ০০:৫৭, ২৫ নভেম্বর ২০২২

জবিতে চতুর্থ আবৃত্তি উৎসব

.

মানুষের কণ্ঠস্বরে সাহিত্যের সামগ্রিক রূপকে প্রকাশ করতে কারই না ভালো লাগে। আর এই কণ্ঠস্বরে যথাযথ প্রয়োগ ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভাষায় প্রমিত উচ্চারণ অক্ষুণ্ণ রেখে ধারণকৃত অনুভূতি, আবেগ, ভাব, গতি, বিরাম, ছন্দ ইত্যাদির সমন্বিত ও ব্যঞ্জনার প্রকাশই আবৃত্তি। এক কথায় বলতে গেলে কবিতা পাঠই আবৃত্তি। একক, দ্বৈত কিংবা দলীয় আবৃত্তি পরিবেশনা করা তিন ভাবেই। এই আবৃত্তি পরিবেশনাসহ গান, কবি সম্মাননা ও সনদ প্রদানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের (জবিআস) আয়োজনে চতুর্থ আবৃত্তি উৎসব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বুধবার অনুষ্ঠিত আবৃত্তি উৎসবে সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ জহির উদ্দীনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আনন্যামা নাসুহা নুহিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজহারুল হক আজাদ এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারেক সুজাতকে ‘কবি সম্মাননা’ দেয়া হয়। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের ষোলোতম থেকে আঠারোতম কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে স্মারক, সনদ, আন্তঃবিভাগ আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের পরিবেশনাও ছিল।
উৎসবে উপস্থিত হয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘সাংস্কৃতিক কর্মকা-কে উৎসাহিত না করতে পারলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে না। এজন্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। আমাদের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। করোনা মহামারির কারণে তাদের কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছিল। এখন তারা পুরোদমে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ঐতিহ্য আছে, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও আমরা পিছিয়ে থাকব না। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি সব কর্মকান্ডে যেন এগিয়ে যেতে পারি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদ নিয়মিত আবৃত্তি প্রযোজনার মঞ্চায়ন করে থাকে। পাশাপাশি নিয়মিত আবৃত্তিসহ বাচনিক বিষয়সমূহে কমর্শালা আয়োজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাভুক্ত আবৃত্তি সংগঠন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, কবি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও জাতীয় আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন, আবৃত্তির বিকাশ ও উৎসাহ প্রদানের জন্য আবৃত্তি উৎসব ও প্রতিযোগিতার আয়োজন, জাতীয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন, বিভিন্ন আমন্ত্রণমূলক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন, বিশিষ্ট কবি ও আবৃত্তিশিল্পীদের সম্মাননা প্রদান, সদস্যদের দক্ষতা ও মানোন্নয়নে নিয়মিত পাঠচক্রের আয়োজন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন প্রকাশনা প্রকাশ ও মাসিক কবিতা লিখন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এছাড়াও ৩ মাস মেয়াদি আবৃত্তি, উপস্থাপনা, সংবাদপাঠ, রিপোর্টং বিষয়ক কর্মশালা, ‘শব্দশৈলী’ আবৃত্তির নির্বাচিত কবিতা সংকলন, মাসিক কবিতা লিখন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদ।

 

×