সহকারী শিক্ষক (আইসিটি)
কমলাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ডবল শিফট) কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া। ও পরীক্ষক ও মাস্টার ট্রেইনার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর।
মোবাইল -০১৭১১৯০১০৯৫
ই-মেইল- ৎরঃ.নফহবঃ@ুধযড়ড়.পড়স
প্রশ্ন-০৩ : কম্পিউটার হ্যাকিং কী? এটি একটি অনৈতিক কাজ-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কম্পিউটার হ্যাকিং : হ্যাকিং বলতে বোঝানো হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বা ব্যবহারকারীর বিনা অনুমতিতে তার কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে প্রবেশ করা।
হ্যাকিং একটি অনৈতিক কাজের ব্যাখ্যা : ইন্টারনেটে ঢুকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখা যায়। কিন্তু ওয়েবসাইটের নিজস্ব বা গোপন অংশগুলোতে ঢোকার প্রয়োজন নেই। যেখানে যেতে পারে ওয়েবসাইট সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট মানুষজন যারা গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সেখানে প্রবেশ করে। তাদের সেখানে যাবার অনুমতি নেই তারাও কিন্তু সেখানে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে। পাসওয়ার্ড জানা না থাকলেও সেটাকে পাশ কাটিয়ে অনেক সময় কেউ ওয়েবসাইটের ভেতরে ঢুকে যায়, সেখানে ঢুকে সে কোন কিছু স্পর্শ না করে বের হয়ে আসতে পারে, আবার কোন কিছু পরিবর্তন করে বা নষ্ট করেও চলে আসতে পারে। যেহেতু এই কাজগুলো করা হয় নিজের ঘরে একটা কম্পিউটারের সামনে বসে এবং যেখান থেকে অনুপ্রবেশ হয় সেটা হয়ত লাখো মাইল দূরের কোন জায়গা-অদৃশ্য একটি সাইবার জগত, লোকচক্ষুর আড়ালে, তাই সেটা ধরার উপায়ও থাকে না। এই প্রক্রিয়াটির নাম হচ্ছে হ্যাকিং এবং আজকাল নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইট হ্যাকিং হচ্ছে যেটা সম্পূর্ণরূপে অনৈতিক কাজ।
প্রশ্ন-০৪ : কম্পিউটার ভাইরাস কী? তুমি কীভাবে বুঝবে তোমার কম্পিউটারটি ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে?
উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস : ভাইরাস হচ্ছে এক ধরনের বিপত্তি সৃষ্টিকরী প্রোগ্রাম। দুষ্টবুদ্ধির কিছু মানুষ এক ধরনের প্রোগ্রাম তৈরি করে ফ্লপি ডিস্কে দিয়ে দেয় বা নেটওয়ার্কে ছেড়ে দেয়, যা কম্পিউটারের স্বাভাবিক প্রোগ্রামগুলোর কাজ বিঘিœত করে। এ ধরনের প্রোগ্রামকেই ভাইরাস বলা হয়।
কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া যেভাবে বোঝা যাবে : কম্পিউটারের মাধ্যমে সবসময় স্বাভাবিক কাজই পাওয়া যাবে। আর এটি অতিদ্রুত সব কাজ সম্পন্ন করবে। কিন্তু যদি এর স্বাভাবিকতা প্রদর্শিত না হয় তবে বুঝতে হবে যে, কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। নিম্নে কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গগুলো আলোচনা করা হলোÑ
১. কম্পিউটারটি স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরগতি হলে।
২. প্রোগ্রাম লোড হতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি সময় লাগলে।
৩. ডিস্ক ও ফাইল নষ্ট হয়ে গেলে।
৪. ডিস্কের নাম পরিবর্তন হলে।
৫. অযৌক্তিক প্রমাদবার্তা প্রদর্শিত হলে।
এছাড়া আরও অনেক প্রকার অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে বুঝতে হবে কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।
* ভাইরাস আক্রান্ত ফাইল এবং ডিস্ক ভাইরাসমুক্ত করে ব্যবহার করা।
* কম্পিউটার যাতে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে না পারে সেজন্য ভাইরাস প্রতিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
* ভাইরাস অক্রান্ত পাইল এবং ডিস্ক ভাইরাসমুক্ত করা।