
ছবি: সংগৃহীত
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদ এয়ারবেসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলার জবাবে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেহরান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাজধানী দোহায় আকাশে বিকট শব্দ শোনা যায় এবং সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, আকাশে উজ্জ্বল আলোর ঝলকানির মধ্যে দিয়ে কাজ করছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
কি জানি গেছে হামলা নিয়ে?
-
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের আঘাতের জবাবে তারা এই হামলা চালিয়েছে এবং ঘোষণা দেয়:
"যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলো শক্তি নয়, বরং দুর্বলতা"। -
ইরান দাবি করেছে তারা ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র জানায় সংখ্যা ছিল ১৪টি।
-
কাতার সূত্রে রয়টার্স জানায়, তারা ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিত করেছে এবং সবই প্রতিহত করা হয়েছে।
-
-
হতাহতের কোন খবর নেই বলে জানানো হয়েছে।
কেন হামলা করল ইরান?
শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ইসফাহান, নাটানজ ও ফরদু পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর প্রতিশোধ হিসেবেই এই হামলার দাবি করেছে ইরান।
ইরানের আগাম বার্তা ও প্রতিক্রিয়া
-
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান দোহাকে আগেই হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছিল যাতে প্রাণহানির আশঙ্কা কমে।
-
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন,
"ইরানের আগাম বার্তার জন্য ধন্যবাদ। এতে কেউ আহত হয়নি। এটা দুর্বল হামলা। এখন শান্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।"
কাতারের প্রতিক্রিয়া
কাতার এই হামলাকে "চমকপ্রদ ও সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন" বলে আখ্যায়িত করেছে। দেশটি জানায়, তারা শুরু থেকেই ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিপক্ষে সতর্ক করে আসছিল।
পরিস্থিতির পূর্বাভাস ও প্রস্তুতি
-
হামলার আগেই কাতার সাময়িকভাবে আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের নাগরিকদের ‘shelter in place’ নির্দেশনা দেয়।
-
হামাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ১০০টি বিমান অবতরণ পরিকল্পনা পরিবর্তন করে। এই বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর।
বড় সংঘাতের আশঙ্কা
১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হয়। ইসরায়েল প্রতিদিন ইরানের অভ্যন্তরে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানে হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও বিস্ফোরক করে তোলে।
আঁখি