
সিগারেট ফ্যাক্টরি অপসারণসহ পাঁচ দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন
ঢাকা সেনানিবাস আবাসিক এলাকা থেকে বিএটির অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরি অপসারণ, বিড়ির শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ এবং জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নকল বিড়ি ও সিগারেট প্রতিরোধ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়ন। সোমবার সকাল ১১টার দিকে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানান বিড়ি শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে পাবনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঁচ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিড়ি একটি দেশীয় শ্রমিক নির্ভর শিল্প। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিড়িতে কোনো শুল্ক ছিল না। কিন্তু দেশি-বিদেশি কিছু এনজিও এবং বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে বিড়ি কারখানাগুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ হচ্ছে। ফলে শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এবং বেকারত্বের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে লাখ লাখ অসহায় নারী ও পুরুষ শ্রমিক। সুতরাং বিড়ি শিল্প রক্ষার্থে আগামী বাজেটে বিড়ির শুল্ক এবং অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া নকল বিড়ি ও সিগারেট উৎপাদন এবং বিক্রি বন্ধে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।
শ্রমিকরা আরও বলেন, ঢাকা সেনানিবাস আবাসিক এলাকায় বিএটির সিগারেট ফ্যাক্টরি পরিবেশ ও জনস্বাস্থের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ফ্যাক্টরি থেকে নির্গত রাসায়নিকে শিশু, বৃদ্ধ ও সর্বস্তরের জনগণ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমানে বিএটি আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবাসিক এলাকায় অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরি পরিচালনা করছে। আমাদের প্রশ্ন হলো, বিএটি কি সরকারের চেয়েও ক্ষমতাশালী? বিএটি এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাঁচার করছে। এ ছাড়া বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি নানা ভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে থাকে যা বিভিন্ন সময়ে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং অতি দ্রুত বিএটির অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরি অপসারণ, শুল্ক ফাঁকিসহ তাদের সকল প্রকার আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।
পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাভলু, রানী খাতুন, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আলম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক দুলাল মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল শেখ, কোষাধ্যক্ষ টোকন রায়, শ্রম সম্পাদক চামেলি খাতুন প্রমুখ।