
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ প্রশিক্ষণের জন্য বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত রয়েছেন। তবে প্রশিক্ষণের মধ্যেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দেশের শেয়ারবাজারের মন্দাবস্থায় আগামী ১১ মে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকে তাকে উপস্থিত থাকার জন্য ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
আগামী রবিবার (১১ মে) ‘পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ’ এর জন্য প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবেন। এতে অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও বিএসইসির চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। ওই দিন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনাতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশিক্ষণে অংশ নিতে রাশেদ মাকসুদ বর্তমানে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। এই প্রশিক্ষণ বিএসইসির জুনিয়র অফিসারদের জন্য হলেও বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সেখানে গেছেন। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে হাস্যরস তৈরি করেছেন।
শেয়ারবাজারের ইতিহাসে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনের (বিএসইসি) অফিসাররা, বিশেষ করে সর্বোচ্চ পরিচালক পর্যন্ত পদমর্যাদার অফিসাররা প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণে বিভিন্ন দেশে যায়। নির্বাহী পরিচালকদের প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ বিরল। সেখানে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ গেছেন।
এক মার্চেন্ট ব্যাংকের সিইও বলেন, এ যাবৎকাল বিএসইসির অফিসাররা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছে। সেক্ষেত্রে সহকারী পরিচালক, পরিচালকেরা অংশ নেয়। এতে নির্বাহী পরিচালকদের নেওয়া হয় না। যদি নির্বাহী পরিচালকদের ট্রেনিং নিতে হয়, তাহলে তারা দীর্ঘ কর্মজীবনে কী শিখেছে, এটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সেখানে বিএসইসির চেয়ারম্যানের ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ তো অকল্পনীয়। এটা পৃথিবীর কোনো দেশের এসইসির ক্ষেত্রে হয়েছে কিনা, তা জানা নেই। তবে বাংলাদেশের বিএসইসির কোনো চেয়ারম্যানের এমন ট্রেনিং নিতে দেখা যায়নি।
এক শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজের সিইও বলেন, রাশেদ মাকসুদের ট্রেনিংয়ের দরকার আছে। যেহেতু উনার শেয়ারবাজার নিয়ে জ্ঞানের অনেক ঘাটতি রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সকল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অফিসারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘৩১তম ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট গ্রোথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ প্রোগ্রাম। ইউ.এস. সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আয়োজনে ৫ মে থেকে ৯ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে এটি অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে বিএসইসি থেকে অংশগ্রহণের জন্যও আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
তবে অফিসারদের এ অনুষ্ঠানে বিএসইসির অফিসারের পরিবর্তে অংশ নিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান। এছাড়া এই অনুষ্ঠান শেষে ১২ থেকে ১৫ মে আইএসসিও ৫০তম বার্ষিক সভায় অংশ নিতে কাতার ভ্রমণ করার কথা ছিল তার। তবে এর মধ্যেই সরকার তাকে দেশে ফিরিয়ে আনছে।
আফরোজা