ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১

বিএবির ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক

ডলার কারসাজি রোধে গভর্নরের হুঁশিয়ারি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:২৫, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডলার কারসাজি রোধে গভর্নরের হুঁশিয়ারি

অতিরিক্ত দামে ডলার বিক্রি দায়ে ১০ ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের কড়া হুঁশিয়ার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্য

অতিরিক্ত দামে ডলার বিক্রি দায়ে ১০ ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানকে কারণ দর্শানোর একদিন পর এবার স্বয়ং ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের কড়া হুঁশিয়ার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আব্দুর রউফ তালুকদার ডলার কারসাজি রোধে সতর্কবার্তা দেন। এ সময় এমডিদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব, বাফেদার নির্ধারিত দরের চেয়ে অতিরিক্ত দামে ডলার লেনদেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ঋণপত্রের (এলসি) মাধ্যমে ডলার পাচারসহ ব্যাংকগুলোর করপোরেট কালচারসহ যাবতীয় নীতিমালা মানার নির্দেশ দেন। 
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের আসেন বিএবি নেতারা। এ সময় নজরুল ইসলাম মজুমদারে সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফত ও পূবালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমানসহ ৮ জন চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি বাস্তবায়নে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। কেই নিয়ম ভঙ্গ করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১০৯ নং ধারা অনুযায়ী শাস্তি হবে। 
এমডির ছাড়া কেন ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যিনি সরাসরি অপরাধ করেন নিয়ম অনুযায়ী তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। পেছনে কে সেবিষয়ে পরে দেখা যাবে। এর আগে কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান ও এমডিকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছিল।’  বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রি করায় বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর অংশ হিসেবে এসব ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধানকে জরিমানা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য এসব ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধান দায় এড়াতে পারেন না বলে ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ট্রেজারি বিভাগ ব্যাংকের টাকা ও ডলারের চাহিদা-জোগানের বিষয়টি নিশ্চিত করে থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকে ট্রেজারি বিভাগের প্রধান পদে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন। সূত্র জানায়, নোটিসপ্রাপ্ত ১০ ব্যাংক হলো মার্কেন্টাইল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক।

শাস্তির আওতায় আসা ব্যাংকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে। একই অভিযোগে গত বছরের আগস্টে একসঙ্গে দেশী-বিদেশী ছয়টি ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে নিজ নিজ ব্যাংকের দ্বিপক্ষীয় বিষয়। এমন চিঠি নিয়মিত আসে।

×