
.
তুলসী : তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। তুলসী গাছ লামিয়াসি পরিবারের অন্তর্গত একটি সুগন্ধী উদ্ভিদ। বাংলাদেশের প্রায় সবখানেই তুলসী গাছ দেখা যায়। এ গাছের পাতা, বীজ, বাকল ও শেকড় সবকিছুই অতি প্রয়োজনীয়। ঔষধি গুণের এই তুলসী বিভিন্ন রোগ সারাতে কাজ করে। সর্দি-কাশিজনিত রোগে এই গাছটির পাতা খাওয়া হয়। খুশখুশি কাশির জন্য অনেকে চায়ের সঙ্গেও ভিজিয়ে খান। এ ছাড়া মশার কামড় থেকে বাঁচতে হলে মশারি টানানো, অ্যারোসল স্প্রে করা অথবা তীব্র ধোঁয়াযুক্ত কয়েল জ্বালানোর প্রয়োজন পড়বে না, যদি তুলসী থাকে ঘরে।
তুলসী পাতার উপকারিতা-
* তুলসী চা শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়।
* সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের রুচি বাড়বে।
* তুলসী পাতার রস খেলে দ্রুত জ্বর ভালো হয়।
* ঠান্ডা-কাশি থেকে রক্ষা পেতে তুলসী পাতা ও আদার রসের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ঠান্ডা-কাশি ভালো হয়।
* বলা হয়ে থাকে তুলসী পাতা ভেজে ঘি দিয়ে নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
চিরতা : এ গাছ হিমালয়ের উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মে। কাশ্মীর ও ভুটানের পাহাড়ি এলাকায় এটি প্রচুর পরিমাণে জন্মে। বাংলাদেশে কৃত্রিমভাবে কোথাও কোথাও চিরতার চাষ হয়। এটি নানাবিধ রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। এ পর্যন্ত ৪০ এর বেশি রাসায়নিক উপাদান চিরতা থেকে শনাক্ত করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে সব উপাদানের বেশিরভাগেরই জৈব রাসায়নিক কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এটি অনেক স্থানে কালো মেঘ নামেও পরিচিত।
চিরতার ব্যবহার-
* ইউনানী চিকিৎসা অনুযায়ী চিরতা হৃৎপিণ্ড ও যকৃতের সবল কারক, চোখের জ্যোতি বর্ধক ও জ্বরের জন্য বিশেষ উপকারী।
* অ্যালার্জির কারণে শরীর ফুলে উঠলে তাতে চিরতা কার্যকর।
* ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
* পেট খারাপ, ডায়রিয়া, জ্বর ও বাত ব্যথার জন্য সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া হয়।
* এ ছাড়া চুল পড়া রোধে, বমি বমি ভাব দূর করতে ও কৃমিনাশক হিসেবে চিরতার অনেক সুনাম রয়েছে।