ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

চার তরুণ লেখক পেলেন কালি ও কলম পুরস্কার

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:২৩, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

চার তরুণ লেখক পেলেন কালি ও কলম পুরস্কার

অতিথিদের সঙ্গে কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কারপ্রাপ্ত চার লেখক

সাহিত্যচর্চায় নবীন লেখকদের অনুপ্রাণিত করতে ২০০৮ সাল থেকে মাসিক পত্রিকা কালি ও কলম প্রবর্তন করে কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার। সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার প্রদান করা হলো আইএফআইসি ব্যাংক নিবেদিত ২০২২ সালের কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার। এদিন সন্ধ্যায় ধানম-ির বেঙ্গল শিল্পালয়ে পুরস্কারজয়ী চার তরুণ কবি ও লেখকের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। কবিতায় ‘সন্দেহ হবে না কেন’ গ্রন্থের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন কবির কল্লোল। কথাসাহিত্যে ‘দূর পৃথিবীর গন্ধে’ গ্রন্থের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন মাসউদ আহমাদ। প্রবন্ধ ও গবেষণায়  ‘কৈবর্ত জাতিবর্ণের ইতিহাস’ বইয়ের পুরস্কার পেয়েছেন নিবেদিতা রায়। শিশু-কিশোর সাহিত্যে ‘কং পাহাড়ে শয়তান’ গ্রন্থের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন মাহফুজ রহমান। পুরস্কারজয়ী প্রত্যেক লেখককে দুই লাখ টাকার সম্মানীসহ স্মারক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। 
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালি ও কলম-এর সম্পাদকম-লীর সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাশেম খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালি ও কলমের প্রকাশক ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের এবং আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ এ সারওয়ার।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক এবং কালি ও কলমের সম্পাদকম-লীর সদস্য লুভা নাহিদ চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, কালি ও কলমের প্রকাশক এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কালি ও কলম সম্পাদক সুব্রত বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুরস্কারের জন্য গঠিত বিচারকম-লীর সদস্য ইমদাদুল হক মিলন পুরস্কারজয়ী লেখকদের নাম ঘোষণা করেন এবং তাদের  সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত কয়েকবছর ধরে আমি এর সঙ্গে যুক্ত। গত দুই বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য বিভাগে পুরস্কার দেওয়া যায়নি। এ শাখায় অত্যন্ত দুর্বল বই জমা পড়ে। আমাদের জন্য খুব বেদনার জায়গা এটি। 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পী হাশেম খান বলেন, কালি ও কলমের শুরুটাই ছিল অত্যন্ত দীপ্তিময়।  আমি শুরু থেকেই এ পত্রিকার পাঠক ও গ্রাহক। প্রথম সংখ্যা থেকেই পত্রিকাটি চমকে দিয়েছিল। পাঠের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে চিনতে পারে। দেশ ও মানুষকে চিনতে পারে। এজন্য আমাদের পাঠ ও পাঠ-উপাদান দরকার। 
শাহ এ সারওয়ার বলেন, মানুষের শৈল্পিক, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি ঘটলে এ সমাজের ইতিবাচক বিবর্তন ঘটতে পারে। তাই আমরা যারা অর্থনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত তারা এই ক্ষেত্রে সৃজনশীল-মননশীল কাজে সাহস শক্তি যুগিয়ে  যেতে পারি। 
পুরস্কার প্রদান শেষে মঞ্চস্থ হয় মণিপুরী থিয়েটারের নাটক কহে বীরা। মাইকেল মধুসূদন দত্তের বীরাঙ্গনা কাব্য অলম্বনে প্রযোজনাটির নাট্যরূপ দেওয়ার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। নাটকটিতে একক অভিনয় করেছেন জ্যোতি সিনহা। 
প্রসঙ্গত, বিচারকম-লীর সিদ্ধান্ত অনুসারে এবার কালি ও কলম পুরস্কারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা ও সাহিত্য বিভাগে মানসম্পন্ন গ্রন্থ জমা না পড়ায় এই বিভাগে কোনো পুরস্কার দেওয়া হয়নি।

×