ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তৌফিক অপু

জন্ম যাদের আজন্ম পাপ

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ৩১ আগস্ট ২০১৮

জন্ম যাদের আজন্ম পাপ

সারারাত ধরেই থেমে থেমে বৃষ্টি, পলিথিনে মোড়ানো ঝুপড়ি ঘরের মানুষগুলো ব্যস্ত ঘরের পানি সরানোতে। সেই সঙ্গে অন্য ব্যস্ততাও যোগ হয়েছে, প্রসব ব্যথায় কাতরাচ্ছে মা। এমন পরিস্থিতিতে ঝুপড়ির অন্যরা যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ভোরের আড়মোড়া ভেঙ্গে সূর্য উকি দিতেই শোনা গেল নবজাতক শিশুর কান্না। এ সময়টাতে শিশু কান্না করলেও অন্যরা আনন্দে মেতে ওঠে। কিন্তু এখানকার পরিস্থিতি সে কথা বলছে না। কারণ একটাই এ যেন এক অনাহূত জন্ম। কারণ এখানে জন্মই যেন আজন্ম পাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আশপাশের ঝুপড়িগুলোর অবস্থাও একই। শিশু জন্মের উচ্ছ্বাস এখানে মিলছে না। শুধুই হাহাকার এবং নিষ্পলক চাহনি। যে চাহনিতে লুকিয়ে আছে হাজারো কষ্ট, ক্ষোভ ও ঘৃণা। দৃশ্যটি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের। পরগাছা পরজীবীর মতো জীবন এখানে পালিত হচ্ছে। যে কারণে শিশু জন্ম এখানকার কাউকে আনন্দিত করে না। মিয়ানমার রাখাইন রাজ্য হতে বিতাড়িত ভাগ্যাতহ মানুষগুলো যে নির্মম নৃশংসতার শিকার হয়েছিল, তাতে করে নব আনন্দে জেগে ওঠার সাহস বা ভরসা কোনটাই তারা পাচ্ছে না। ঠিক এক বছর আগে মিয়ানমান সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের নিশ্চিহ্ন করতে যে অভিযানে নেমেছিল তাতে প্রাণ বাঁচাতে মাত্র তিন সপ্তাহে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আন্তর্জাতি চাপ উপেক্ষা করে এ বর্বরতা চলতে থাকে মাসের পর মাস। আর এ পরিস্থিতিতে সাত লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা ঠাঁই নেয় বাংলাদেশে। এবং এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে মোটেও বিচলিত নয় মিয়ানমার সরকার। নিজেদের অবস্থানে অটুট থাকতে যা যা করণীয় তাই করে যাচ্ছে তারা। যার ফলে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজদেশে ফেরা নিয়ে রয়েছে প্রবল সংশয়। আর এ এক বছরের শরণার্থী জীবনে যেসব শিশু জন্ম নিচ্ছে তারা যেন ভুগছে জাতীয়তাবোধ সংশয়ে। এ যেন কারোরই কাম্য নয়। অনাহূত জন্ম একটি শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যায় নিজ দেশের নাগরিকত্ব। সেই সঙ্গে পেয়ে যায় নাগরিক সব সুযোগ সুবিধা। কিন্তু এ ব্যাপারটি শরণার্থী শিশুদের বেলায় যেন একটু ভিন্ন। তারা জন্ম নিচ্ছে ঠিকই কিন্তু পাচ্ছে না কোন নাগরিকত্ব, পাচ্ছে না কোন সুযোগ সুবিধা। নিজ দেশেও ফিরে যেতে রয়েছে নানা বাধা ও অনিশ্চয়তা এবং অন্যদেশেও তারা পারগাছা। এ জীবন মানুষের হতে পারে তা কল্পনা করাও কষ্টকর। কিন্তু বাস্তবে এমনটাই ঘটছে রোহিঙ্গ শরণার্থী শিবিরে। এ জন্ম যেন অনাহূত। ন্যূনতম ভবিষ্যতটুকুও অপেক্ষা করছে না এ শিশুদের জন্য। আর বেঁচে থাকা.. সে যেন আরেক বিস্ময়! কোন রকম ফার্মের পশু পাখির মতো দু’বেলা খাবার জোটা ছাড়া আর কিছুই যেন নেই তাদের কপালে। মা যদি ঠিকমতো খাবার না পায় তাহলে শিশু তার পুষ্টির পূর্ণতা কিভাবে পাবে? যার ফলে বাড়বে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা। হয়তো মায়ের কোল ছেড়ে মাটিতে নামার আগেই ঝড়ে পরবে অনেক শিশু। চোখের সামনে মায়ের এ কষ্ট বোঝার ভার অন্য কেউ বইতে পারবে না। এ শুধু একজন মা-ই অনুভব করবে। হয়তো এ এক বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম নেয়া শিশুগুলোর মধ্যে অনেকেই এ পরিস্থিতির শিকার হতে পারে। মানবেতর এ জীবন কল্পনাতে আনাও কষ্টকর। কিন্তু বাস্তবে এমনই পরিস্থিতি বিরাজ করছে ক্যাম্পে। কাজী নজরুল ইসলামে একটি গানের দুটো লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে। গানের চরণগুলো হচ্ছেÑ মোর না মিটিতে আশা ভাঙ্গিল খেলা জীবন প্রভাতে এলো বিদায় বেলা সত্যিকার অর্থেই জীবনের প্রভাতে শিশুগুলোর যেন বিদায় বেলা ঘনিয়ে আসছে। আর বেঁচে থাকাও যেন বিশাল সমুদ্র পৃষ্ঠে খড়কুটো ধরে ভাসতে থাকা। জীবন থেমে না থাকলেও ফলাফলহীন গন্তব্য যে পীড়াদায়ক এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। হতভাগ্য জীবন রোহিঙ্গা নির্যাতন মিয়ানমারে নতুন কিছু নয়। এর আগেও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে এদেশে এসেছিল। কিন্তু এবারের ভয়াবহতা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। যে কারণে গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত সাত লাখের অধিক রোহিঙ্গা অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশে। সব মিলিয়ে বর্তমানে এগারো লাখের অধিক রোহিঙ্গা বাস করছে এদেশে। নির্যাতনের মাত্রা কতটা ভয়াবহ হলে মানুষ নিজ দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়। এমন দৃশ্য এদেশ দেখেছিল ১৯৭১ সালে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এবং রাজাকারদের অত্যাচারে অনেক বাঙালী নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল পার্শ্ববর্তী দেশে। কত অশ্রু বিসর্জন এবং কষ্ট নিয়ে যে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তা একমাত্র তারাই জানে। কেউ কখনও নিজ দেশের মায়া ত্যাগ করতে চায় না। পরিস্থিতি বাধ্য করতে এমন কষ্টদায়ক সিদ্ধান্ত নিতে। তবে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সবচেয়ে অসহায় হচ্ছে বাবা মা হীন শিশুগুলো। তারা অন্যের হাত ধরে কোন রকমে এদেশে পালিয়ে এসেছে। নিজ চোখে তারা দেখেছে কতটা নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে তাদের বাবা মাকে। সে আতঙ্ক এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে তারা। এ বয়সে কোথায় এদিক ওদিক ছোটাছুটি করবে তা না উল্টো যাঁতাকলের জীবন বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। নিজেকেই যোগাড় করতে হচ্ছে বেঁচে থাকার আহার। খুঁজে নিতে হচ্ছে মাথা গোঁজার জায়গাটুকু। পরিসংখ্যানে জানা যায় বাবা মা হীন এতিম বাচ্চাদের সংখ্যা প্রায় চল্লিশ হাজার। এই শিশুগুলো জানে না তাদের কখন কি করা উচিত। প্রত্যেকটি শিশুর পথচলা ঠিক করে দেয়ার জন্য বাবা মা কিংবা কোন শিক্ষাগুরু সচেষ্ট থাকে। সন্তান ভবিষ্যতে কি করবে কি হবে তা ঠিক করে দিতেই যেন চোখের ঘুম হারাম হয়ে যায় বাবা মা’র। কিন্তু এদের কি হবে? নিজ দেশে জায়গা তো হলোই না তার ওপর বাবা মা নেই। যে কারণে হাত ধরে ভবিষ্যতের পথ ঠিক করে দেয়ার মানুষও পাশে রইল না। হয়তো এভাবেই একা একা পথ চলে জীবনকে এগিয়ে নেবে শিশুগুলো। কিন্তু বলার মতো কোন জীবন হয়তো সেটা হবে না। আর এভাবেই এ প্রজন্মটা নির্লিপ্ত জীবনের সমাপ্তি ঘটাবে। এক কথায় যাদের বলা হয় ‘লস্ট জেনারেশন’। কোন ধরনের অবদান বা স্বীকৃতি ছাড়া তারা জীবন কাটিয়ে দেবে। পরিচয়পত্র হীন প্রজন্ম প্রত্যেক দেশের নাগরিকের একটি পরিচয় থাকে। সে পরিচয়পত্রে উল্লেখ থাকে একটি দেশের জাতীয়তা। যার ফলে সহজেই শনাক্ত করা যায় কে কোন দেশের নাগরিক। জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্ট একজন ব্যক্তিকে সেদেশের সক্রিয় নাগরিক হিসেবে সাক্ষ্য দেয়। এর জোরে অনেক কিছুই করা সম্ভব। অনেকেই হয়তো ভাবছে জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্ট এ আর এমন কি? কিন্তু যাদের নেই তারা সেই অনুভব করছে এ পরিচয় কতটা গুরুত্ব বহন করে। এই এক বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম নিয়েছে প্রায় ষাট হাজার শিশু। এবং এখনও গর্ভবতী অবস্থায় রয়েছে প্রায় তেত্রিশ হাজার মা। অর্থাৎ তেত্রিশ হাজার আরও নতুন শিশু আলোর মুখ দেখার অপেক্ষায়। বিশাল এ জনগোষ্ঠী পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখবে ঠিকই কিন্তু পাবে না কোন নাগরিকত্ব, কিংবা কোন পরিচয়পত্র। এ অবস্থা যদি চলমান থাকে তাহলে পরিচয়পত্রের অভাবে এদেশের জাতীয় পর্যায়ের কোন কাজে এরা অংশ নিতে পারবে না। বানাতে পারবে না কোন পাসপোর্ট। বঞ্চিত হবে জাতীয় পর্যায়ের সব সুযোগ সুবিধা থেকে। যার ফলে শিশু মন বড় হয়ে ডাক্তার,পাইলট হওয়ার যে স্বপ্ন থাকে তা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হবে। শরণার্থী ক্যাম্পের দু বেলা খেতে দেয়া খাবারের ভরসাতেই কেটে যাবে জীবন। সুযোগ পেলে হয়তো এদের মধ্যে সমাজের সর্বোচ্চ শিখরে আসতে পারত অনেকেই, কিন্তু সে সুযোগটাই যেন নেই ওদের। পরগাছা হয়েই হয়তো জীবন সায়াহ্নে চলে আসবে ওরা। কিন্তু এ পৃথিবী কিছুর দিতে পারল না ওদের। এবং ওরাও কিছু হয়তো দিয়ে যেতে পারবে না পৃথিবীকে। নির্মম এ সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এ প্রজন্ম এখন হতাশায় পুড়ছে। সোচ্চার হোক পৃথিবী জন্মগ্রহণ করা কোন শিশু পাপ করতে পারে না, কিংবা জন্ম কখনও পাপ হতে পারে না। তবে কেন শিশুগুলো শিকার হবে পৃথিবীর নিষ্ঠুরতার। দিন যতই যাচ্ছে ততই যেন অস্থির হয়ে উঠছে পৃথিবী। পৃথিবীতে দিন দিন বাড়ছে শরণার্থীর সংখ্যা। এবং প্রতিটি শরণার্থী পরিবারের জীবন যেন এক সুতোয় গাঁথা হয়ে যাচ্ছে। কেউ যেন দেখেও দেখছে না। ভাবখানা এমন এ আর এমন কি, ওসব কিছু না। মিয়ানমারের রাখাইনে চালানো গণহত্যা কোন কোন দেশ বলছে কোথায় হয়েছে গণহত্যা, এ সামান্য এক অভিযান সন্ত্রাসী নির্মূলের। এই গণহত্যাকে যদি আন্তর্জাতিক মহল স্বীকৃতি না দেয় তাহলে বলতে হবে হিটলারের থার্ড রাইখও ইউরোপে ইহুদীদের ওপর কোন রকম গণহত্যা চালায়নি। লক্ষ লক্ষ নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকে বানানো হচ্ছে সন্ত্রাসী। বাদ যাচ্ছে না শিশু, বৃদ্ধ এবং মহিলা। একটা সময়ে যুদ্ধে শিশু, বৃদ্ধ, মহিলারা আওতার বাইরে থাকলেও এখন যেন ওরাই বড় টার্গেট। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া যুদ্ধের ছবি বা ভিডিও ক্লিপসগুলো দেখলে যেন গা শিউরে ওঠে। বিশিষ্ট চলচিত্র শিল্পী এবং জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংস্থার শুভেচ্ছা দূত কেট ব্লানচেট রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করার সময় বলেন, ‘আমি একজন মা। উদ্বাস্তু শিশুদের চোখের দিকে তাকিয়ে আমি নিজের সন্তানদের দেখতে পেয়েছি’। তিনি আরও বলেন,‘একজন মা কিভাবে তার চোখের সামনে তার সন্তানদের আগুনে পুড়িয়ে মারার দৃশ্য দেখে তা সহ্য করবে বলতে পারেন?’ এমন বিবৃতির পরেও যেন কারও কোন সাড়া শব্দ নেই এ অবস্থা উত্তরণের। কেউ হিসেব কষছে না শরণার্থী শিশুদের নিয়ে। এভাবে উদ্বাস্তু হয়ে কে কতকাল জীবন কাটাবে কেউ দিচ্ছে না সে হিসেব। ঝুঁকিপূর্ণ শৈশব দারিদ্র্যের কষাঘাতে অনেক শিশু বিপথে গিয়েছে সেকথা অনেকেই জানে। কিন্তু সে সংখ্যা শতকরা অনুপাতে আশঙ্কাজনক নয়। কিন্তু রোহিঙ্গা যেসব শিশু খেয়ে না খেয়ে ন্যূনতম শৈশবের পরিবেশ না পেয়ে বড় হচ্ছে তারা দিন দিন নিজেরাও ঝুঁকিতে পড়ছে এবং অন্যের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। যে শিশুটি জন্মের পর খেলতে পারেনি, বিনোদনের কোন ছোঁয়া পায়নি সে কিভাবে চিন্তা ও মননে বড় হয়ে উঠবে? তার চারদিকে শুধুই কাদাপানি আর কষাঘাতের জীবন। যার ফলে চিন্তা চেতনার গ-ি ছোট হয়ে আসে। স্বভাবতই এ মেধা নিয়ে বড় কিছু কিংবা ভাল কিছু তার কাছ থেকে আশা করা যায় না। যার জীবনের হিসেবে নিয়ে মাথাব্যথা নেই আছে শুধু বেঁচে থাকার তাগিদ সে তো বেঁচে থাকার জন্য যে কোন পথ অবলম্বন করবে এটাই স্বাভাবিক। খাবারের টান পড়লে সে যেকোন সময় হিং¯্র হয়ে উঠতে পারে। যা সামাজিক ভাবে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে। এ বিশাল জনগোষ্ঠী যদি এমন হতাশায় তাদের জীবন পার করে তাহলে তা যে কোন দেশের জন্য হুমকি। অথচ কোনভাবেই এ শিশুগুলোকে দোষারোপ করা যায় না। ভাবতে হবে আমাদের এখন থেকেই। নিরাপদ শৈশব মানুষকে কাক্সিক্ষত সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই এক বছরে যে শিশুগুলো জন্ম নিল এবং আরও যে সব শিশু জন্ম নেয়ার অপেক্ষায় আছে তারা কখনই নিরাপদ শৈশব পাবে না। যা সত্যিকার অর্থেই দুঃখজনক। কিন্তু এমন ভাগ্য শিশুর জন্য থাকার কথা না। অন্যান্য শিশুর মতো তারও তো শৈশবের চাহিদা পূরণ হবার কথা। নিশ্চিত ও নিরাপদ জীবন পাড়ি দিয়ে কাক্সিক্ষত সফলতার পথে হাঁটার কথা। জাতীয় পরিচয়পত্র বহন করে দেশ-বিদেশ পাড়ি দেয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে কই। এ দায় আমরা কোনভাবেই এড়াতে পারি না। এ শিশুগুলোর অনিশ্চিত ভাগ্য আমরা যেমন সৃষ্টি করেছি তেমনি আমাদেরই উচিত তাদের জন্য নিরাপদ পৃথিবী তৈরি করে দেয়া।
×