ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

বঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা

পুলিশ ক্যাডারে পদোন্নতির স্থায়ী নীতিমালা হয়নি ৫১ বছরেও

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ১৭ মে ২০২২

পুলিশ ক্যাডারে পদোন্নতির স্থায়ী নীতিমালা হয়নি ৫১ বছরেও

শংকর কুমার দে ॥ ‘আগে তারা আমাকে স্যার বলতেন, আমিও স্বাভাবিকভাবে ‘তুমি’ বলতাম। তারা এখন আমাকে স্যার বলেন না, আমিও ‘তুমি’ সম্বোধন করে ডাকি না। কৌশলে কোন সম্বোধন ছাড়াই দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে নিই। আমার অনেক জুনিয়রও (কনিষ্ঠ) আছেন এসব পদে। আমার দফতরের উর্ধতন দুই কর্মকর্তাই জুনিয়র। একজন ১৮তম ব্যাচের (অতিরিক্ত ডিআইজি), আরেকজন ১৭তম ব্যাচের (ডিআইজি)। ১০-১২ বছরের জুনিয়রদের অধীনে একরকম দমবদ্ধ অবস্থায় কাজ করে যাচ্ছি। অথচ এখনও আমি জানি না কেন আমার পদোন্নতি হয়নি। আমার বিরুদ্ধে নেই কোন অভিযোগ বা কোন ধরনের মামলা-মোকদ্দমাও। বাংলাদেশ পুলিশের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) পদে একসঙ্গে গত ১১ মে ৩২ জনকে পদোন্নতি দেয়ার পর নিজের চাপা ক্ষোভ ও হতাশার কথা এভাবেই তুলে ধরলেন পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে ঢাকায় কর্মরত পদোন্নতি বঞ্চিত এক কর্মকর্তা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের পদোন্নতি বা পদায়নের জন্য পৃথক কোন নীতিমালা নেই। নীতিমালার বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সবাই যেন সুযোগ পায় সে চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, অন্যান্য কাডার কর্মকর্তার পদোন্নতির ক্ষেত্রে যেসব বিষয় অনুসরণ করা হয়, পুলিশের ক্ষেত্রেও একই ধরনের বিষয় অনুসরণ করে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। জ্যেষ্ঠতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, সততা, সার্ভিস রেকর্ড, এসিআর ইত্যাদি বিবেচনায় এসএসবি এবং ডিপিসির সভায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনের নিরিখে একটি ক্রাইটেরিয়া নির্ধারণ করা হয়। পুলিশের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি, যোগ্যতা, দক্ষতা, শিক্ষাগত যোগত্যা, এসিআর ইত্যাদি মূল্যায়ন করে পুলিশ সদর দফতর থেকে একটি তালিকা আসত। বড় ধরনের কোন ত্রুটি না থাকলে সেটিকেই অনুমোদন করা হতো। পুলিশে আলাদা নীতিমালা না থাকায় সব ক্যাডারের ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে যেসব নীতিমালা আছে সেটাকেই করা হতো। এসএসবিতে সব ক্যাডারে প্রায় একই নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। তবে পুলিশ বাহিনীকে আরও দক্ষ ও চৌকস এবং গতিশীল করতে আলাদা নীতিমালা তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পুলিশের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) পদে একসঙ্গে ৩২ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে গত ১১ মে। এর আগে কখনও এত সংখ্যক ডিআইজিকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। এবার সর্বোচ্চসংখ্যক পদোন্নতি দেয়া হলেও রেকর্ডসংখ্যক পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছে। পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ার সংখ্যা শতাধিক। এবার যাদের এ পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে তারা বিসিএস পুলিশের ১৮তম এবং ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা। উভয় ব্যাচ থেকেই ১৬ জন করে পদোন্নতি পেয়েছেন। অথচ অষ্টম, ১২তম, ১৫তম এবং ১৭তম ব্যাচের কাউকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। এছাড়া যে দুটি ব্যাচ থেকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে সেখানেও অনেককে সুপারসিড করা হয়েছে। ২০২০ সালে ১১ জন, ২০১৯ সালে আটজন, ২০১৮ সালে ১৭ জন, ২০১৭ সালে ১৫ জন এবং ২০১৬ সালে ১৮ জনকে এ পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই মুহূর্তে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরতদের জ্যেষ্ঠতম হলেন বিসিএস সপ্তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। এ ব্যাচের কর্মকর্তারা পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন ১৯৮৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এই ব্যাচের কর্মকর্তা। এছাড়া সপ্তম ব্যাচের আরও চার কর্মকর্তা এখনও কর্মরত। প্রায় ১৫ বছর ধরে তারা একই পদমর্যাদায় (ডিআইজি) পদে কর্মরত। অথচ এই দীর্ঘ সময়ে অতিরিক্ত আইজিপি পদে কয়েকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাদের জুনিয়র অন্তত ১৪ জন কর্মকর্তা এখন অতিরিক্ত আইজিপি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এদের মধ্যে ১২তম ব্যাচের কর্মকর্তাও আছেন। অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতির প্রসঙ্গ এলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তার নাম আলোচনায় আসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পদোন্নতির প্রজ্ঞাপনে তাদের নাম দেখা যায় না। পুলিশ সদর দফতর জানায়, পুলিশে কর্মরতদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন বিসিএস অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তারা। এ ব্যাচের কর্মকর্তারা ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি), সিআইডি প্রধান ও ডিএমপি কমিশনার-তারা সবাই অষ্টম ব্যাচের। তাদের পদমর্যাদা অতিরিক্ত আইজিপি। কিন্তু এই ব্যাচের কোন কোন কর্মকর্তা এখনও এসপি হিসেবে কর্মরত। এর মধ্যে একজন কর্মকর্তা এসপি হয়েছেন ২০ বছর আগে। আরেক একজন কর্মকর্তা এসপি হয়েছেন ১৯ বছর আগে। এখনও তারা একই দায়িত্ব পালন করছেন। এই দুজন পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে একজন চলতি বছর এবং অপর জন আগামী বছর অবসরে যাবেন। অথচ তাদের ব্যাচমেটদের কেউ কেউ ইতোপূর্বে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে অবসর নিয়েছেন। এখনও তাদের ব্যাচমেটদের কেউ ডিআইজি, আবার কেউ অতিরিক্ত আইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশ প্রশাসনের ১২তম ব্যাচের পদোন্নতি বঞ্চিত একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আমি ট্যুরিস্ট পুলিশে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে কর্মরত। অথচ আমার ব্যাচমেটদের ৮-১০ জন অতিরিক্ত আইজিপি পদে অধিষ্ঠিত। এমনকি ১৫তম ব্যাচ থেকেও পাঁচজন অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে ইতোপূর্বে পদোন্নতি পেয়েছেন। এবার যখন ডিআইজি পদে পদোন্নতির তালিকা করা হলো তখন ভেবেছিলাম অন্তত ডিআইজি হওয়ার সুযোগ পাব। কারণ তালিকায় আমার নাম শুরুর দিকে ছিল। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা। আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার পদোন্নতি না হওয়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। এবারের পদোন্নতিতে অষ্টম ব্যাচের দুজন পুলিশ কর্মকর্তা চরমভাবে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন। ১২তম ব্যাচের বঞ্চিত হয়েছেন অন্তত দশ জন। পদোন্নতিবঞ্চিত বিসিএস ১৫তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা হতাশার কথা জানিয়ে বললেন, আমার ব্যাচমেটরা অতিরিক্ত আইজি, ডিআইজি। অথচ আমি অতিরিক্ত ডিআইজি। এবার যেহেতু পদোন্নতি হলো না, ভবিষ্যতে আর আমার পদোন্নতি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না। তিনি বলেন, ব্যাচের মেধা তালিকায় আমি ছিলাম ৪০-এর মধ্যে। মেধায় যিনি ৬০-এর পরে ছিলেন তিনিও অনেকদিন ধরে ডিআইজি হিসেবে কর্মরত। যেহেতু ২০ ব্যাচ থেকে ডিআইজি বানানো হলো-তাহলে এটা পরিষ্কার যে, ১৫, ১৭ এবং ১৮তম ব্যাচের বঞ্চিতরা আর ডিআইজি হওয়ার সুযোগ পাবে না। আরেক পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তা হলেন বিসিএস ১৫তম ব্যাচের। হতাশার কথা জানিয়ে তিনি বললেন, আমি এসপি হয়েছি ২০০৫ সালে। আমার ব্যাচমেটরা ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি। ইতোমধ্যে একজন অতিরিক্ত আইজিপি (চলতি দায়িত্ব) পালন করছেন। আরও কেউ কেউ অতিরিক্ত আইজিপি হওয়ার অপেক্ষায়। অথচ আমি ১৬ বছর ধরে এসপি পদেই চাকরি করছি। ব্যাচের মেধা তালিকায় ছিলাম ৪০ এর মধ্যে। মেধায় যিনি ৬০ এর পরে ছিল তিনিও এখন ডিআইজি। আমার বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে নেতিবাচক মন্তব্য নেই। তার পরও পদোন্নতি পাচ্ছি না। শুধু উল্লিখিত দুই কর্মকর্তাই নন, বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা পদোন্নতিবঞ্চিত অবস্থায় কর্মরত। আবার অনেকে বছরের পর বছর পদোন্নতিবঞ্চনার শিকার হয়ে চলে গেছেন অবসরে। অথচ তাদের সবারই পদোন্নতি পাওয়া সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ছিল-নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পদোন্নতিবঞ্চিত একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় নেতিবাচক ভাবমূর্তি, সংশ্লিষ্টদের ‘ম্যানেজ’ করতে না পারা ও সিনিয়রদের ‘গুডবুকে’ না থাকার কারণেই যোগ্য কর্মকর্তারা পদোন্নতিবঞ্চিত হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে কৌশলে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে গোয়েন্দা প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্তও ন্যূনতম যাচাই-বাছাই করা হয় না। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ১৫তম ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তারা সবচেয়ে বেশি বঞ্চিতÑ এমন তথ্য জানিয়েছেন একাধিক অতিরিক্ত ডিআইজি এবং এসপি। একজন অতিরিক্ত ডিআইজি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের ব্যাচে যারা অতিরিক্ত ডিআইজি রয়েছেন, তাদের ডিআইজি না বানিয়ে ১৭তম ব্যাচের ১৪ জনকে গত বছর ডিআইজি পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। ১৪টি ডিআইজির পদ খালি হওয়ার পর উচিত ছিল ১৫ ব্যাচের যারা অতিরিক্ত ডিআইজি ছিলেন তাদের পদোন্নতি দেয়া। কিন্তু তা না করে ১৭ ব্যাচ থেকে সব খালি পদে পদোন্নতি দেয়া হলো। একজন এসপি জানান, ১৫তম ব্যাচ থেকে যাদের ডিআইজি পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে তাদের সিরিয়াল ছিল অনেক নিচে। সিনিয়রিটি মানা হলে তাদের ডিআইজি হওয়ার সুযোগ ছিল না। তিনি বলেন, আমাদের ব্যাচে এসপি পদে পদোন্নতি দেয়ার সময় পর্যন্ত সবকিছুই ঠিক ছিল। কিন্তু এসপি পদের উপরে পদোন্নতি যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী হয়নি। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার ৫১ বছরেও পুলিশ ক্যাডারে পদোন্নতির জন্য কোন স্থায়ী নীতিমালা বা বিধিমালা তৈরি হয়নি। বিভিন্ন সময়ে নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। আর নীতিমালা না থাকায় বঞ্চিতদের লাইন দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। কারণ নীতিমালা হলে পদোন্নতির সুনির্দিষ্ট মানদ- থাকবে। ইচ্ছে করলেই যখন-তখন জ্যেষ্ঠদের ডিঙ্গিয়ে কনিষ্ঠদের পদোন্নতি দেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে বঞ্চিতদের সংখ্যা অনেকটাই কমে আসবে বলে মন্তব্য করেন পুলিশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানান, এএসপি থেকে অতিরিক্ত ডিআইজির পদোন্নতি হয় ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটির (ডিপিসি) মাধ্যমে। ডিআইজি থেকে অতিরিক্ত আইজিপি পর্যন্ত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি হয় সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) মাধ্যমে। আর ননক্যাডার কর্মকর্তাদের (কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক) পদোন্নতি হয় পুলিশ সদর দফতরের মাধ্যমে। পদাধিকার বলে এসএসবির প্রধান থাকেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং ডিপিসির প্রধান হচ্ছেন স্বরাষ্ট্র সচিব। পুলিশের পদোন্নতির সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পুলিশ এখন একটি বড় বাহিনী। এই বাহিনীর পৃথক পদোন্নতি নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। নীতিমালা হলে পদোন্নতির সুনির্দিষ্ট মানদ- থাকবে। ইচ্ছে করলেই যখন-তখন জ্যেষ্ঠদের ডিঙিয়ে কনিষ্ঠদের পদোন্নতি দেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে বঞ্চিতদের সংখ্যা অনেকটাই কমে আসবে। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডে (এসএসবি) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিনিয়র সচিবরা। পুলিশের সাবেক একজন আইজিপি বলেছেন, আমরা সব সময়ই দেখছি পদোন্নতির সময় কিছু যোগ্য কর্মকর্তা বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা ওই কর্মকর্তাদের জন্য খুবই কষ্টের। কেন যোগ্যরা বাদ পড়ছেন সেটা সংশ্লিষ্ট বিভাগকে খতিয়ে দেখতে হবে। বঞ্চিতরা যাতে পরবর্তীকালে মূল্যায়িত হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। নিজস্ব নীতিমালার অভাবে পদোন্নতি ঘিরে বাহিনীর ভেতর অসন্তোষ রয়েছে। পুলিশে কেবল পদোন্নতি নয়, পদায়নের ক্ষেত্রেও একটি নীতিমালা থাকা উচিত। কেউ এসপি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে জেলার দায়িত্ব পেতে চান। কিন্তু নীতিমালা না থাকায় দেখা যাচ্ছে, একজনই ঘুরেফিরে কয়েকটি জেলায় দায়িত্ব পালন করছেন। আবার অনেকে একবারও সুযোগ পাচ্ছেন না। এছাড়া নিজস্ব নীতিমালার অভাবে পদোন্নতি ঘিরেও বাহিনীর ভেতর অসন্তোষ রয়েছে। অনেকেই নিজেদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে মনে করেন। নীতিমালা থাকলে এবং তা বাস্তবায়িত হলে এতটা বঞ্চিত হওয়ার সুযোগ থাকত না। আমি যতটুকু জানি, পুলিশের পদোন্নতি-পদায়নের নীতিমালা তৈরির চিন্তা-ভাবনা চলছে। এটা না হলে পুলিশে হতাশা বাড়বেই।
×