যুক্তরাষ্ট্রের ধনী ফুটবলার র‌্যাপিনো ও মর্গান

জিএম মোস্তফা ॥ ইউরোপিয়ান ফুটবলে এখন চলে টাকার খেলা। বস্তা বস্তা টাকা নিয়ে খেলোয়াড় কেনায় ব্যস্ত থাকে শীর্ষ সারির ক্লাবগুলো। যে কারণে ফুটবলাররাও সেই সুযোগে দেশের শীর্ষ সারির ধনীদের তালিকায় জায়গা করে নেয় খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে। তবে ক্লাব কিংবা ইউরোপের কোন দেশ নয় এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পাঁচ ধনী ফুটবলারের আয়। যেখানে রয়েছেন কার্লি লয়েড-মেগান র‌্যাপিনো এবং এ্যালেক্স মর্গানদের মতো বিশ্বের শীর্ষ সারির প্রমীলা ফুটবলাররা।

কার্লি লয়েড ॥ আমেরিকার শীর্ষ ধনী ফুটবলারদের মধ্যে সবার উপরে রয়েছেন কার্লি লয়েড। গত বছরেই ফুটবলকে বিদায় বলে দিয়েছেন তিনি। ৩৯ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি ফুটবলার ২০০৮ এবং ২০১২ অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতেছেন। গত বছর টোকিও অলিম্পিকে অবশ্য ব্রোঞ্জ জিতেছে তার দল। গত বছরের মার্চে বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত নারী খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। যার বার্ষিক বেতন ৫১৮,০০০ ইউএস ডলার।

মেগান র‌্যাপিনো ॥ ৩৬ বছর বয়সী মেগান র‌্যাপিনো এখনও মাঠ কাঁপিয়ে চলেছেন। তাকে ৯০ দশকের মিয়া হাম্ম এর সঙ্গে তুলনা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের যে মানুষটি খেলাধুলার কিছুই জানে না সেই ব্যক্তির কাছেও পরিচিত নাম এই র‌্যাপিনো। ২০০৬ সাল থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে চলেছেন। এই সময়ে আমেরিকার হয়ে ১৮৭ ম্যাচ খেলে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন ৬২ বার। কার্লি লয়েডের পরই যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধনী ফুটবলার তিনি। মার্চে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন মেগান র‌্যাপিনো। যার বার্ষিক বেতন ৪৪৭,০০০ ইউএস ডলার।

এ্যালেক্স মর্গান ॥ ২০১১ বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এ্যালেক্স মর্গান। সে বছরেই বাজিমাত করেছিলেন তিনি। সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে দুটি গোল করেছিলেন এই আমেরিকান স্ট্রাইকার। সেই মর্গানই এখন আমেরিকান ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। ১৯০ ম্যাচে যার গোলসংখ্যা ১১৫। ২০১৯ সালে করেছিলেন শততম গোলের মাইলফলক।

শুধু ফুটবল নয়? বিশ্বের প্রায় সব ক্রীড়াঙ্গনের মধ্যেই অন্যতম জনপ্রিয় এ্যাথলেট হিসেবেও বিবেচনা করা হয় তাকে। গত বছর টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী এই তারকা স্ট্রাইকারের বার্ষিক বেতন ৪৫০,০০০ ইউএস ডলার।