ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ২৫টি খাল

প্রকাশিত: ১৭:০৩, ২৫ জানুয়ারি ২০২২

বাউফলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ২৫টি খাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী ॥ বাউফলের ছোট-বড় ২৫ খাল এখন প্রায় মৃত। দীর্ঘদিন ধরে খাল পুন:সংস্কার না করা, অপরিকল্পিত সুইস গেট নির্মান, বাধঁ দেওয়া, কালভার্ট নির্মাণ এবং প্রভাবশালীদের দখলের কারণে খালগুলো বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এক সময়ে এসব খাল পানিতে থৈ থৈ করত। এখন বর্ষা শেষ হতে না হতেই খালে পানি থাকে না। খালগুলো মরে যাওয়ায় এলকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়। যার ফলে জমিতে সেচ দিতে কৃষকদের মারাত্মক সংকটে পড়তে হয়। এতে ব্যহত হচ্ছে বাউফলের কৃষি কাজ ও নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা। জানা গেছে, ২০-২৫ বছর আগেও খালগুলোতে ৬-৭ ফুট পানি থাকত, ফলে বছর জুড়েই নানা ধরণের নৌযান চলাচল করত। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তন, স্লুইস গেট ,ব্রীজ কালভার্ট, নদী দখল করে বসতি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরির ফলে নদীগুলো সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। উপজেলার মদনপুরা বাজার খেকে বাউফল পর্যন্ত খালটিতে এক সময়ে ছোট-বড় নানা ধরনের যানবহন চলাচল করত। কিন্তু খালটির বর্তমান অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে শুকনো মৌসুমে পানিই থাকে না। ফলে কৃষিকাজে পানি সেচের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। বগা-কালাইয়া খালটি ছিল সারা দেশের সঙ্গে অভান্তরীন নৌ-যোগাযোগের একমাত্র পথ। বরিশাল-ঝালকাঠীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পন্য সরবরাহের কাজ করত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এই খালটির বিভিন্ন স্থানে পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে নৌ-যোগাযোগ। বাউফল-নওমালা খালটি উপজেলা সদরের সংগে ওই ইউনিয়নের মানুষের নৌপথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু সময়ে বিবর্তনে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে ওই খালটি দিয়ে পন্য ও যাত্রী পরিবহন। মৃত প্রায় ওই খালটিতে শুকনো মৌসুমে একটুও পনি থাকে না। এ ছাড়াও গোলাবাড়ী- নুরাইনপুর খাল, মদনপুর ইউনিয়নের দরগা বাড়ীর খাল, আলকী খাল, সোনামদ্দিন- কনকদিয়া খাল, কেশবপুর ইউনিয়নের শিকদার বাজার- মমিনপুর-বাজেমহল খাল, মদনপুরা ইউনিয়নের মৃধার বাজার খাল , ধান্দী-সুলতানাবাদ খালসহ প্রায় ২৫টি খালে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা এখন মৃত প্রায়। জরুরী ভিত্তিতে এ সব খাল খনন করা না হলে অচিরেই খালগুলো অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে । বিপর্যয় ঘটবে কৃষি ক্ষেত্রে।
×