ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লাইজু আক্তার

নজরদারি জরুরী

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ৬ জানুয়ারি ২০২২

নজরদারি জরুরী

আজকাল দুর্ঘটনাটা যেন আমাদের নিত্যদিনের ঘটনার রূপ নিয়েছে। একটি দুর্ঘটনা যে কতটা বেদনাদায়ক তা শুধু ভুক্তভোগী পরিবারগুলোই বোঝে। কারণ দুর্ঘটনায় হয় তো প্রাণ যায় একটি কিন্তু থমকে যায় পুরো একটি পরিবার। যার দায়ভার কেউ নিতে রাজি হবে না। সড়ক দুর্ঘটনা, রেল দুর্ঘটনার সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে নৌ দুর্ঘটনা। নৌপথেও নিরাপদ নয় কোন যাত্রী। যাত্রী নিরাপত্তায় প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থাও চোখে পড়ার মতো নয়। বলছি ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা টু বরগুনা অভিমুখী অভিযান- ১০ নামক লঞ্চ দুর্ঘটনার কথা। লঞ্চটিতে রাত আড়াইটার দিকে ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন এসে পুরো লঞ্চটিকে জ্বালিয়ে দিল, তরতাজা প্রাণ কেড়ে নিল ৫০টিরও অধিক। আহত রয়েছেন শতাধিক যাত্রী এবং নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। এগুলোর দায়ভার কে নেবে? প্রশাসন যে দায়ভার নেবে না তা নিশ্চিত আর নিলেও পারবে না একটি প্রাণ ফিরিয়ে দিতে। তাই সেদিকে কিছু বলতে চাচ্ছি না। বলছি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের কথা। পত্রিকার আলোকে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পতিত লঞ্চটির ফিটনেস ঠিক ছিল না, ছিল না অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা, অগ্নি শনাক্তকরণ ও সতর্কীকরণ যন্ত্র থাকলেও তা ছিল দুর্বল তথা নষ্ট। এ ছাড়াও ছিল না যাত্রী নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত জনবল। আমার প্রশ্ন যাত্রী নিরাপত্তার বিধান না মেনেই কেন লঞ্চটি নৌপথে যাত্রী সেবা প্রদান করছে? এগুলো দেখার কি কেউ নেই? প্রশাসন প্রাণের দায়ভার না নিতে পারলেও যাত্রী নিরাপত্তার দায়ভার তো নিতেই পারে। এটা কি প্রশাসনের নজরদারির বিষয় না? আমার বিশ্বাস প্রশাসন যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়গুলোতে নজরদারি বাড়ালে এ রকম অনেক দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাবে যাত্রীরা। একটু সচেতনতা আর নজরদারির মাধ্যমে এড়ানো যেতে পারে পরবর্তী দুর্ঘটনাগুলো। দুর্ঘটনার মতো অনাকাক্সিক্ষত বিষয়গুলোর সম্মুখীন যেন হতে না হয় কোন যাত্রীকে। তাই যাত্রী নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দিকে নজর দেয়া হোক। নৌপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী, মালামল যেন না ওঠানো হয় সেদিকটাও নজর দেবে বলে আশা ব্যক্ত করছি। সামান্য অসচেতনতার জন্য কোন দুর্ঘটনায় পড়ে যাত্রীদের অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু কারোই কাম্য নয়, তাই এ রকম পরিবহনগুলোর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হোক সেই সঙ্গে সকল নৌযানের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে যেন যাত্রী সেবায় নিয়োজিত না থাকে সেদিকেও নজরদারি বাড়ানো হোক। নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ থেকে
×