অনলাইন ডেস্ক ॥ খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামে পুকুর থেকে বাবা-মা ও কন্যাসন্তানের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাতে নিহত হাবিবুর রহমানের মা কোহিনুর খানম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে এ মামলা করেন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- সুলতানা (২৫), নাঈম (২২), জিয়া (২৭) ও কিবরাল (৩০)।
সোমবার রাতে কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামে বাবা-মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ এখনও খুনির খোঁজ পায়নি।
ওসি বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক নারীসহ মোট চারজনকে তারা আটক করেছেন। তাদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রাজমিস্ত্রির ওই পরিবারে লুট করার মত তেমন কোনো মালপত্র নেই জানিয়ে ওসি বলেন, ধর্ষণের পর এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া খুনি ধরার জন্য এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
পুলিশের ধারণা এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।