ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় চাঞ্চল্যকর সাব-রেজিস্ট্রার হত্যার দায়ে ৪ আসামির ফাঁসি, এক জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

কুষ্টিয়ায় চাঞ্চল্যকর সাব-রেজিস্ট্রার হত্যার দায়ে ৪ আসামির ফাঁসি, এক জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ায় চাঞ্চল্যকর সাব রেজিস্ট্রার নুর মোহাম্মদ শাহ হত্যা মামলায় ৪ আসামির ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক জনকীর্ণ আদালতে এ রায় পড়ে শোনান কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ( প্রথম আদালত) তাজুল ইসলাম। এ সময় ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার গট্টিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাইদুল ইসলাম, একই উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে মশিউল আলম ওরফে বাবুল ওরফে বাবলু, খোকসার উপজেলার মাঠপাড়া এলাকার ইন্তাজ আলী শেখের ছেলে ফারুক হোসেন এবং কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার গোলাম কিবরিয়ার ছেলে কামাল শেখ ওরফে কামাল হোসেন। এছাড়া মনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু নামের অপর আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। আদালত ও পুলিশ সুত্র জানায়, কুষ্টিয়া সদর সাব-রেজিস্ট্রার নুর মোহাম্মদ শাহকে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর রাতে কুষ্টিয়া শহরের আড়–য়াপাড়া এলাকার বাবর আলী গেটের ভাড়া বাসায় গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে রান্নাঘর থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই কামরুজ্জামান শাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামিদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে তৎকালিন পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত নিজেই মাঠে নামেন। তিনি কয়েকদিনের মধ্যে আসামিদের চিহিৃত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার বিষয়টি স্বীকারও করেন। পরে মামলার তদন্তাকরি কর্মকর্তা ২০১৯ সালেল ১৮ জানুয়ারি তদন্ত শেষে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশীট দাখিল করেন। অর্থ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হত্যাকান্ডটি ঘটে বলে চার্জশীটে উল্লেখ করা হয়। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও প্রমানের ভিত্তিতে মঙ্গলবার আদালত এই রায় প্রদান করেন। রাষ্টপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান,‘ মামলাটি অলোচিত ছিলো। পুলিশ তদন্ত করে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দেয়। আসামিরাও তাদের দোষ স্বীকার করে। সবদিক বিবেচনা করে আদালতের বিচারক রায় দিয়েছেন। এতে ন্যায় বিচার পেয়েছে সাব-রেজিষ্টার নুর মোহাম্মদের পরিবার।
×