ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিবন্ধ ছাড়াই শুধুমাত্র ইউপি চেয়ারম্যানদের দেয়া পরিচয়পত্রে করোনা

ভ্যাকসিন পাবে লালমনিরহাটের ৫৯টি বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী

প্রকাশিত: ১৫:২১, ২ আগস্ট ২০২১

ভ্যাকসিন পাবে লালমনিরহাটের ৫৯টি বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ দেশের ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী এনআইডি কার্ড ছাড়াই করোনা ভ্যাকসিন মাঠ পর্যায়ের কেন্দ্র হতে গ্রহন করতে পারবেন। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের ঘোষনা। বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর ভ্যাকসিন নিয়ে দূর্ভোগ লাঘব। বিলুপ্ত ছিটমহল গুলোতে স্বস্তি ফিরে এসেছে। করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে জঠিলতা নিরসন হয়ে গেছে। ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলে আইডি এনআইকার্ড জটিলতায় করোনা ভেকসিন গ্রহনের নিবন্ধন করতে পারছেন না ছিটমহলের অধিবাসী গণ। এই নিবন্ধন জঠিলতায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র, তথ্য সেবা কেন্দ্র ও ইউপি পরিষদ দৌড়ঝাপ করতে কওে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে বিলুপ্ত শতশত ছিটমহলবাসী। সঠিক জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকায় অনলাইনে ভ্যাকসিনের নিবন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই উপজেলা ও জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে করোনাকালীণ সময়ে সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে ধরর্ণা দিচ্ছে। দুরদুরান্ত হতে এসে অসিফ বন্ধ পেয়ে হতাশ হয়ে ঘুরে যাচ্ছে। এই সুযোগে নির্বাচন অফিস গুলোর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারিগণ নিরীহ অসহায় বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর কাছ হতে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। তার অবসান হয়ে গেলে। জেলা প্রশাসক আবু জাফর ঘোষনা দিয়েছেন মকলে ভ্যাকসিন পাবেন। মাঠ পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের সনাক্ত পত্র নিয়ে এসে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী ভ্যাকসিন দিতে পারবেন। জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাত হতে বাংলাদেশের ভিতরে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহল বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই সব ছিটমহলের ভূমি ও জনসাধারণ বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যায়। এমন ভাবে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহ যেগুলি ভারতের ভিতরে ছিল সেগুলি ভারতের হয়ে যায়। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ছিটমহল বলে কিছু নেই। বাংলাদেশের ভিতরে থাকা ৫৯টি বিলুপ্ত ছিটমহল লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা ও জেলা সদরে রয়েছে। এসব বিলুপ্ত ছিটমহল প্রায় ১০-১৫ হাজার মানুষ বসবাস করছে। এসব মানুষের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন সময় নানা প্রান্ত হতে জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করে ছিল। বেশীরভাগ মানুষের কোন জাতীয় পরিচয় পত্র ছিল না। ৬৮ বছর পর ছিটমহল বিনিময় চুক্তি হওয়ায় নাগরিকত্ব পেয়ে যায়। বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী গণ সরকারের কাছ হতে নানা সুযোগ সুবিধা পায়। ফলে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী গণ ছিটমহলের অধিবাসী হতে স্বীকৃতি পেতে ছিটমহলের নাগরিকত্ব ও জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহন করতে ফরমপুরন করে। তড়িঘড়ি করতে গিয়ে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিনও সেই জাতীয় পরিচয় পত্রের সমস্যা সমাধান হয়নি। তাই করোনা ভ্যাকসিন নিতে ও ভ্যাকসিন গ্রহনে নিবন্ধন করতে অনলাইনে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তারা নিবন্ধন করতে পারছেনা। বিলপ্ত ছিটমহলে নিবন্ধন বিহীন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ভ্যাকসিন নিতে পারছেনা। ডসভিল সার্জন ডাঃ নির্মূলন্দ্র রায় জানান, বর্তমানে অনলাইনে ভ্যাকসিন গ্রহনের নির্দেশনা রয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র বিহীন বা কোন সমস্যায় যারা নিবন্ধন করতে পারছেননা তাদেও সম্পর্কে কোন দিক নির্দেশনা এখনো আসেনি। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুরুল হাসানকে বারবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর জানান, কোন সমস্যা নেই। যাদের পরিচয় পত্র দিয়ে অনলাইনে নিবন্ধ হচ্ছেনা। তাদের পরিচয়পত্র নম্বর ম্যানুয়ালি নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কেন্দ্র গুলো হতে ভ্যাকসিন গ্রহন করতে পারবেন। এছাড়াও বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী গণ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যানের কাছ হতে ভ্যাকসিন গ্রহনে করতে সনাক্ত পত্র নিয়ে এলেও ভ্যানসিন দেয়া হবে। এমন ব্যবস্থা করে নির্দেশনা দেয়ার ব্যবস্থা করছি। দেশের অভ্যন্তরে থাকা কোন নাগরিক করোনা ভ্যকসিনের আওতা হতে বাদ যাবেনা।
×