ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গফরগাঁওয়ে সাধারণ মানুষের করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ কম

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ২৮ জুলাই ২০২১

গফরগাঁওয়ে সাধারণ মানুষের করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ কম

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও ॥ ময়মনসিংগের গফরগাঁওয়ে ঈদেরপর দিন থেকে সর্দি-কাশি, গলা ব্যাথা, পাতলা পায়খানা নিয়ে গত ৭ দিনে হাসপাতালে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন, প্রায় ১৬’শ রোগী। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (২৭জুলাই) ১ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২৭ জন। গত ৭ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭২ জন। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা আতংক থাকলেও করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ কম। আউটডোর বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ, মধ্যবয়স্করাই বেশী। করোনা মহামারী এ সময়ে যে কারনেই সর্দী-কাশি, গলা ব্যাথা, পাতলা পায়খানা হোক না কেন, অবহেলা না করে করোনা পরীক্ষা ও সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। জানা যায়, মহামারী করোনা ভাইরাসের ভয় থাকলেও রোগীরা হাসপাতালে পরীক্ষা না করে ঝামেলা এড়াতে তারা যাচ্ছেন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ও ফার্মেসীতে। অনেকেই আবার পল্লী চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে ফামের্সী থেকে ঔষধ নিয়ে ভাল ও হচ্ছে। আবার অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছে হাসপাতালের আউটডোরে। কয়েকটি ফার্মেসীর মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বিভিন্ন কোম্পানীর নাপা, প্যারাসিটামল ও এন্ট্রিবায়োটিক ঔষধ নিচ্ছেন রোগীরা। কেউ কেউ ভালো হচ্ছেন, ফামের্সীতে ঔষধ নিতে আসা চরআলগী গ্রামের বাচ্চু মিয়া বলেন, হাসপাতালে গেলেই করোনা পরীক্ষা দিবে, আমার ঘরে ৪ জন রোগী, তাই হাসপাতালে না গিয়ে গঞ্জের এক ডাক্তার দেখিয়েছি। এন্ট্রিবায়োটিক খেলেই কমে যাবে। ভালো না হলে ডাক্তারের কাছে যাবো। পৌরশহরের মধ্য বাজারের এক ঔষধ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, প্রতি দিন সর্দি -কাশি, জ্বর, পাতলা পায়খানা নিয়ে গড়ে ৪ থেকে ৫০ জন রোগী আসে গ্রাম থেকে। তাই এইসব রোগের ঔষধ বিক্রি বেড়ে গেছে। এ ধরনের বেশির ভাগ রোগী স্বজনরা হাসপাতালে না গিয়ে ফামের্সী গুলোতে এসে উপসর্গের কথা বলে ঔষধ নিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্স সূত্রে জানা যায়, গত ৭ দিনে গফরগাঁও উপজেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৭২ জন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের, আর আউটডোর বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ১৬’শ রোগী। উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাইনুদ্দিন খান জানান, গরীব, অসহায় রোগীদের জন্যই করোনা পরীক্ষা সম্পূর্ণ ফ্রী, জ্বর, সর্দি-কাশির তুলানায় পরীক্ষা যথেষ্ট নয়। ডাক্তাররা পরামর্শ দেওয়া সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ করোনা পরীক্ষা করাতে চায় না। গফরগাঁও পৌরসভাসহ ১৫টি ইউনিয়নেই এমনকি গ্রাম গঞ্জেও করোনা ছড়িয়ে পরেছে। এর পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে। তাই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, মহামারী করোনার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে অসুস্থদের করোনা পরীক্ষা আওতায় আনতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সর্বত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
×