স্টাফ রিপোর্টার ॥ কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ সারাহ বেগম কবরীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার। এদিন দুপুরে তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবরীর ব্যক্তিগত সহকারী নূর উদ্দিন।
অন্যদিকে চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফারুক পাঠান সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ১৬/১৭ দিন ধরে ফারুক অচেতন আছেন। হাত-পা মাঝে মাঝে নাড়াচ্ছেন। তবে তিনি কথা বলছেন না। চোখও মেলছেন না। এই অবচেতন অবস্থতেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান বৃহস্পতিবার সকালে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে হোয়াটসআপে এ কথা জানান।
কবরীর ব্যক্তিগত সহকারী নূর উদ্দিন বলেন, বুধবার রাতে ম্যাডামের অক্সিজেন লেভেল অনেক কমে যায়। যেজন্য তাকে আইসিইউতে নেয়া খুব জরুরী হয়ে পড়ে। কুর্মিটোলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেক চেষ্টা করেও আইসিইউর ব্যবস্থা করতে পারেনি। তারপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহযোগিতায় শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের আইসিইউতে ম্যাডামকে ভর্তি করা হয়েছে। ফুসফুস কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে রিপোর্ট এখনও আমরা হাতে পাইনি। সবার কাছে ওনার জন্য দোয়া চাইছি। তিনি জানান, গত ৫ এপ্রিল কবরীর নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ওইদিন রাতেই তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ফারুকের চিকিৎসার যেকোন খবরাখবরের জন্য তার স্ত্রী ফারহানা পাঠান ও ছেলে শরতের মুখ নিসৃত কথার বাইরে অন্য কারো কথার ওপর আস্থা না রাখার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করেছেন ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান। ফারহানা পাঠান বৃহস্পতিবার সকালে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে হোয়াটসআপে কথা বলা প্রসঙ্গে বিনীত অনুরোধ করে বলেন, প্লিজ কেউ তার (ফারুক) শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। তিনি লাইফ সাপোর্টে নয়, তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চাই আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ করে তোলেন। আর সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিশেষ অনুরোধ থাকবে সরাসরি আমাদের সঙ্গেই যেন যোগাযোগ করেন। কারণ আমরা তার কাছে আছি, পাশে আছি, আমরাই ভাল বলতে পারব তিনি কেমন আছেন। ফারহানা পাঠান জানান ১৬/১৭ দিন ধরে ফারুক অচেতন আছেন। হাত-পা মাঝে মাঝে নাড়াচ্ছেন তিনি। তবে তিনি কথা বলছেন না। চোখও মেলছেন না। এই অবচেতন অবস্থতেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
জানা যায়, ১৬ মার্চ ফারুকের একটা খিঁচুনি হয়। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবার খিঁচুনি হয়। যে কারণে ২১ মার্চ তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। চিকিৎসার পর মস্তিষ্কে সমস্যা ধরা পড়ে। ২৩ মার্চ থেকে সেন্স পুরোপুরি চলে যায়। এরপর আর কোন নড়াচড়া করেননি। রক্তচাপও কমে যায়। এক পর্যায়ে চিকিৎসকরা তার মস্তিষ্কের নার্ভে এক ধরনের খারাপ জীবাণুর সন্ধান পান। পরবর্তীতে শরীরের ভেতরেও রক্তক্ষরণ হয়েছে। যে কারণে অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। ফারহানা পাঠান জানান, মস্তিষ্কের সমস্যার উন্নতি হচ্ছে খুব ধীরে। একটার পাশাপাশি আরেকটা সমস্যা ধরা পড়ছে। তবে কোন অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ছে না। স্বাভাবিক নিয়মে নিশ্বাস নিতে পারছেন।
আট বছর ধরে সিঙ্গাপুরে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা নিয়ে আসছেন ফারুক। এদিকে দেশ ছাড়ার আগে তিনটি গল্প নিয়ে তিনি সিনেমা নির্মাণের কথা অনেক আগে থেকেই ভেবে রেখেছেন। তিনটি গল্পের বিষয়বস্তু হচ্ছে একটি দেশ ভাগের গল্প, একটি মানবিক গল্প এবং আরেকটি রাজনৈতিক গল্প। তবে কোনটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহ রয়েছে সে বিষয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।