ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

৯ হাজার ১৯ কোটি ৪ লাখ টাকার গ্যাস বিল বকেয়া

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ২০ জানুয়ারি ২০২১

৯ হাজার ১৯ কোটি ৪ লাখ টাকার গ্যাস বিল বকেয়া

সংসদ রিপোর্টার ॥ দেশের ছয়টি বিতরণ কোম্পানির বকেয়া গ্যাস বিলের পরিমাণ ৯ হাজার ১৯ কোটি চার লাখ টাকা। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সরকারী দলের সংসদ সদস্য আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি আরও জানান, দেশে বর্তমান বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট। মঙ্গলবার স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে মন্ত্রীর লিখিত জবাবের তথ্যানুযায়ী সব চেয়ে বেশি গ্যাস বিল বকেয়া রয়েছে তিতাসের। তাদের বকেয়া বিলের পরিমাণ ছয় হাজার ৬৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির ৬৯৬ কোটি ৮১ লাখ, কর্ণফুলীর ৮৪৪ কোটি ৯৫ লাখ, জালালাবাদের ৪৮৩ কোটি ৩২ লাখ, পশ্চিমাঞ্চলের ১৯৫ কোটি ১৯ লাখ এবং সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির ১২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী গত ১০ বছরে তিতাস গ্যাসের সিস্টেম লসের তথ্য তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সিস্টেম লস প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এলেও এখন বাড়ছে। গত ১০ বছরের মধ্যে সব চেয়ে বেশি সিস্টেম লস হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। সরকারী দলের সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশে বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট। এর মধ্যে আমদানিসহ গ্রিডভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ২১ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট, ক্যাপটিভ ২৮০০ মেগাওয়াট ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৩৮২ মেগাওয়াট। একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১৪ হাজার ৩৪৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪১টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো ২০২১ হতে ২০২৬ সালের মধ্যে চালু হবে। মোট ২ হাজার ৮৯৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৮টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন। এ বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো ২০২১ হতে ২০২৬ সালের মধ্যে চালু হবে। এছাড়া আরও ৭০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন।
×