ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝুঁকি বীমা না থাকলে মোটরযান বা মালিকের বিরুদ্ধে নতুন সড়ক আইনে মামলার সুযোগ নেই- বিআরটিএ

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ১ অক্টোবর ২০২০

ঝুঁকি বীমা না থাকলে মোটরযান বা মালিকের বিরুদ্ধে নতুন সড়ক আইনে মামলার সুযোগ নেই- বিআরটিএ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা না থাকলে সংশ্লিষ্ট মোটরযান বা মোটরযানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে পরিবহন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা ৬০ এর উপধারা (১) (২) ও (৩) অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক নয়। বুধবার বিআরটিএ চেয়াম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, হাইওয়ে পুলিশপ্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর মো. স্বাধীন খান ও সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিআরটিএ বরাবর আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের সূত্র ধরে বিআরটিএ এর পক্ষ থেকে এ বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক ছিল। এবং এর অধীনে ১৫৫ ধারায় দন্ডের বিধানও ছিল। তবে নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা ৬০ এর উপধারা (১) (২) ও (৩) অনুযায়ী- যেকোনো মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে তার মালিকানাধীন যে কোনো মোটরযানের জন্য যে সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য নির্দিষ্টকৃত তাদের জীবন ও সম্পদের বীমা করতে পারবে। মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠানের অধীন পরিচালিত মোটরযানের জন্য যথানিয়মে বীমা করবেন এবং মোটরযানের ক্ষতি বা নষ্ট হওয়ার বিষয়টি বীমার আওতাভুক্ত থাকবে। বীমাকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হবেন। মোটরযান দুর্ঘটনায় পতিত হলে বা নষ্ট হলে উক্ত মোটরযানের জন্য ধারা ৫৩ এর অধীন গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিল হতে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে না। অর্থাৎ এ ধারা অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক নয় এবং এ আইনের অধীনে লঙ্খন করা হলেও কোনো দন্ডের বিধান নেই। এমতাবস্থায় তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা না থাকলে সংশ্লিষ্ট মোটরযান বা মোটরযানের মালিকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী কোনো মামলার সুযোগ নেই। গত বছর থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হলে বিভিন্ন ধারা নিয়ে মালিক-শ্রমিকদের আপত্তির মুখে সরকারের পক্ষ থেকে এসব ধারা প্রয়োগ বন্ধ করা হয়। এসব ধারা সময়উপযোগি কিনা তা খতিয়ে দেখতে পৃথক কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটি আড়াই মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার কথা থাকলেও বছর পেরিয়েছে। এখন কার্যকর হয়নি নতুন সড়ক আইন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নতুন সড়ক আইন দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নতুন সড়ক আইন পুরোপুরি কার্যকর হলে সড়ক মহাসড়ক হবে নিরাপদ। মানুষ আইন মানতে বাধ্য হবে। তেমনি সড়ক দুর্ঘটনা অনেক নিয়ন্ত্রণে আসবে। যদিও এ ব্যাপারে পরবর্তী কোন অগ্রগতি নেই।
×