ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধু ছিলেন এমন এক মহান ব্যাক্তিকত্ব যাকে কোন বিশেষণে বিশেয়ায়িত করা যাবে না ॥ প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ১৫ আগস্ট ২০২০

বঙ্গবন্ধু ছিলেন এমন এক মহান ব্যাক্তিকত্ব যাকে কোন বিশেষণে বিশেয়ায়িত করা যাবে না ॥ প্রধান বিচারপতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ জাতির জনকের আদর্শকে ধারণ করে আইনের শাসন এবং সকলের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এমন এক মহান ব্যাক্তিকত্ব যাকে কোন বিশেষণে বিশেয়ায়িত করা যাবে না। শনিবার বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানবিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এমন এক মহান ব্যাক্তিকত্ব যাকে কোন বিশেষণে বিশেয়ায়িত করা যাবে না। ভাষা আন্দোলন জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা আন্দোলন ,স্বাধীনতা সংগ্রাম ,মুক্তি সংগ্রাম ,জয়বাংলা ,বাঙ্গালীজাতীয়দাবাদ বাঙ্গালির স্বাধিখার ,বাঙ্গালীর স্বাধীনতা ,একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ যাই বলি না কেন এ শব্দ গুলোর অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । এই মহান নেতা আমাদেও জাতীয় জীবনে এক জ্যতির্ময় আলোক বর্তিকা। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক ভাচ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধানবিচারপতি এক কথা বলেন। এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টেও জাজেস লাউজ্ঞে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশের প্রধানবিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম শতবার্ষিকী উযদয়াপন বিষয়ক বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট জাজেস কমিটির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট জামে মসজিদে পবিত্র কুরআন খানি ও দোয়া করা হয়। এবং দুস্থদেও মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়। সকাল ১১টায় প্রধানবিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এর সভাপতিত্ব বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টেও উভয় বিভাগের বিচারপাতিদেও উপস্থিতিতে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় প্রধানবিচারপতি , আপীল বিভাগের চারজন বিচারপতি এবং হাইকোর্ট বিভাগের ২৮জন বিচারপতি বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় প্রধানবিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন , বাঙালি জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনিবলে তকার জীবনের অনেকটা সময় কারাগাওে কেটেছে। আদর্শ এবং মুল্যবোধ থেকে তিনি এক পা পিছু হটেননি। গনতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে সুসংহত করতে বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষদিন পর্য্যন্ত প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছেন। তিনি বিচারবিভাগ পৃথকীকরণের কথা শুধু ১৯৭২ সালের সংবিধানেই বলেন নি , তারও আগে ১৯৫৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের গণপরিষদে আইন সভার সদস্য হিসেব্ েনির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের জোর দাবী উত্থাপন করেন। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বও তিনি আমাদেও একটি সংবিধান উপহার দেন। দেশের মানুষ স্বল্প সময়ে ন্যায় বিচার পেলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। গভা শেষে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাড়িয়ে ২ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট শহীদ হওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদেও মাগফেরাত কামন া কওে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বিচারপতি এম ,ইনায়েতুর রহিম। এ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা বাংলাদেশের এ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষে শনিবার সকাল ১১.৩০ মিনিটের সময় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশের এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঞ্চালনা করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। বঙ্গবন্ধুর জীবন আলেখ্য নিয়ে আলোচনায় সভাপতি ও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ, একেএম আমিন উদ্দিন ( মানিক) , বিপুল বাগমার, অমিত দাস গুপ্ত, বিএম আবদুর রাফেল, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও মো. আসাদুজ্জামান মনির। একটানা প্রায় দুই ঘন্টা বক্তাগণ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন লেখকের বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন তথ্য মূলক বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা শেষে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকান্ডে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ।
×