ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন শুরুর অপেক্ষায় সৌম্য সরকার

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ১৪ আগস্ট ২০২০

নতুন শুরুর অপেক্ষায় সৌম্য সরকার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ বছর মার্চে সর্বশেষ জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সৌম্য সরকারও ১১ মার্চ শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। এরপর করোনাভাইরাসের প্রভাবে ঘরবন্দী হয়ে থাকেন। এখন মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছেন। সামনেই অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজ দিয়েই নতুন শুরুর অপেক্ষায় আছেন সৌম্য সরকার। বৃহস্পতিবার অনুশীলন শেষে সৌম্য বলেছেন, ‘সর্বশেষ খেলেছিলাম টি২০, জিম্বাবুইয়ের সঙ্গে। দুটোই ভাল ছিল। তো চেষ্টা করব ওখান থেকেই নতুন করে শুরু করার। শ্রীলঙ্কায় খেলা হয়েছে দুই-তিনবারের বেশি। শুধু খেললেই তো হবে না, নিজের পারফর্মেন্স, দলের পারফর্মেন্স সবই করতে হবে। যেহেতু খেলায় চলে আসছি, শতভাগ নিয়েই নামতে হবে।’ করোনার বিরতি কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে বাংলাদেশে। ২৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কায় যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সেখানে এক মাস আগেই যাবে দল। গিয়ে ২৪ অক্টোবর প্রথম টেস্ট দিয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলা শুরু করবে। ক্রিকেটাররা মাঠে নামতে অপেক্ষায় আছেন। দীর্ঘ পাঁচ মাস তারা ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারছেন না। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলা শুরু করার আগ পর্যন্ত আরও দুটি মাস খেলার বাইরেই থাকতে হবে। তবে অনুশীলনের মাধ্যমে মাঠে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। তাতে স্বস্তি মিলছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যে ঘরবন্দী ছিলেন সৌম্য তা উপভোগ করেছেন বলেই জানান। তবে খেলা না থাকাতে খারাপও লেগেছে। লাগারই কথা। তিনি খেলোয়াড়। খেলা ছাড়া থাকেন কিভাবে? সৌম্য বলেন, ‘অন্য সবদিক দিয়ে চিন্তা করলে ভাল, শুধু একটা দিক দিয়ে খারাপ কেটেছে, শুধু খেলাটা ছিল না। বাকি জিনিসটা পরিবারকে সময় দিতে পেরেছি। প্রথমদিকে একটু খারাপ লাগত। পরের দিকে মানিয়ে নিয়েছি। যদি খেলা থাকত তাহলে আমার কাছে মনে হয় কোয়ারেন্টাইনটা অনেক ভাল ছিল (হাসি)।’ পরিস্থিতি এবং পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এক মাস আগেই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে গিয়ে ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সৌম্য মনে করছেন, ‘প্রথম সব জিনিসই একটু অন্য রকম থাকে। আমার কাছে মনে হয় এক মাস আগে যদি যাই তাহলে দলে সবাই অনুশীলনের মধ্যে থাকবে। একটু বেশি হলেও ঐ যে বললাম নিরাপত্তার কারণে করতে হবে। এটাও টিমওয়ার্ক হিসেবেই ধরতে হবে।’ ইংল্যান্ড সবার আগে মাঠে ফিরেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও খেলছে। বাংলাদেশও অক্টোবর থেকে ফিরবে। তবে দীর্ঘ সময় মাঠে নিজেদের খেলা ছিল না। সৌম্য তাই তাদের খেলা দেখে আফসোসও করতেন। তিনি জানান, ‘অবশ্যই স্বস্তির যে অন্তত খেলা শুরু হতে যাচ্ছে আমাদেরও। যখন খেলা দেখতাম ইংল্যান্ডের তো খারাপ লাগতো অনেক যে আমরা কবে খেলব। অবশ্য ভালও লাগত যে খেলা শুরু হয়েছে। এখন গতকাল (বুধবার) শোনা গেল আমাদের সফর নিশ্চিত হয়েছে। এটা নিজের কাছে অনেক ভাল লাগছে।’ যে কোন সময়ের চেয়ে এবার যে কোন সিরিজই একদম ভিন্ন অবস্থায় হবে। একাধিকবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে। থাকতে হবে হোটেল রুমে কোয়ারেন্টিনে। সিরিজ চলাকালীন চলাফেরাও থাকবে সীমিত। কোন বিধিভঙ্গ হলেই যেতে হবে আইসোলেশনে। সৌম্য বিষয়গুলোকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। বলেছেন, ‘সবাই সবার সুরক্ষা রেখে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যেভাবে নিয়ম থাকবে তা মেনেই মাঠে নামতে হবে। যে কোন একজনের চলে এলেই সবাই ভুক্তভোগী হবে। আমার কাছে মনে হয় নিয়ম মেনে চলাই ভাল।’
×