ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রায়পুরে পানিতে ডুবে গেছে ১২ টি গ্রাম

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ৭ আগস্ট ২০২০

রায়পুরে পানিতে ডুবে গেছে ১২ টি গ্রাম

নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় ৪টি ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানি আটকে থাকার কারণে বেড়িবাঁধের বাইরের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। গত ৩ দিনের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের কারনে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে।ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে মৌসুমি ফসলের। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন চৌধুরীসহ উপজেলা প্রশানের কর্মকর্তারা বেরি বাঁধের বাইরের পানিবন্ধি মানুষের দুর্ভোগ সরজমিন পরিদর্শন করে আসলেও এখনও পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে কোন সরকারি সহায়তা প্রদানের খবর পাওয়া যায়নি। জানা যায়, প্লবিত গ্রামগুলো হলো, চর আবাবিল, চরভৈরবী, হাজীমারা, চর কাচিয়া, জালিয়ার চর, কুচিয়ামোড়া, চরলক্ষ্মী, চরবংশী, চর ঘাশিয়া ও টুনুরচরসহ ১২টি গ্রাম। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন গৃহপালিত পশু ও বৃদ্ধ এবং শিশুরা। অস্বাভাবিক জোয়ারে কারণে নিন্মাঞ্চল এলাকার সংযুক্ত খাল, বসতঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও রাস্তঘাট হাঁটু পরিমাণ, কোথাও কোমর পরিমাণ পানিতে ডুবে আছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার পুকুর, অনেক মাছের ঘের ভেসে গেছে। এসব এলাকার বেশীরভাগ অঞ্চল জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে ওই অঞ্চলের অন্তত ৩ হাজার পানের বরজ কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। পনিবন্দী হয়ে পড়ায় ওই অঞ্চলের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেননি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। এদিকে টানা কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুত না থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী জানান, জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ও সড়কের গাছসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছি।
×