ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বৈরুতে তিন দিনের শোক, জারি হচ্ছে জরুরি অবস্থা

প্রকাশিত: ১০:৫০, ৫ আগস্ট ২০২০

বৈরুতে তিন দিনের শোক, জারি হচ্ছে জরুরি অবস্থা

অনলাইন ডেস্ক ॥ লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিস্ফোরণে শেষ খবর (বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত) পাওয়া পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত ও ৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পুরো শহর যখন পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণে প্রকম্পিত, তখন শহরের বাসিন্দারা ভূমিকম্প মনে করে ছোটাছুটি শুরু করে। বলা হচ্ছে, বিস্ফোরণে ৩.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের সমান কাঁপুনি অনুভূত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, বৈরুর বন্দরে একটি ওয়ার হাউজে অরক্ষিত অবস্থায় ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুদ ছিল। সেখান থেকে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন বলছেন, গুদামে ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মত বিস্ফোরক অনিরাপদ অবস্থায় মজুত রাখার বিষয়টি 'অগ্রহণযোগ্য'। এদিকে ভয়াভহ এ বিস্ফোরণের ঘটনায় জরুরি কেবিনেট বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখান থেকে ২ সপ্তাহের জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা আসতেপারে। অন্যদিকে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় বুধবার থেকে তিনদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট মিশেল সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি সহায়তা হিসেবে ১০০ মিলিয়ন লিরা ছাড় দিয়েছে। মঙ্গলবারের (৪ আগস্ট) এ ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। পাঁচ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বন্দরের কাছে অরক্ষিত অবস্থায় সংরক্ষিত থাকা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত। বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো কেন সেখানে রাখা হয়েছিল তা লেবানিজ কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। কাস্টমস বিভাগের পরিচালকের উদ্ধৃত দিয়ে লেবাননের সংবাদমাধ্যম মায়াদিন বলেছে, প্রায় তিন হাজার টন নাইট্রেট বিস্ফোরিত হয়েছে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান আব্বাস ইব্রাহিম বলেছেন, আফ্রিকায় চালান দেওয়ার জন্য বৈরুত বন্দরে রাখা হয়েছিল ২ হাজার সাতশ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। সেখান থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। লেবাননের উচ্চ প্রতিরক্ষা পরিষদের সভা শেষে এ মন্তব্য করেন ইব্রাহিম।
×