ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অনুশীলনে কষ্ট হলেও সন্তুষ্ট বিজয়

প্রকাশিত: ০০:০৬, ২৮ জুলাই ২০২০

অনুশীলনে কষ্ট হলেও সন্তুষ্ট বিজয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তত্ত্বাবধানে এক সপ্তাহ দেশের ৪ ভেন্যুতে ক্রিকেটারদের একক অনুশীলন শেষ হয় রবিবার। তবে ক্রিকেটারদের চাওয়াতে দু’দিন বাড়ানো হয়। তাই রবিবার প্রথম ধাপের অনুশীলন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজই এর সমাপ্তি ঘটবে। এরপর ঈদ শেষে পুনরায় অনুশীলন পরিকল্পনা করবে বিসিবি, তখন পরিসরটা আরও বড় হবে বলে জানা গেছে। দু’দিন বাড়ানোতে উইকেটরক্ষক টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় সোমবার প্রথম সুযোগ পেয়েছেন মাঠে নামার। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপে দীর্ঘ ৪ মাসেরই বেশি সময় পর অনুশীলনে নেমে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন শারীরিক অবস্থা কতটা নাজুক হয়ে গেছে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলনের পর তিনি নিজেই জানিয়েছেন অনুশীলন করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে খুশি এ উইকেটরক্ষক বিসিবিকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন। ক্রিকেটারদের ক্রমাগত অনুরোধে গত ১৯ জুলাই থেকে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু হয়। আগ্রহী ক্রিকেটারদের নিয়ে অনুশীলন পরিকল্পনা করে বিসিবি এমনভাবে যেন পরস্পরের সঙ্গে কোন ধরনের যোগসাজোশ না ঘটে। করোনা ঝুঁকির জন্যই মূলত এমন ব্যবস্থা নেয়া। তবে প্রথম ধাপের সেই অনুশীলন পরিকল্পনায় ছিল না বিজয়ের নাম। তিনি পরবর্তীতে আগ্রহ প্রকাশ করলে নতুন করে পরিকল্পনা করে বিসিবি এবং ২ দিন বাড়ানো হয় প্রথম ধাপের অনুশীলন পরিধি। ঈদের পর আরও বড় আকারে ক্রিকেটারদের অনুশীলন করার সুযোগ দেয়ার চিন্তা-ভাবনা আছে বিসিবির। ৪ ক্রিকেটারকে নিয়ে মিরপুরে শুরু হয়েছিল একক অনুশীলন। ধীরে ধীরে বেড়েছে খেলোয়াড় সংখ্যা। সোমবারই প্রথম যোগ দেন বিজয়। ৪ মাসেরও বেশি সময় পর মাঠের অনুশীলনে ফিরে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন তিনি। বিজয় বলেন, ‘আজকে মিরপুরে অনুশীলন করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। প্রায় চার মাস পর এখানে অনুশীলন করার সুযোগ পেলাম। অনুশীলন করেছি, বলতে গেলে অনেক কষ্টই হয়েছে আজকে।’ এতদিন ঘরেই নিজস্ব ব্যবস্থায় যতটা সম্ভব অনুশীলন করে ফিটনেস ঠিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু মাঠের অনুশীলনে কষ্ট হওয়ার কারণটা বিজয়ই জানালেন, ‘আমরা এতদিন ঘরে করেছি, আসলে মাঠের প্র্যাকটিস বিশেষ কিছু। কষ্ট হয়েছে অনেকদিন পরে তাই।’ করোনার প্রকোপে ৪ মাস বিরতি দিয়ে মাঠে ফেরার পর মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ সবারই সমস্যা হয়েছে। অল্পতেই পরিশ্রান্ত হয়েছেন সবাই। আর ইমরুল কায়েসের এমনকি ব্যাটিং করতে গিয়ে হাতে ফোসকা পড়ে গিয়েছিল। মানিয়ে উঠতে কিছু সময় দিতে হবে মাঠে এমনটা সবাই বলেছেন। বিজয় এ বিষয়ে বললেন, ‘ঈদের আগে যতটুকু করতে পারি, তারপর তো নিয়মিত করতে থাকব। বিসিবিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের এ রকম একটা সুযোগ করে দেয়ার জন্য। আশাকরি এটা অব্যাহত থাকবে।’ আর পুরোদমে অনুশীলন করলেই আবার সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে নিজের কাছে এমনটাই দাবি বিজয়ের।
×