ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রানজিটের প্রথম চালান আখাউড়া হয়ে ত্রিপুরায় পৌঁছেছে

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ২৪ জুলাই ২০২০

ট্রানজিটের প্রথম চালান আখাউড়া হয়ে ত্রিপুরায় পৌঁছেছে

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রাম ॥ বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে রাজধানী আগরতলায় পৌঁছেছে রড ও ডাল। বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের চুক্তি অনুযায়ী ট্রানজিটের প্রথম চালানের পণ্য বুধবার বিকেলে আখাউড়া স্থল বন্দরে আসে। এর ‘আনুষ্ঠানিকতার’ মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার আখাউড়া ও আগরতলা স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় ত্রিপুরা কাস্টমস কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে চালান গ্রহণ করেন। ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ভারতের কাস্টমস কম্পাউন্ডে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের ম্যাংগু লাইন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের ডার্সেল লজিস্টিক লিমিটেডের পাঠানো পণ্যগুলো পরিবহন করছে কাস্টমস ক্লিয়ারিং এ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএ্যান্ডএফ) এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে নিজ দেশে পণ্য পরিবহন করছে ভারত। প্রথম চালানে ৫৩.২৫ মেট্রিক টন রড আর ৪৯.৮৩ মেট্রিক টন ডাল নিয়ে ১৪ জুলাই কলকাতার নদীবন্দর থেকে চট্টগ্রাম নদীবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় ‘সেজুতি’ জাহাজ। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে। পণ্য খালাসের পর সড়ক পথে রড ও ডালবোঝাই ৪টি ট্রেইলর আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছানের পর বৃহস্পতিবার পণ্য খালাস হয়। বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করে ভারতের পরীক্ষামূলক এই ট্রানজিট চালানের জন্য ফি নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। চট্টগ্রাম অফিস ॥ ভারতের কলকাতা থেকে আসা ট্রানজিট পণ্যের প্রথম চালান ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় প্রবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এ চালান গ্রহণ করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আগের দিন বুধবার চালানটি পৌঁছে ছিল আখাউড়া স্থল বন্দরে। ট্রানজিট সুবিধায় ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহের পণ্য পরিবহনে এটাই প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার। ট্রানজিটের প্রথম চালানে পরিবাহিত হয়েছে চার কন্টেনারে ১০৩ টন পণ্য। এর মধ্যে ত্রিপুরায় গেছে ৫৩ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন রড এবং অসমের করিমগঞ্জে গেছে ৪৯ দশমিক ৮৩ টন ডাল। কলকাতা থেকে প্রায় ১৬শ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যে পণ্য যেত ত্রিপুরায়, চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে তা পৌঁছাল অনেক কম দূরত্ব অতিক্রম করে অপেক্ষাকৃত স্বল্প সময়ে। দিনটি ছিল ত্রিপুরাবাসীর জন্য খুবই আনন্দের। স্থলবন্দর ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে রফতানি করা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর ৬ হাজার ৩৫০ কেজি মাছ বোঝাই একটি ট্রাক ছিনতাই হওয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার স্থলবন্দর এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে ছিনতাই হওয়া মাছের বিষয়ে সমাধান না হলে এ বন্দর দিয়ে সকল প্রকার পণ্য রফতানি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান খলিফা, আমদানি- রফতানিকারক এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, মাছ রফতানিকারক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ ঈদন খান, ব্যবসায়ী মোঃ নেসার উদ্দিন ভূইয়া, মোঃ নাজির হোসেন প্রমুখ। গত ৯ জুলাই ২৪টি ট্রাকে করে ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের আগরতলায় ১ লাখ ৬০ হাজার ৫০৫ ডলার মূল্যমানের মাছ রফতানি করা হয়। কিন্তু ওই দিন রাতে ভারতের আগরতলা থেকে শিলচর যাওয়ার পথে রামনগর এলাকায় এক ট্রাক মাছ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই ট্রাকে ১২৭ কার্টনে ৬ হাজার ৩৫০ কেজি মাছ ছিল, যার মূল্য ১৫ হাজার ৮৭৫ ডলার।
×