ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কামাল লোহানীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ২১ মে ২০২০

কামাল লোহানীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ হাসপাতালে ভর্তি প্রবীণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তার ছেলে। বুধবার সকালে সাগর লোহানী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাবার শারীরিক অবস্থার সুনির্দিষ্ট কোন উন্নতি লক্ষণীয় নয়।’ খবর বিডিনিউজের। ফুসফুস ও কিডনির জটিলতা নিয়ে গত ১৭ মে ঢাকার হেলথ এ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮৬ বছর বয়সী কামাল লোহানী। তার হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের সমস্যাও রয়েছে। সাগর লোহানী বলেন, ‘ডাক্তাররা খুব চিন্তিত। অবস্থা ভারনারেবল। যে অবস্থায় তিনি ভর্তি হয়েছিলেন, সেখান থেকে কোন উন্নতি হয়নি। সিচুয়েশন কোন দিকে যাচ্ছে, বলা কঠিন।’ কামাল লোহানীর প্রকৃত নাম আবু নাইম মোহাঃ মোস্তফা কামাল খান লোহানী। পাকিস্তান আমলে বাংলার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। তিনি ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র শতবর্ষ পালনে পাকিস্তানী নিষেধাজ্ঞা জারি হলে তার প্রতিরোধের নেতৃত্বে ছিলেন। এর পরপরই ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি। কমিউনিস্ট আদর্শে বিশ্বাসী কামাল লোহানী ১৯৬৭ সালে তার রাজনৈতিক আদর্শের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ক্রান্তি’ গড়ে তোলেন। তিনি উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টাও। ১৯৭১ সালে বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে কামাল লোহানী একজন শিল্পী, একজন সাংবাদিক ও একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সেই সংগ্রামে যুক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংবাদ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ বেতারের পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। সাংবাদিক হিসেবে কামাল লোহানীর কর্মজীবনের শুরু হয়েছিল দৈনিক মিল্লাত দিয়ে। পরে আজাদ, সংবাদ, পূর্বদেশ, দৈনিক বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন তিনি। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নে দুই দফা যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি ২০১৫ সালে একুশে পদক পান। কামাল লোহানী ১৯৬০ সালে তিনি বিয়ে করেন দীপ্তি লোহানীকে। কামাল লোহানী-দীপ্তি দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বেশ ক’বছর আগে দীপ্তি লোহানী প্রয়াত হয়েছেন।
×