ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাশেদ সীমান্তর ঈদের নাটক ‘আমি রেকর্ড করতে চাই’

প্রকাশিত: ২০:২০, ১৯ মে ২০২০

রাশেদ সীমান্তর ঈদের নাটক ‘আমি রেকর্ড করতে চাই’

অনলাইন ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক সময়ের তরুণ মেধাবী অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত। নাটকে অভিনয়ের ক্যারিয়ার খুব বেশি দিনের নয়। হাতে গোনা কয়েকটি নাটকে কাজ করেই আলোচনার শীর্ষ কাতারে তিনি। গত ঈদ-উল আযহায় বৈশাখী টিভিতে প্রচার হওয়া ‘মধ্য রাতের সেবা’ নাটকের মাধ্যমে সর্বপ্রথম সোস্যাল মিডিয়ায় ভারইরাল হন রাশেদ সীমান্ত। এর আগে দুয়েকটি নাটক প্রচার হলেও এ নাটকটি প্রচারের পরপরই আলোচনায় আসেন তিনি। এ নিয়ে মিডিয়া প্রচারও ছিল চোখে পড়ার মতো। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরে ‘আমি রেকর্ড করতে চাই’ নামে একটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। নাটকটি রচনা করেছেন সুবাতা রাহিক জারিফা। বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলনের গল্পে এ নাটকটি পরিচালনা করেছেন জিয়াউর রহমান জিয়া। নাটকে রাশেদ সীমান্তর সহশিল্পী তানিয়া বৃষ্টি। আরও অভিনয় করেছেন অলিউল হক রুমি, শফিক খান দিলু, হায়দার আলী, নীলা ইসলামসহ অনেকে। নাটকটি ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত ৮-১০ মিনিটে বৈশাখী টিভিতে প্রচার হবে। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত বলেন, সত্যিই নাটকটি অন্যরকম। অভিনয় করে প্রাণ পেয়েছি। বরাবরের মতো এ নাটকটিও দর্শকদের অনেক ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। ‘আমি রেকর্ড করতে চাই’ নাটকে রাশেদ সীমান্তের চরিত্রের নাম নূরে আলম। তানিয়া বৃষ্টি অভিনয় করেছেন সুমনা চরিত্রে। নূরে আলম দুইবারের মাথায় অনেক কষ্টে মেট্রিক পাস করলেও পরপর তিনবার ইন্টার ফেল করে এলাকায় সে এখন তামাশার পাত্র। যে কারণে এলাকাবাসী, শিক্ষকমন্ডলী, নূরে আলমের পছন্দের মানুষ সুমনার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত ভৎর্সনা শুনতে শুনতে কিংকর্তব্যবিমুঢ়। নূরে আলমকে সবচেয়ে বেশী দুর্বব্যহার সহ্য করতে হয় তার বাবা অতিকৃপণ মানুষ জানে আলমের কাছ থেকে। নূরে আলমের বাবার কথা- নূরে আলমের পেছনে যে টাকা তিনি ব্যয় করেছেন তা না করে যদি গরু কিনে পালতেন তাহলে তিনি অনেক লাভবান হতেন। এত ভর্ৎসনার পরেও নূরে আলমের তেমন কোন ব্যত্যয় নেই। সে সবসময় এলাকায় বাদলের চায়ের দোকানে বসে বাংলা সিনেমা দেখে। একই দোকানে এসে স্পোর্টস চ্যানেল দেখেন ভুড়িওয়ালা আব্দুল খালেক। সে নিজেকে শারিরীভাবে খুব ফিট মনে করলেও তার বিশাল আকৃতির ভুড়ি দেখে তা মানতে নারাজ এলাকাবাসী। নূরে আলম এবং আব্দুল খালেকের মধ্যে টিভিতে সিনেমা দেখা এবং খেলা দেখা নিয়ে কথা কাটাকাটি কয়। খালেক নূরে আলমকে বোঝায় ব্রোজেন দাস সাঁতার দিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলো এবং রেকর্ড করে গিনেজ বুক ওয়ার্ল্ডে নাম উঠিয়েছিলো। গিনেজ বুকে নাম উঠলে কত সম্মান এবং কি পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায় তাও নূরে আলমকে বোঝায়। অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করে নূরে আলমের ভেতর। সে ভাবে এইতো সুযোগ। তার চেয়ে ভালো সাঁতার এই গ্রামে আর কেউ জানে না। সে সাঁতার দিয়ে বিশ^ রেকর্ড করে গিনেজ বুকে নাম ওঠাবে। অতীতের সকল কলঙ্ক সে গুছাবে গিনেজ বুকে রেকর্ডের মাধ্যমে। শুরু হয় কঠোর অনুশীলন। কোচের দায়িত্ব নেয় আব্দুল খালেক। নাওয়া খাওয়া ভুলে সারাক্ষণ নূরে আলম পুকুরে পড়ে থাকে। সুমনা বার বার নূরে আলমকে বুঝায় এসব পাগলামির কোন মানে হয় না। সুমনা শর্ত দেয় তাকে পেতে হলে এসব বাদ দিয়ে পড়ালেখায় মনোযোগী হতে হবে। কিন্তু নূরে আলম তার সিদ্ধেন্তে অটল। সে রেকর্ড করবেই। একবার রেকর্ড করতে পারলেইতো কারি কারি টাকা, সম্মান, দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানো- ইত্যাদি ইত্যাদি। নূরে আলম শেষ পর্যন্ত কি রেকর্ড করতে পারবে? তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে নাটক দেখার জন্য।
×