স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বাণী বন্দনা, পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণসহ নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরস্বতী পূজা শুরু হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সকাল ১০টায় যবিপ্রবির শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাত্রীদের জন্য প্রার্থনা কক্ষ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। পরে তিনি সরস্বতী পূজা উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পূজা উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় একটি অসাম্প্রদায়িক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনো প্রশ্রয় নেই। সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একসাথে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নেবো। এটাই হোক এবারের সরস্বতী পূজা উদযাপনের অঙ্গীকার।’
সরস্বতীর পূজা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. এম আর খান মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে প্যান্ডেল করে পূজা অর্চনার ব্যবস্থা করা হয়। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে পূজা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। সকাল সাতটার দিকে প্যান্ডেল স্থলে সরস্বতীর প্রতিমা স্থাপন করা হয়। সকাল নয়টায় শুরু হয় পূজা অর্চনা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় পুষ্পাঞ্জলি। পুষ্পাঞ্জলি শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। ধীরে ধীরে সকল মত-পথের লোকজনের সমাগমে পূজা প্রাঙ্গণ পরিণত হয় সম্প্রীতির মিলন মেলায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সুব্রত মন্ডল, বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. সেলিনা আক্তার, রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, পরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত) পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের সহকারী পরিচালক এস এম সামিউল আলম ও ফারহানা ইয়াসমিন, কেমিকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুজন চৌধুরী, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তরুন সেন, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাগর পান্ডে, পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব দীপা রায়, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রভাষক শুভাশীষ দাস শুভ প্রমুখ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় ধর্মীয় ভক্তিমূলক সংগীত।
