ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বক্তব্য রাখেন বাদল রায়, শেখ মোহাম্মদ আসলাম, আব্দুল গাফফার

বাফুফেতে পরিবর্তন চান সাবেক তারকা ফুটবলাররা

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ২ জানুয়ারি ২০২০

বাফুফেতে পরিবর্তন চান সাবেক তারকা ফুটবলাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আসন্ন নির্বাচনে দেশের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থায় পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। এমন আওয়াজই তুলেছেন ঢাকার ক্লাব সংগঠকরা। বুধবার ওয়ারির এক কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত বাফুফের নির্বাচন নিয়ে ক্লাবগুলোর মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। সভার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাবস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তরফদার মোঃ রুহুল আমিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সবাই বলে গেছেন বাফুফেতে নতুন নেতৃত্ব চাই; পরিবর্তন চাই। সবার সঙ্গে আমিও বলছি পরিবর্তন চাই। গত ১২ বছরে ফুটবলকে তারা তলানিতে নিয়ে গেছে। র‌্যাঙ্কিংয়ের দিকে তাকালেই সবাই বুঝতে পারবেন। বর্তমানে আমাদের র‌্যাঙ্কিং ১৮৭। পার্শ্ববর্তী দেশের ভারত ১০০’র আশপাশে। অথচ বাংলাদেশ ভারতের র‌্যাঙ্কিং থেকে এক সময় খুব বেশি পার্থক্য ছিল না। বাংলাদেশ ফুটবলকে ঢেলে সাজাতে চাই। এ জন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে কাজ করতে হবে। স্কুল পর্যায় থেকে ফুটবল চাঙ্গা করতে হবে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভারতের সঙ্গে ড্র করে তারা আনন্দে আত্মহারা। এটিকে সর্বোচ্চ সাফল্য বলে প্রচার করা হচ্ছে। কাউন্সিলরদের কাছে অনুরোধ ব্যক্তিস্বার্থ বাদ দিয়ে দেশের স্বার্থে, দেশের ফুটবলের স্বার্থে আসুন সবাই একত্রে কাজ করি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি ছিলেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি। তিনি বলেন, এক সময় আমরা মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলা দেখতাম। ফুটবল তখন বেশ জনপ্রিয় ছিল। আগের সেই অবস্থানে ফুটবল নেই। রাজনীতিতে এখন শুদ্ধি অভিযান চলছে। সব জায়গাতে পরিবর্তন আসছে। আসুন আমরাও নতুন কিছু চিন্তা করি। আমাদের বাচ্চারা ফুটবল খেলতে চায়। আমাদের মহিলারা বাচ্চাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। পরিবারের জন্য নতুন পরিবর্তন প্রয়োজন। সালাউদ্দিনকে আমি অনেক সম্মান করি। তিনি তো অনেকদিন যাবত আছেন সভাপতি পদে। আমরা এখন নতুন কাউকে দেখতে চাই। বড় বড় ফুটবলাররা এদেশে আছে। কিন্তু ফুটবলের উন্নতি হয়নি। বাফুফে সহসভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি বলেন, আপনারা তাদের নির্বাচন করবেন যাদের হাতে ফুটবল নিরাপদ। আগামীতে দেশের ফুটবল যারা এগিয়ে নিতে পারবে তাদের ভোট দেবেন। বাফুফে নিজের পকেটের টাকা আপনাদের দেয় না। সরকারের দেয়া বরাদ্দ থেকে অর্থ দেয়। আর তরফদার নিজের পকেটের টাকা আপনাদের দেন। বাফুফে সহ-সভাপতি বাদল রায় বলেন, ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন সালাউদ্দিন। কিন্তু ফুটবলে কোন উন্নতি হয়নি। ২০০৮ সালে যখন ক্ষমতায় আসেন তখন ফুটবলের র‌্যাঙ্কিং ছিল ১৪৩। ১২ বছরে সেটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৭তে। সালাউদ্দিনকে যেমন প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করেন। আমাদেরও করেন। গত ১২ বছরে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ কামালের নাম একবারও তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে বলতে শুনিনি। তার সময়ে বাফুফে দুর্নীতিসীমা ছাড়িয়ে গেছে। এ নিয়ে বহুবার তাকে বলেছি। বলতে বলতে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। সালাউদ্দিনকে বলেছিলাম ক্যাসিনো কা-ে যে ক্লাবগুলোতে তালা ঝুলছে চলুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে একটা বিহিত করি। ক্যাসিনোর সুবিধা দু’একজন নিয়েছে। তাদের জন্য ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোতে তালা ঝুলতে পারে না। তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। নাসিরউদ্দিন চৌধুরী (সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব) বলেন ২০ বছর ধরে আমিনকে আমি চিনি। তিনি যে কাজে হাত দেন সেটা ভালভাবে সম্পন্ন না করে ক্ষান্ত দেন না। ফুটবলের উন্নতিতে তাকে প্রয়োজন। শেখ মোহাম্মদ আসলাম তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান জাতীয় দলকে কাজী সালাউদ্দিন বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে সেরা বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। আমরা এদেশে ফুটবল খেলি নাই। বাবলু, জনি, বাদল রায়রা খেলেন নাই। বর্তমানে একজন ফুটবলারকেও আমি চিনি না। আমার মতে অনেকে চেনে না। এসএ গেমসে বাজে পারফর্মেন্স করেছে। ২০২২ সালে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নের কথা বলেছেন। বাছাইপর্বে আমাদের অবস্থান তলানিতে। আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক তারকা ফুটবলার আবদুল গাফফার।
×