ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রিজার্ভ চুরি ॥ ৪০ তারিখেও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

রিজার্ভ চুরি ॥ ৪০ তারিখেও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করা মামলায় ৪০তম তারিখেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ছিল। তবে এদিন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম আগামী ২৩ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেন। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে (ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। পাঁচটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া দুই কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপিন্সে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলার জুয়ার টেবিল ঘুরে হাতবদল হয়। এই অর্থ চুরিতে দেশের ভেতরের কোনো একটি চক্রের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়। খোয়া যাওয়া রিজার্ভের অর্থের দেড় কোটি ডলার ফেরত এলেও বাকি অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তৎপরতা চালানো হলেও এখনও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে রিজার্ভের অর্থ চুরির এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় করা মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি। অপরাধীদের নাম ও আর্থিক তথ্যগুলো পেলে রিজার্ভ চুরি নিয়ে বাংলাদেশে চলা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ায় সুবিধা হবে বলে গত ৩ ডিসেম্বর জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (এশিয়া ও প্যাসিফিক) মাসুদ বিন মোমেন। এছাড়া রিজার্ভ চুরি নিয়ে ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের আদালতে আরেকটি মামলা করেছে বাংলাদেশ।
×