ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি বসুন্ধরা

প্রকাশিত: ১২:৩২, ২৪ অক্টোবর ২০১৯

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি বসুন্ধরা

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ॥ যাকে বলে রীতিমতো খাদের কিনারা। অপ্রত্যাশিতভাবে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলে এই জায়গায় চলে গেছে বাংলাদেশের পেশাদার লীগ ও স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। মঙ্গলবার রাতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ভারতের গোকুলাম কেরালার কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে অস্কার ব্রুজেনের দল। এখন সেমিফাইনালে খেলতে হলে গ্রুপের নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতীয় ক্লাব চেন্নাই সিটি এফসির মুখোমুখি হচ্ছে বসুন্ধরা। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আজ বিকেল ৪টায়। আর সন্ধ্যা ৭টায় গ্রুপের আরেক ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দারুণ জয় পাওয়া মালয়েশিয়ার টেরেঙ্গানু এফসি ও ভারতের গোকুলাম কেরালা এফসি। দাপুটে জয় দিয়ে মিশন শুরু করা দল দু’টির মুখোমুখিতে যারা জয় পাবে তাদের সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। ড্র করলেও নকআউটের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে তারা। দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে অনুশীলন করার পরও প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছে বসুন্ধরা। এ কারণে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামার আগে দল ঢেলে সাজাচ্ছেন কোচ অস্কার ব্রুজেন। বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে তিনি সুযোগ দিতে যাচ্ছেন। প্রথম ম্যাচের দলগত নৈপুণ্যে হতাশ স্প্যানিশ কোচ বুধবার বন্দর গ্রাউন্ডে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা মোটেও ভাল খেলতে পারিনি। আমাদের লেফট উইংয়ের খেলা ঠিক ছিল। ওইদিক দিয়ে আমরা বেশ কিছু আক্রমণ করেছি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। রাইট উইং ঠিক ছিল না। মাত্র তিন-চারদিন আগে আমি সব খেলোয়াড়কে একসঙ্গে পেয়েছি। এখনও গুছিয়ে ওঠেনি আমাদের দলটা।’ আজকের ম্যাচে বড়সড় পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন ¯প্যানিশ এই কোচ, ‘আমরা নতুনদের বাজিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম। কিছু সমস্যা হয়েছে। আমি খুশি কারণ সমস্যাগুলো এখনই চোখে পড়ে গেছে। মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় প্রয়োজন খেলোয়াড়দের। অনেক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে আগামীকাল (আজ)। আগের খেলায় আমি মোটেও সন্তুষ্ট নই।’ প্রথম ম্যাচ হেরে মিশন কঠিন হয়ে গেলেও আশাবাদী কিংস কোচ, ‘গ্রুপে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি আছে আমাদের। সেমিতে যেতে হলে আমাদের ছয় পয়েন্ট লাগবেই। আমরা ছয় পয়েন্ট পেলে গোকুলমও ছয় পয়েন্ট পেতে পারে। আবার টেরেঙ্গানুরও ছয় পয়েন্ট হতে পারে। তখন গোল ব্যবধান আসতে পারে। দেখা যাক আমরা কি করতে পারি। পরের ম্যাচগুলোতে সেই অনুযায়ী খেলতে হবে।’ হেরে চাপে পড়েছেন কিনা জানতে চাইলে অস্কার বলেন, ‘আমরা পেশাদার তাই চাপ থাকবেই। এই চাপ থাকা বরং ভাল। চাপ আর মানসিক ক্লান্তিকে কাটিয়েই লড়ে যেতে হবে। এখন সেই অবস্থা চলছে। আমাদের শুরুটা ভুল হয়ে গেছে। বাকি ম্যাচগুলোতে আর ভুল করা চলবে না। আমি প্রতিপক্ষকে সম্মান করি। এরপরও আমার খেলোয়াড়রা লড়বে। এখনও বসুন্ধরা কিংস এই টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে চাই’। গোকুলামের বিরুদ্ধে বদলি হিসেবে নেমে ৭৪ মিনিটে বসুন্ধরাকে এক গোল পাইয়ে দেন মতিন মিয়া। এই ফরোয়ার্ড গতকাল বন্দর মাঠে জানান, এক হারেই সব শেষ হয়ে যায়নি। ভুলত্রুটি শুধরে পরের দুই ম্যাচেই জয় পাওয়ার আশা তার। এক গোল করলেও দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করা মতিন বলেন, ‘বেশ কয়েকজন জাতীয় দলে থাকার কারণে আমরা একসঙ্গে সবাইকে পায়নি। এ কারণে বোঝাপড়াটা কম ছিল। প্রতিপক্ষও ভাল ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি, ইনশাল্লাহ পরবর্তী ম্যাচে সব ঠিক হয়ে যাবে’। আশাবাদী মতিন বলেন, ‘আমাদের দলটা ভাল। আশা করছি আমরা পরের দুইটা ম্যাচই জিতে কামব্যাক করতে পারব। আসলে প্রথম ম্যাচে ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না। সফল হতে ভাগ্যেরও প্রয়োজন। গোকুলামের বিরুদ্ধে আমাদের কয়েকটি শট বারে লেগেছে। তা নাহলে হয়তো আমরা ম্যাচ ড্র করতে পারতাম বা জিতেও যেতে পারতাম’।
×