স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জামিনের কাগজ জমা দেয়ার পরও দারোগার দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা না দেয়ায় এক যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে আদালতে জামিনের কাগজ দেখিয়ে মুক্তি পেয়েছেন ওই যুবক। ঘটনাটি জেলার উজিরপুর উপজেলার পূর্ব মু-পাশা গ্রামের।
শনিবার সকালে ওই গ্রামের দিনমজুর সোহরাব হোসেন বেপারি অভিযোগ করে বলেন, দুই বছর আগে একটি সাজানো মামলায় তার পুত্র হাসান বেপারিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। ওই মামলায় দীর্ঘদিন আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিল হাসান। এরমধ্যে কয়েকটি তারিখে হাজিরা না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে ওই মামলায় হাসান পুনরায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। গত ১৭ জুন ওই মামলায় পুনরায় হাসান জামিনে মুক্ত হয়ে ১৮ জুন উজিরপুর থানায় জামিনের কাগজ (রিকল) জমা দিয়ে রিসিভ কপি নিয়ে আসে।
সোহরাব হোসেন আরও জানান, গত ৮ আগস্ট রাত আড়াইটার দিকে এসআই আইউবসহ কয়েক কনস্টেবল তার বাড়িতে গিয়ে জামিনে থাকা মামলায় হাসানকে গ্রেফতার করে। এ সময় থানায় জমা দেয়া জামিনের রিকলের কাগজ দেখানো হলেও তাতে কর্ণপাত না করে হাসানকে ছেড়ে দেয়ার জন্য এসআই আইউব ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এসআইর দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় বৃহস্পতিবার রাতভর হাসানকে থানায় আটক রাখা হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে ওইদিন দুপুরে কোর্টের জিআরও’র কাছে জামিনের কাগজপত্র জমা দিয়ে হাসানকে মুক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে দিনমজুর সোহরাব হোসেন তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আইউব জানান, আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।