ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মোহামেডানের অবিশ্বাস্য জয় আবাহনীর বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ১৭ জুলাই ২০১৯

মোহামেডানের অবিশ্বাস্য জয় আবাহনীর বিরুদ্ধে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগের মতো এখন আর কোন আকর্ষণ নেই মোহামেডান-আবাহনী ফুটবল ম্যাচে। কারণটা সহজ। সাংগঠনিক অদক্ষতায় অনেক দুর্বল হয়ে গেছে এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান। এখন তারা লীগ শিরোপা জেতার জন্য নয়, দলগঠন করে অবনমন এড়াতে। কোনভাবেই তারা আর কুলিয়ে উঠতে পারে না আবাহনীর সঙ্গে লড়াইয়ে। অথচ সেই মোহামেডানই কিনা বিস্ময়করভাবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে হারিয়ে দিল লীগে, চার বছর পর তাও আবারও ৪-০ গোলে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত রাতের ম্যাচে এমন ঘটনাই ঘটিয়েছে তারা। ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়েছিল। লীগের প্রথম লেগে আবাহনীর কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল মোহামেডান। মঙ্গলবারের জয়ে বদলা নিল তারা। ২০১৫ সালের ২০ মে লীগে মোহামেডান সর্বশেষ আবাহনীকে হারিয়েছিল (১-০)। এই ম্যাচে ১৯ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন মিডফিল্ডার এনামুল হক শরীফ। দল তার বিদায়ের দিনেই তাকে উপহার দিল এমন বিস্ময়কর-মধুর-স্মরণীয় জয়। মোহামেডানের ফরোয়ার্ড তকলিস আহমেদ জোড়া গোল করেন (১৬ এবং ৪৫+২ মিনিটে)। ১টি করে গোল করেন মালির ফরোয়ার্ড সুলেমানে দিয়াবাতে (৫০ মিনিটে) এবং অধিনায়ক-ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি (৬৬ মিনিটে)। নিজেদের ২০তম ম্যাচে এটা মোহামেডানের পঞ্চম জয়। ২০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের নবম স্থানে। পক্ষান্তরে ২১তম ম্যাচে এটা আবাহনীর চতুর্থ হার। ৫১ পয়েন্ট নিয়ে আগের দ্বিতীয় স্থানেই আছে তারা। এই হারে তাদের লীগ শিরোপার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেল। নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত অপর ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ৪-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবকে। জয়ী দলের নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল ওদোয়িন হ্যাটট্রিক করেন (৪৪, ৮১ ও ৮৫ মিনিটে)। অপর গোলটি বিপলু আহমেদের (২৪ মিনিট)। নিজেদের বিংশ ম্যাচে চতুর্দশ জয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে আবারও পয়েন্ট টেবিলে তিনে উঠে এলো রাসেল। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে দ্বাদশ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে একাদশ স্থানে নেমে গেল নোফেল। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আরেক ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। গোল করেন আরামবাগের ক্যামেরুন স্ট্রাইকার পল এমিল এবং মুুক্তিযোদ্ধার গিনি ডিফেন্ডার ইয়ামুসা কামারা। নিজেদের বিংশ ম্যাচে সপ্তম ড্রয়ে মুক্তির পয়েন্ট ২৩, অবস্থান অষ্টম। একবিংশ ম্যাচে তৃতীয় ড্রয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে আগের পঞ্চম স্থানেই আছে আরামবাগ। মঙ্গলবার একদিনে মোট ৫টি বিপিএল ম্যাচ আয়োজন করে রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এর কারণ বর্ষা এবং বৃষ্টিপাত। প্রথম লেগে বর্ষার উৎপাত সেভাবে না হলেও দ্বিতীয় লেগে বর্ষার ঘনঘটায় আশঙ্কা করা হচ্ছিল এই বুঝি মাঠ খেলার অনুপযুক্ত হয়ে না পড়ে। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। যদিও বর্ষা মৌসুম এড়াতে নানান পরিকল্পনা নিয়ে এবার লীগ শুরু করেছিল বাফুফে। কিন্তু এত কিছু করেও সেই অনাকাক্সিক্ষত বর্ষাকে এড়াতে পারেনি তারা। এই বর্ষার কারণেই যে লীগের সূচীতে আবারও পরিবর্তন আনে তারা। যারই ফল একদিনে ৫ ম্যাচ। দিনের শুরুতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিজেএমসি-রহমতগঞ্জ ম্যাচটি শুরু হতে আধঘণ্টা বিলম্ব ঘটে। কারণ বাফুফের মাঠকর্মীরা সময়তো ঘাস কেটে, চুন দিয়ে মাঠ তৈরি করতে পারেনি। মতিন মিয়ার হ্যাটট্রিকে জয় বসুন্ধরার তাহমিন হক ববী, নীলফামারী থেকে ॥ লং পাস, থ্রু পাস, লিংক আপ, বল ছেড়ে দ্রুত জায়গা নেয়া, শাখা-প্রশাখা মেলে সংঘবদ্ধ আক্রমণ ফুটবলের যত মুন্সিয়ানা আছে সবই দেখালো অস্কার ব্রুজোনের দল। তাতে খেলা দৃষ্টি কাড়ে, গতি উত্তেজনা আনে আর প্রতিটা মুভ মনে হয় অর্থবহ। মাঠে সফলতাও আসছে হাত ধরাধরি করে। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। কিংসের পক্ষে একাই তিনটি গোলে হ্যাটট্রিক করেন ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া। অপর দুইটি গোল করেন ইব্রাহিম ও বদলি খেলোয়াড় রেয়াজুল করিম। তবে এই খেলায় কিংসের তিন বিদেশীর একজনও গোল করতে পারেনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ফুটবলের দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার দু’দল খেলতে নেমেছিল। ম্যাচটি ছিল নীলফামারীর শেখ কামাল আন্তর্জান্তিক স্টেডিয়ামে। প্রথমপর্বে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২-০ গোলে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। নীলফামারীর নিজ ভেন্যুর এই ম্যাচে পুনরায় সহজ জয় কুড়িয়ে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের প্রথমার্ধের স্কোরলাইন ছিল ২-০।
×