ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সমুদ্র দূষিত হলে পৃথিবী বাঁচবে না ॥ পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১২ জুলাই ২০১৯

সমুদ্র দূষিত হলে পৃথিবী বাঁচবে না ॥ পরিবেশমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন বলেছেন, সমুদ্র হচ্ছে পৃথিবীর শরীরের রক্তপ্রবাহ। রক্তপ্রবাহ দূষিত হলে যেমন মানুষ বাঁচে না, তেমনি সমুদ্র দূষিত হলেও পৃথিবী বাঁচবে না। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী আজ সচেতনতা তৈরির সময় হয়েছে। দূষণের আচরণ থেকে সরে আসতে না পারলে সমুদ্র বাঁচানো যাবে না । শুক্রবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন ও সাউথ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্টাল প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘লন্ডন প্রটোকল’-এর ওপর অনুষ্ঠিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও পরিবেশ সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী। শাহাবউদ্দিন বলেন, পরিবেশের একটি বড় অংশ ও পানির প্রধান উৎস হচ্ছে সমুদ্র। এই প্রধান উৎসকে আমরা নষ্ট করে দিচ্ছি নানা রকম দূষণের মাধ্যমে। মানবসমাজের আচরণ দেখে মনে হয় বর্জ্য অপসারণের সবচেয়ে উপযোগী স্থান হচ্ছে সমুদ্র, যা মোটেই উচিত হচ্ছে না। বছরে ২৫০ মিলিয়ন টন বর্জ্য নিক্ষিপ্ত হচ্ছে সমুদ্রে। সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্যে সমুদ্র দূষণ। তারপর রয়েছে তেলজাতীয় পদার্থ ও জাহাজ থেকে নিক্ষিপ্ত অন্যান্য বর্জ্য। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, শুধু সমুদ্র নয়, নদীমাতৃক এই দেশ, দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে আমাদের নদীগুলোকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। যারা নদীদূষণ করছে আমরা চেষ্টা করছি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে। পাশাপাশি জনগণকেও এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে সাউথ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্টাল প্রোগ্রামের ডিরেক্টর জেনারেল ড. আবাস বাসির ও ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধি অ্যান্ড্রো ব্রিকেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, বর্জ্য ও অন্যান্য পদার্থের ডাম্পিংয়ে সামুদ্রিক দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ৮৭টি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত লন্ডন কনভেনশন। সামুদ্রিক দূষণের উৎসগুলি চিহ্নিত করা, দূষণ প্রতিরোধে বর্জ্য পদার্থ ও অন্যান্য বিষয়গুলির কার্যকর নিয়ন্ত্রণ করাই ছিল ওই কনভেনশনের লক্ষ্য। তারই ধারাবাহিকতায় কনভেনশনের সিদ্ধান্তগুলো আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার জন্য ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত হয় ‘লন্ডন প্রটোকল’। বাংলাদেশসহ ৫১টি রাষ্ট্র এতে সই করে। ২০০৬ সালের ২৪ মার্চ থেকে ৫১টি রাষ্ট্রের স্বাক্ষরিত লন্ডন প্রটোকল কার্যকর হয়।
×