ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্টেশনে স্টেশনে জনস্রোত, আগাম টিকেট বিক্রির শেষ দিন আজ

প্রকাশিত: ১০:২৫, ২৬ মে ২০১৯

 স্টেশনে স্টেশনে জনস্রোত, আগাম টিকেট বিক্রির শেষ দিন আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী পাঁচ/ছয় জুন সম্ভাব্য ঈদ। ৩ জুন অফিস শেষে ছুটি শুরু। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি অনেকের তিন জুনের আগে থেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত অফিস করে যাদের বাড়ি যেতে হবে তাদের প্রথম টার্গেট ৩ জুনের টিকেট। গত তিন দিনের তুলনায় শনিবার কমলাপুর রেলস্টেশনসহ অগ্রিম টিকেট বিক্রি হওয়া পাঁচ স্থানেই অনেকটাই ভিন্ন চিত্র। এক কথায় বলা যায়, ট্রেনের টিকেটের জন্য লোকেলোকারণ্য। জন স্রোত। কে কার আগে টিকেট কাটবেন, লাইনে দাঁড়াতে পারবেন চলছে তার প্রতিযোগিতা। অগ্রিম টিকেট বিক্রির চতুর্থদিনেও অনলাইনে ভোগান্তির অভিযোগ ছিল আগের মতোই। এ্যাপে টিকেট না পেয়ে অনেকেই স্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়ান। আবার লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে টিকেট না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন। যারা ‘সোনার হরিণ’ টিকেট হাতে পেয়েছেন তাদের খুশি যেন আর ধরছিল না। আজ রবিবার ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রি শেষ হচ্ছে। এ্যাপ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিএনএসবিডি জানায়, তাদের এ্যাপে ২ লাখের বেশি মানুষের চাপ পড়ছে। এর মধ্যেই টিকেট কাটতে পারছেন দিনে মাত্র ৫ ভাগ যাত্রী। প্রথমদিন থেকে এ্যাপে থাকা ৫০ভাগ টিকেট কাটা নিয়ে বিড়ম্বনার অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে রেলমন্ত্রী নিজেও ক্ষোভ জানান। তারপরও সমস্যার সমাধান হয়নি। কমলাপুরসহ বিভিন্ন রেল স্টেশন ঘুরে একজনকেও পাওয়া যায়নি তিনি এ্যাপের মাধ্যমে টিকেট কাটতে পেরেছেন। প্রতিটি লাইনে অনেককেই এ্যাপে টিকেট কাটার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৯ মে ৭ জুনের, ৩০ মে ৮ জুনের, ৩১ মে ৯ জুনের, ১ জুন ১০ জুনের ও ২ জুন ১১ জুনের ফিরতি টিকেট বিক্রি হবে। একই সঙ্গে স্পেশাল ট্রেনের টিকেট দেয়া হয়েছে। তবে, স্পেশাল ট্রেনের টিকেট অনলাইন বা মোবাইল এ্যাপে পাওয়া যাবে না। শুধু কাউন্টার থেকেই নিতে হচ্ছে স্পেশাল টিকেট। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বারোটি ট্রেনের প্রায় ১৬ হাজারের কিছু বেশি টিকেট বিক্রি হয়। ২৬ হাজার ৭শ’ টিকেটের মধ্যে বাকিটা অনলাইনের জন্য বরাদ্দ। যদিও অনলাইনের টিকেটের কোন হিসাব নেই। প্রথমদিন মোট টিকেটের ৭০ ভাগ বিক্রির কথা সিএনএস কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। তবে রেলমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ২৬ মে রবিবার অগ্রিম টিকেট বিক্রি শেষ হলে ২৭ মে এ্যাপের অবিক্রীত টিকেট কাউন্টার থেকে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী পদ্মা এক্সপ্রেস, রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস, নীলফামারীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসসহ কয়েকটি ট্রেনের টিকেট দেয়া হয় কমলাপুর থেকে। এছাড়া বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুর আন্তঃনগর ট্রেন, বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস এবং ফুলবাড়িয়া (পুরান রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। তিন জুনের টিকেট সংগ্রহে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যে জন¯্রােত সৃষ্টি হয়েছে তা গত তিনদিনের উপস্থিতির চেয়ে অনেক বেশি। কাক্সিক্ষত টিকেট পেতে কেউ শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন, আবার কেউবা ভোরে দাঁড়িয়েছেন। টিকেট প্রত্যাশীদের প্রতিটি লাইন এঁকেবেঁকে চলে গেছে স্টেশনের বাইরের রাস্তায়। সকাল নয়টায় লাইন স্টেশনের বাইরে অটোরিক্সাস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলে যায়। খুলনার যাত্রী কাদির মিয়া জানালেন, শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছি। রাতভর কেটেছে গল্প আড্ডা আর গান করে। আমরা তিন বন্ধু। প্রত্যেকেই পরিবারের জন্য টিকেট কাটতে এসেছি। রাত কেটেছে বেশ মজায়। তিনি জানান, আশা করেছিলাম এসি চেয়ারের টিকেট পাব। কিন্তু কাউন্টার থেকে জানানো হয়েছে টিকেট না থাকার কথা। তাই শোভন চেয়ারেই সন্তুষ্ট। তার বন্ধু ফিরোজ আলম জানান, চারদিন ধরেই এ্যাপে টিকেট কাটার চেষ্টা করেছি। পারিনি। এ্যাপটিই চালু করা সম্ভব হয়নি। তাই অনলাইনের স্বপ্ন বাদ দিয়ে অফলাইনে টিকেট কাটতে এসেছি। এখানেও কাক্সিক্ষত টিকেট পেলাম না। শেষ পর্যন্ত কাউন্টার থেকে যা দেয়া হয়েছে তাতেই খুশি থাকা ছাড়া উপায় নেই। লালমনি এক্সপ্রেসের টিকেট পেয়ে খুশি যেন আর ধরছিল না মুগদাবাসী নন্দিতার। তিনি জানালেন, ভোরে এসেছি টিকেট কাটতে। বারোটায় কাউন্টার থেকে এসি চেয়ারের টিকেট পেয়েছি। খুশি, খুব খুশি। শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন তিনি। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, ঈদের সময় সবাই এসি টিকেট চান, কিন্তু আমাদের এসি সিট তো সীমিত। তাই সবাইকে দেয়া সম্ভব হয় না। প্রতিটি লাইনে মানুষ সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে টিকেট সংগ্রহ করছেন। এছাড়া ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রিতে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী তৎপর রয়েছে। রেলভবন সূত্র জানায়, অনলাইনে ঈদের সময় একসঙ্গে প্রায় দেড় লাখ হিট পড়ে। সিএনএসবিডির যে সক্ষমতা রয়েছে তাতে মাত্র ২০ হাজার লোড নিতে পারে। এ কারণে এ্যাপসের মাধ্যমে টিকেট পেতে ভোগান্তি হচ্ছে। এবার প্রতিযাত্রী চারটি টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। ঈদের অগ্রিম বিক্রীত টিকেট ফেরত নেয়া হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ৫০ শতাংশ টিকেট অনলাইনে এ্যাপসের মাধ্যমে এবং স্টেশন কাউন্টার থেকে বাকি ৫০ শতাংশ টিকেট অগ্রিম বিক্রি হচ্ছে। তেজগাঁওয়ের পুরনো স্টেশনে বিক্রি হয় ময়মনসিংহ ও জামালপুর রুটের ট্রেনের অগ্রিম টিকেট। সেখানেই গত দিনদিনের চেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে। সকালে হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। তখন বিপাকে পড়েন টিকেট কাটতে আসা যাত্রীরা। কারণ স্টেশনের ছোট্ট জায়গা ছেড়ে বাইরে পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছিল যাত্রীদের সারি। উপায় নেই। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই টিকেট কাটতে হয়েছে। স্টেশন মাস্টার এম এ আজিজের দাবি, এ বছরই প্রথম ঈদে ট্রেনের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে তো সমস্যার সমাধান করা যায় না। আশা করছি, আগামী বছর এ সমস্যা থাকবে না। তেজগাঁওয়ে টিকেট কিনতে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকে শুক্রবার রাত থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন। আবার অনেকে সেহরি খেয়ে স্টেশনে চলে এসেছেন। অনলাইনের টিকেট কাউন্টারে বিক্রির বিষয়ে এম এ আজিজ বলেন, অনলাইনের বিষয়টি তো আমার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তবে আমাদের মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন, যেসব টিকেট অবিক্রীত থাকবে তা ২৬ মের পর বিক্রি করা হবে। আশা করছি, কাউন্টারে আমরা যেভাবে নরমালি টিকেট বিক্রি করি, সেভাবেই হয়ত অনলাইনে অবিক্রীত টিকেট বিক্রি করতে পারব। শনিবার তেজগাঁও স্টেশনে ময়মনসিংহ ও জামালপুর রুটের তিস্তা, অগ্নিবীণা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ৩ জুনের টিকেট বিক্রি হয়। এর মধ্যে এক সিরিয়ালে দেয়া হয় তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র ট্রেনের টিকেট এবং অন্য সিরিয়ালে দেয়া হয় অগ্নিবীণা ও যমুনার টিকেট। আর ঈদ স্পেশাল দেয়া হচ্ছে দুই সারিতেই। বিমানবন্দর স্টেশনের চারটি কাউন্টার থেকে চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, তুর্না, চট্টলা ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের এবং নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেসের টিকেট দেয়া হয়। এসব কাউন্টারে নারীদের জন্য একটি আলাদা কাউন্টার রাখা হয়েছে। রেলওয়ে সূত্র মতে, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন রুটে আট জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে। ঢাকা দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে এক জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে। চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে। কলকাতা-খুলনার বন্ধন ট্রেন স্পেশাল হিসেবে চলবে খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে। এছাড়া ঢাকা-ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে একটি, লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে একটি, শোলাকিয়া স্পেশাল-১ ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে ঈদের দিন, শোলাকিয়া স্পেশাল-২ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে ঈদের দিন স্পেশাল ট্রেন হিসেবে চলবে। তবে স্পেশাল ট্রেনের টিকেট এ্যাপসের মাধ্যমে কেনা যাবে না। মাদকাসক্তদের হাতে গাড়ি দেবেন না- ডিএমপি কমিশনার॥ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, মাদকাসক্ত কোন চালক বা হেলপারের হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং তুলে দেবেন না। চালক কিংবা হেলপারকে মাদকাসক্ত মনে হলে তাকে ডোপ টেস্ট করান। এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা আমরা করব। শনিবার মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় পরিবহন মালিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মাদকাসক্ত কেউই পরিবহনে যুক্ত থাকতে পারবে না। মাদকাসক্তরা জাতির শত্রু। মাদকের কারণে অনেক বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটে। গণপরিবহনের চালক-হেলপার মাতাল থাকলে ঝুঁকি আরও বেশি। কোন মাদকাসক্ত যেন যানবাহনে হেলপার বা চালক হতে না পারে এ বিষয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিককে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি কমাতে ঢাকার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ খোলা রাখার নির্দেশ দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদ যাত্রায় রাজধানীর যেসব পয়েন্টে গাড়ি বের হয় এবং প্রবেশ করে সেগুলো ফাঁকা ও যানজটমুক্ত রাখতে হবে। তাহলে গাড়ি খুব দ্রুত যাত্রী নিয়ে চলতে পারবে, আবার বেরও হতে পারবে। এতে ঈদ যাত্রার ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে। বেশি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যে ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে তার বেশি নেয়া যাবে না। সরকারের নির্দেশ অমান্য করে টিকেট বেশি দামে বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। টার্মিনালগুলোয় অজ্ঞানপার্টির কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ১৯ দিনে রাজধানীতে কোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ নিরাপত্তার সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত ঈদ কেনাকাটা করে নিরাপদে বাড়ি ফিরছেন। কারণ আমরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। এ মহানগরীতে আমরা অজ্ঞানপার্টি দেখতে চাই না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কৌশলী অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা বিভিন্ন বাস, রেল ও নৌ টার্মিনালে হকার বেশে ঢুকতে পারে। তাদের বিষয়ে আমরাও সতর্ক আছি। তবে যাত্রী এবং পরিবহন কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মোসলেহ উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×