ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:০৬, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

উবাচ

বিশ্বাস নেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি কে চালান এক কথায় নিশ্চয় সবাই বলবেন তারেক রহমান। খালেদা জিয়া এতিমখানার টাকা মেরে খাওয়ার মামলায় জেলে গেলে তারেককে সেই দায়িত্ব দিয়ে যান। তারেক রহমান কোথায় থাকেন। সকলেই জানেন লন্ডনে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ইচ্ছা করলেও তাদের নেতাকে দেখতে পান না। নেতা থাকেন সাত সমুদ্রের ওপারে। সেখান থেকে দল চালান টেলিফোনে। বহুবার প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি দেশে যোগ্য লোক নেই। যিনি বিএনপির হাল ধরতে পারেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন মনে করেছেন তার দলে তার ছেলে ছাড়া আর কেউ যোগ্য নয়। কিন্তু কেন? সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পরিবারের সদস্য ছাড়া কাউকেই বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে বিশ্বাস করেন না। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। তাঁর অবর্তমানে বাংলাদেশেই দলের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হয়েছেন। কিন্তু খালেদা জিয়া জেলে, আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে খুনের মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে, যিনি লন্ডনে রয়েছেন। পরিবারের সদস্য ছাড়া আর কাউকে খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে বিশ্বাস করেন না। আশপাশে গেলেও.... স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মন্তব্য করেছিলেন সংসদের আশপাশ দিয়ে ঘোরাফেরা করলেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভাবখানা এমন যদি যাও না ওখানে, ঠ্যাং দেব ভেঙ্গে। তিনি মনে করেছিলেন তার এই হুঙ্কারে বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ভয় পেয়ে যাবেন। সংসদে যাওয়ার নামও নেবেন না। কিন্তু কেন? সংসদ সদস্য হিসেবে মানুষ যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচন করেছেন তাদের সংসদে না যাওয়ার অর্থ কি। আগে দেখা যেত ভোটে হারলে ভোট সুষ্ঠু না হওয়ার দাবি জানাতো পরাজিতরা। এবার সেই ধারা বদলে বিএনপি তো সংসদেই না যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। কিন্তু এতে কেন একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য ভয় পাবেন। একজন অনির্বাচিত ব্যক্তি যাকে তার এলাকার লোক গ্রহণই করেনি ভোটও দেয়নি তার কথায় নির্বাচিতরা ভয় পাচ্ছেন। যদিও হাস্যকর এই হুঙ্কারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান জাহিদ। জাহিদ প্রমাণ করেছেন দলে হুঙ্কার দিতে পারলেও নিজেদের এলাকার মানুষের কাছে অগ্রহণযোগ্য কারো হুঁশিয়ারি কোন কাজে আসবে না। বিএনপি নেতা গয়েশ^র বলেছেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সংসদে গিয়ে মজা নেবে এমন কেউ বিএনপিতে আছে বলে তার জানা নেই। এই কথার অর্থ কি বিএনপি নেতারা কি মনে করেন সংসদ শুধু মজা নেয়ারই জায়গা! যারা সংসদকে কেবল মজা নেয়ার জায়গা মনে করে সংসদও হয়তো চায় না তারা সেখানে যাক। কেউ শপথ নেবে না স্টাফ রিপোর্টার ॥ যত গুঞ্জনই থাক, সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেয়ার বিষয়ে বিএনপি আগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকবে বলে মন্তব্য করেছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। গত শুক্রবারের কথা বৃহস্পতিতেই গেল বদলে। যে দল সিদ্ধান্তটি মাত্র সাত দিনও তার দলের নেতাকর্মীদের মানাতে পারে না সেই দল কি রাজনীতি করবে এমন প্রশ্ন আসতেই পারে। মওদুদ বলেছিলেন, আমাদের ৬ জন সংসদে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেবেন না। তিনি আরও বলেছিলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক রহমান) সঙ্গে বসে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের স্থায়ী কমিটি নিয়েছে। সুতরাং এখান থেকে ফিরে যাওয়ার বা কোন পরিবর্তনের প্রশ্নই ওঠে না। আজকে এখানেই এ বিষয়টার নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। একজন এর মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাকিরাও নেবেন নেবেন করছেন। তাহলে বিএনপি তার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে কি সিদ্ধান্ত নিল।
×