ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগ নির্ভার, প্রার্থীর ছড়াছড়ি বিএনপিতে

প্রকাশিত: ০৫:২০, ৪ আগস্ট ২০১৮

 আওয়ামী লীগ নির্ভার, প্রার্থীর ছড়াছড়ি বিএনপিতে

সুবল বিশ্বাস, মাদারীপুর ॥ দীর্ঘদিন ধরেই মাদারীপুরের জনপদ আওয়ামী লীগ ও নৌকার দুর্ভেদ্য ঘাঁটি বলে পরিচিত। জেলার দুটি আসনেই রয়েছে আওয়ামী লীগের বিশাল ভোট ব্যাংক। জেলার দুটি আসনই বরাবরই রয়েছে আওয়ামী লীগের দখলে। শক্তিশালী ঘাঁটি হলেও বসে নেই আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ঘন ঘন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ, কর্মিসভা এবং উঠান বৈঠকে জমে উঠেছে নির্বাচনী হাওয়া। বর্তমান নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি এবং আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির সম্পাদক এবং অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী এমপি নিজ নিজ এলাকার হেভিওয়েট প্রার্থী। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ে এলাকায় তাঁদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। তারা উভয়ই আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতা। এলাকায় রয়েছে ব্যাপক জনসমর্থন। মাদারীপুর-১ এবং মাদারীপুর-২ নির্বাচনী এলাকা তাঁদের বদৌলতেই ইতোমধ্যে ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। নৌকার শক্ত ঘাঁটি হওয়ায় একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে অনেকটাই নির্ভার আওয়ামী লীগ। সম্ভাব্য প্রার্থীদের তেমন কোন দৌড়ঝাঁপ চোখে পড়ার মতো নয়। তবুও নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী দলগুলো নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করেছে। অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী নীতি নির্ধারকদের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে এ আসন দুটিতে বিএনপির দ্বন্দ্ব দলটির জন্য সুখকর নয়। তবুও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের মনোনয়ন পেতে হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। মাদারীপুরের আসনে ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান হেভিওয়েট দুজন সংসদ সদস্যই আগামী নির্বাচনেও একক প্রার্থী ও তাদেরই বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রার্থীই প্রবীণ ও রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ। জাতীয় পর্যায়েও তাদের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। অপর দিকে বিএনপির আগ্রহী প্রার্থীর বেশিরভাগই নতুন মুখ হওয়ায় কারা জোট বা দলীয় মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে বিএনপিতে রয়েছে দ্বিমুখী দ্বন্দ্ব। বিএনপির জেলা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান। অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মুরাদ। বিএনপির এই গ্রুপিংয়ের প্রভাবে দুই গ্রুপ থেকেই তাদের ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থী রয়েছে পছন্দের তালিকায়। মাদারীপুরে বাম সংগঠনগুলোর তেমন প্রভাব না থাকলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিছুটা সক্রিয় রয়েছে। তারা মাদারীপুর সদর ও শিবচর আসনে প্রার্থী দিবেন বলে জানিয়েছে দায়িত্বশীল একটি সূত্র। এর আগে উপজেলা এবং পৌর নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এবং অন্যান্য বাম দলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা। মাদারীপুর ১৪ দলীয় এবং ২০ দলীয় জোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ছাড়া অন্য দলের দু’একজন নেতা থাকলেও কর্মী নেই। তবে জামায়াত বসে নেই; ভেতরে ভেতরে নিজেদের শক্তি সঞ্চার করছে। গত উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী জয় লাভ করতে না পারলেও ভোটের মাঠে চমক দেখিয়েছে। মাদারীপুর-১ (শিবচর) ॥ শিবচর পৌরসভাসহ ১৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-১ আসন। পৌরসভা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের পরিসংখ্যানে এটি আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা। এ আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৭ হাজার ৮২৫ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরীর মনোনয়ন শতভাগ নিশ্চিত বলে ধারণা আওয়ামী লীগের। তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর (দাদা ভাইয়ের) বড় ছেলে। তিনি এ পর্যন্ত পাঁচ পাঁচবার এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যে কারণে এ আসনে আওয়ামী লীগের আর কোন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। তিনিই এই নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য একক প্রার্থী। মাদারীপুর-১ আসনের শিবচর উপজেলায় ১টি পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক। শিবচরের উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন তথা বহু সেতু-কালভার্ট, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা চিকিৎসা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ শিবচরকে একটি আধুনিক উপজেলায় রূপান্তরিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর এ কারণেই শিবচরের গণমানুষের প্রিয় একজন মানুষ হিসেবে তিনিই শীর্ষে রয়েছেন। এ আসনের বিএনপিতে গ্রুপিংয়ের কারণে রয়েছে একাধিক প্রার্থী। নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন মরহুম মোতাহার হোসেন সিদ্দিকীর ছেলে জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক, সাবেক কোচ ও জেলা বিএনপির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি প্রচার-প্রচারণায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। বিগত দিনের সাংগঠনিক কর্মকা- যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দিলে এ আসনে বিএনপি থেকে তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী। এদিকে শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মাদারীপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি জামান কামাল নুরুউদ্দিন মোল্লার নামও শোনা যাচ্ছে। তিনি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য হাইকমান্ডের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিনিয়ত শিবচর উপজেলা ১৯টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় নীরবে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন এই মনোনয়ন প্রত্যাশী। নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর মধ্যে তাঁর পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে। অপর দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বর্তমান সহসভাপতি আব্দুল হান্নান মিয়া। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে দলের দুঃসময়ে দলের পাশে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। এ জন্যই তিনি এলাকায় গণসংযোগ করেন নেতা কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কোন কিছুই করবেন না তিনি। এছাড়াও নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছেন শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান। তারও রয়েছে শিবচরের প্রতিটি ইউনিয়নে জনপ্রিয়তা। তার সঙ্গে জেলা বিএনপির প্রায় সকল নেতার রয়েছে গভীর সম্পর্ক। তিনি শিবচরের প্রতিটি মাঠ ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সকল কর্মসূচী স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পালন করে আসছেন। বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত নাজমুল হুদা চৌধুরীর সহধর্মিণী নাদিরা মিঠু চৌধুরীর নামও রয়েছে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায়। তিনিও নির্বাচনী এলাকায় প্রচার ও গণসংযোগ চালিয়ে ভোটারদের দোয়া কামনা করছেন। মাদারীপুর-২ (সদরের একাংশ এবং রাজৈর) ॥ মাদারীপুর পৌরসভাসহ সদর উপজেলার ১০টি ও রাজৈর পৌরসভাসহ রাজৈর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে মাদারীপুর-২ আসন গঠিত। জেলার মধ্যে মাদারীপুর-২ আসনটি সবচেয়ে বড়। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার ২৬১ জন। এ আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান। আগামী নির্বাচনেও এ আসন থেকে তার আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মাদারীপুর-২ আসনের সদর উপজেলা ও রাজৈর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে মন্ত্রী শাজহান খানের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। এলাকায় স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও রাস্তা-ঘাট, ইকোপার্ক, রিভার ওয়াকওয়ে, মেরিন একাডেমি, ফোরলেন সড়ক, বড় বড় সেতু নির্মাণসহ মাদারীপুর শহরকে উন্নয়ন করে একটি আধুনিক টাউন হিসাবে গড়ে তুলেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান প্রতি মাসের প্রায় প্রতি সপ্তাহে ৩/৪ দিন মাদারীপুরে অবস্থান করে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত ও বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করে আসছেন। তাঁর এ সব কর্মকা-ের জন্য তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে শাজাহান খানকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন বলে এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে। মাদারীপুরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জেলার আরো এক কৃতী সন্তান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের বিশেষ অবদান রয়েছে। শুধু উন্নয়নই নয়, পাশাপাশি জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে এবং মাদক বিরোধী অভিযানে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকে নিয়ে তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ে মাদারীপুরের এ সকল হেভিওয়েট নেতাদের অবদান মাদারীপুরবাসী যদি মনে রাখেন; তা’হলে দুটি আসনেই নৌকার জয় শতভাগ নিশ্চিত বলে ধরে নেয়া যেতে পারে। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর জেলা বিএনপির সদস্য শাহজাহান মিয়া সম্রাট মাদারীপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতোমধ্যে তিনি স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ভোটারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দোয়া চাইছেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। শাহজাহান মিয়া সম্রাট এক সময় খুলনা বিএল কলেজের ছাত্রদল মনোনীত ভিপি ও খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এদিকে বিএনপির সহশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সম্পাদিকা, ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি ও বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খানও মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে আলোচনায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন এলাকার ভোটার ও কর্মীদের সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ নেই। যে কারণে তিনি তার আগের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেননি। এলাকায় তার অনুপস্থিতির কারণে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষও রয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহানও মাদারীপুর-২ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন। তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে দলের দুঃসময়ে দলের পাশে থেকে অন্দোলন সংগ্রাম করে এসেছেন এবং এখনও আছেন। তিনি বিএনপির রাজনীতি করে বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেছেন। তিনি মাদারীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, মাদারীপুর সরকারী নাজিমউদ্দিন কলেজের সাবেক জিএস ছিলেন। মাদারীপুর সদর ও রাজৈরবাসীর কাছে দোয়া ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছেন বিএনপির এই ত্যাগী নেতা। অপরদিকে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বৈদ্যও। এজন্যই তিনি এলাকায় গণসংযোগ করে কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে যাচ্ছেন। তবে তার নির্বাচনী প্রচার রাজৈর কেন্দ্রিক বলে জেলা বিএনপির সঙ্গে তার দূরত্ব রয়েছে। দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় বিএনপির আরও এক নেতা হাবিবুর রহমান (কাওছার) হাওলাদারের নামও শোনা যাচ্ছে। তবে আলোচনায় থাকলেও প্রচারে তিনি বা তার কোন কর্মীকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে মাদারীপুরের দুটি আসনেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পাবেন তাদেরই বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। কারণ আওয়ামী লীগে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-১ ও ২ আসনে যে দু’জন সংসদ সদস্য রয়েছেন তারা দু’জনই দলের হেভিওয়েট প্রার্থী। তাদের দু’জনেরই রয়েছে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সামাজিকভাবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকা-ে তারা ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে পেরেছেন।
×