ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফারজানা রিক্তার আলতাবানু

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৫ এপ্রিল ২০১৮

ফারজানা রিক্তার আলতাবানু

আনন্দকণ্ঠ : সম্প্রতি ‘আলতাবানু’ সিনেমা একটি পোস্টার প্রকাশ হয়েছে! কেমন সাড়া পাচ্ছেন? ফারজানা রিক্তা : পোস্টারটি প্রকাশ পর থেকে খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি। আর সবাই খুব প্রশংসা করছে পোস্টারটির। আমার ফিটব্যাক খুব ভাল। আনন্দকণ্ঠ : ‘আলতাবানু’ ছবিতে আপনার কি চরিত্র দেখা যাবে? ফারজানা রিক্তা : বানু চরিত্রে আলতার ছোট বোন। গ্রামের মেয়ে একেবার মারদাঙ্গা টাইপের মেয়ে অন্যায় এর প্রতিবাদ করি। গ্রামের কিছু মেয়ে থাকে না যারা সাইকেল চালাই গাছে ওঠে ঠিক ওই রকম ক্যারেক্টার। অনেক দিনপর আবারও বড়পর্দায় আসছেন! আনন্দকণ্ঠ : কেমন লাগছে? ফারজানা রিক্তা : অনেক দিনপর বড়পর্দায় আবার নিজেকে দেখব ভাবতেই সেই প্রথম সিনেমায় নিজেকে যখন বড়পর্দায় দেখেছিলাম সেই ফিলটা পাচ্ছি। আনন্দের পাশাপাশি কিন্তু ভয়ও পাচ্ছি। ‘আলতা বানু’ কেমন যাবে একটা চিন্তা তো থেকেই যাই। সব মিলিয়ে খুব ভাল লাগছে। আনন্দকণ্ঠ : আলতাবানু সিনেমায় দর্শক কি নতুন রিক্তা কে পাবেন? ফারজানা রিক্তা : অবশ্যই পাবে! কারণ অন্য সিনেমার থেকে আলতা বানুপুরো ভিন্ন্য গল্পের। আগের সিনেমায় আমাকে সবাই একজন গামার নায়কা হিসাবে দেখেছে আরআলতা বানুতে একজন গ্রামের মারদাঙ্গা রিক্তাকে দেখা যাবে। আলতাবানুই নিজেকে অনেক ভাবে ভেঙেছি অনেক হোমওয়ারক করেছি। অনেক কষ্ট করেছি আমরা সবাই আলতাবানু সিনেমার জন্য। আশা করি সিনেমাটি সবার পছন্দ হবে। আনন্দকণ্ঠ : আলতাবানু সিনেমায় অভিনয়ে নতুন কিছু করতে হয়েছে কি যা অন্য সিনেমায় কখনও করেননি? ফারজানা রিক্তা : হুম! এখানে সাইকেল চালিয়েছি নৌকা বেয়েছি মানুষ মেরেছি আরও কত কি যে বলে শেষ হবে না। জানতে হলে সিনেমা টি দেখতে হবে। এই কাজগুলো অন্য কোন সিনেমা বা নাটকে আমি করিনি। এখানে আমাকে দর্শক এক নতুন করে পাবে আমাকে। আনন্দকণ্ঠ : ছবিটি নিয়ে আপনি কতটুকু আশাবাদী? ফারজানা রিক্তা : পুরো পুরি আশাবাদী। কারণ এমন সিনেমা আমদের দেশে খুব কম হই। আমি চাই আলতা বানুর মতো সিনেমা আরও হোক। দর্শক সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখুন। আনন্দকণ্ঠ : নতুন কোন ছবি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন? ফারজানা রিক্তা : আপাতত না! কারণ ‘আলতা বানুর’ সিনেমার ফিটব্যাক দেখে তারপর নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হব। আর তা ছাড়া সিনেমার ক্ষেত্রে আমি একটু সময় নিয়ে কাজ করি। কারণ বড়পর্দা বলে কথা। সিনেমার জায়গাটা অনেক বড় জায়গা বুঝে শুনে তারপর কাজ করি। নতুন কিছু ছবি কথা চলছে। আপনার আনন্দকণ্ঠ : উপস্থাপনা কি অবস্থা? ফারজানা রিক্তা : উপস্থাপনা খুব কঠিন কাজ। যারা নিয়মিত উপস্থাপনা করেন আসলে তারায় জানেন। আমি অনেক উপস্থাপনার কাজের জন্য ডাক পেয়েছি কিন্তু ভয় পেতাম আর ভয় এর কারণে উপস্থাপনাটা একটু দেরিতে শুরু করেছি। এখন বাংলা ভিশনে সোবিজপ্রোগাম স্টার ওয়াল্ড এ উপস্থাপনা করছি। গাজি টিভিতে সেভেন আপ এফ এ্যান্ড এফ জার্নি প্রোগাম করছি। ভালই লাগছে। আনন্দকণ্ঠ : আপনার ফটোগ্রাফির কি খবর? ফারজানা রিক্তা : ফটোগ্রাফি করছি করতে খুব ভাললাগে আলাদা একটা ফিলিংস পাই ছবি তুলতে যখন বনে যাই। কাজের ফাঁকে ঘরে বসে থাকি না ক্যামেরা নিয়ে বনে চলে যাই দিনের পরদিন রাতের পর রাত বনে থাকি পশু পাখির ছবি তুলি। বিভিন্ন এক্সজিভিশনে সাবমিট করি এভাবেই যাচ্ছে। আনন্দকণ্ঠ : আলতাবানু ছবি নিয়ে দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলুন? ফারজানা রিক্তা : অনেক কষ্ট করে আমরা সবাই আলতা বানু সিনেমাটিতে কাজ করেছি। আপনারা সিনেমাটি দেখে আমাদের ভুল ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিন। সামনে যেন আমরা আরও ভাল কাজ করে পারি। আমদের ভুলগুলো যেন আমরা সুধরে নিতে পারি।
×